কিভাবে পুঁজি বা টাকা ছাড়া শুধুমাত্র বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবসা করা যায় আমি শুধু এই বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব আজকে পোষ্টের মাধ্যমে। তাহলে টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে আমাদের কি লাগে? সচরাচর আমাদের সবার কাছে একটি মোবাইল ফোন থাকে। তার সাথে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারও থাকে।
ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারও যদি না থাকে তাহলে মোবাইল অবশ্যই সবার কাছে থাকে। তার সাথে একটি ফেসবুক আইডি আর সাথে নেটওয়ার্ক এই জিনিসগুলো থাকলে আপনি টাকা ছাড়া ব্যবসা ঘরে বসে করতে পারবেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক টাকা ছাড়া ব্যবসা আইডিয়া গুলো কি।
ইনভেস্ট ছাড়া বা টাকা ছাড়া ব্যাবসা:
ইনভেস্ট ছাড়া বা টাকা ছাড়া ব্যবসা করার জনপ্রিয় দুইটি ব্যবসা হলো :
১. টিউশন করে আয়
বর্তমানে আধুনিক অনলাইনে যুগে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো টিউশন করে ইনকাম। আমাদের আশেপাশে বাসা বাড়িতে অনেক শিক্ষার্থী টিউশন করে থাকে। এর মতো তারা হয়তো চাচা চাচির বাসায় যায় অথবা তারা বাসায় আসে এবং সেখানে তাদের সময় অনুযায়ী পড়ানো হয়।
এখানে তাদের কোন প্রকার খরচ হয় না। তাই আপনারা এই টিউশন থেকে যদি ব্যবসায়ের রূপান্তর করতে চান তাহলে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনার শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও আপলোড করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২. কন্টেন্ট রাইটিং করে
কন্টেন্ট রাইটিং বা কন্টেন্ট মার্কেটিং এমন একটি সেক্টর যেটা দিয়ে আপনি কোন বিনিয়োগ ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করবেন এ বিষয়ে যদি জানতে চান তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় এটি দেখতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন।
১০ হাজার টাকায় ১০টি ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসা করতে অনেক অনেক বুঝি প্রয়োজন পরে, দরকার পরে পরিশ্রম দক্ষতা এবং ধৈর্যের। অনেকেরই শ্রম দেওয়ার মানসিকতা থাকলেও ভালো দক্ষতা থাকলেও শুধুমাত্র পুঁজির অভাবে ব্যবসাতে আসা হয় না। অনেকেই আবার রয়েছেন যারা কিনা বাধ্য হয়ে চাকরি করছেন। যদি তারা একটু ভালো সুযোগ পায় তাহলে ভালো কিছু করে দেখাতে পারবেন ব্যবসা করে। এমন কিছু মানুষের জন্য আজকের এই দশটি বিজনেস আইডিয়া বলা হলো ।
১. অনলাইন শিক্ষকতা :
অনলাইনে আপনার পছন্দের বিষয়টি শিখিয়ে ঘরে বসে ভালো রকমের আয় করা সম্ভব। বিষয়টি হতে পারে পড়াশোনা বা বাদ্যযন্ত্র বা ভাষা শিক্ষা আপনার দক্ষতা আগ্রহের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে পারেন বিষয়। নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিনা বিনিয়োগে আয় করতে পারবেন।
২. খাবার ডেলিভারি
খাবারের হোম ডেলিভারি। আজকের কর্মব্যস্ততার যুগে বাড়িতে রান্না করার সুযোগ হয় না অনেকেরই। আবার প্রতিদিন হোটেলের খাবার খেতে চান না বেশিরভাগ মানুষ। এই চাহিদা মেটাতে শুরু হয়েছিল খাবারের হোম ডেলিভারি ব্যবসা। নিজের বাড়িতে রান্না করে পৌঁছে দিন বাড়ি বাড়ি।
সময় মত সুস্বাদু খাবার দিতে পারলে ব্যবসার অভাব হবে না। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন অঞ্চলে এ ব্যবসায়ী সুযোগ বেশি। শহরের বাইরে থেকে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই রোজকার রান্না করতে চায়না। সে ক্ষেত্রে তারা নির্ভর করেন হোম ডেলিবাজির ওপর।
৩. অনলাইন বেকারি
রকমারি বানাতে ভালবাসেন হয়তো আপনি। আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধবের জন্মদিন বিবাহবার্ষিকীতে আপনার বানানো কেকের কদর রয়েছে। তাহলে এই ছোট্ট ব্যবসা আপনার জন্য। ওভেন ফ্রেশ বেকারি আইটেম চাহিদা প্রচুর। আর তা যদি আপনি একেবারে ক্রেতার ঘরে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই।
নিত্য নতুন রেসিপি চেষ্টা করুন তৈরি করুন আপনার বিশেষ ১০ হাজার টাকা শুরু করুন আপনার ব্যবসা ঘরের ওভেনে কেক কুকিজ বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করুন।
৪. জুস তৈরি
ফলের রসের জুস। প্রথমেই বেছে নিতে হবে জায়গা। এমন জায়গায় বেছে নিতে হবে যে জায়গা সহজে মানুষের চোখে পড়ে। আশেপাশে অফিস, স্কুল, কলেজ থাকলে বিক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। একটা জায়গা বা দোকান ভাড়া নিতে হবে। এরপর দরকার কাঁচামাল আর ফলের রস তৈরি করার যন্ত্র। পুরোটাই ১০ হাজার টাকায় করে ফেলা সম্ভব।
৫. ট্রাভেল এজেন্সি
অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে হলে টিকিট বুকিং এর ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় এ ব্যবসা করতে পারবেন। স্বল্প মূলধনের ব্যবসা করতে চাইলে সব থেকে সহজ উপায় হলো হোস্টিং এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ভর করে হোস্টিং এজেন্সির ওপর। টা ১০ হাজার টাকার মধ্যেই রাখা সম্ভব।
৬. বাইক বা কার ওয়াশ
এটা কিন্তু খুব জনপ্রিয় বিজনেস আইডিয়া এবং এটা কিন্তু শহর অঞ্চল গুলোতে বা জেলা শহর উপজেলা শহর সব জায়গাতে কিন্তু বিজনেসটা খুব ভালো চলে। বিশেষ করে আমাদের এখন বর্তমান যে পরিস্থিতি প্রতিটা গড়ে কিন্তু একটা করে বাইক আছে এবং এই বাইকগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর ওয়াশ করতে হয় বা রিপেয়ার করতে হয়। তো এ ব্যবসাটি আপনি প্রাথমিক বিনিয়োগে ১০ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করতে পারেন।
৭. মেকআপ আর্টিস্ট
আপনি যদি সাজাতে ভালবাসেন যদি থাকে দক্ষতা তাহলে খুব অল্প বুঝিতে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। কনে সাজানো থেকে শুরু করে পার্টি মেকআপ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান থেকে অর্ডার পেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকলে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সহজ হবে। আর আপনি এ ব্যবসাটি দশ হাজার টাকার মধ্যেই শুরু করতে পারবেন।
৮. বিদেশি ভাষা শিক্ষা
আপনি যদি কোন বিদেশি ভাষার কোর্স করে থাকেন বা আগে থেকে জানা থাকে তাহলে আপনি সেই দক্ষতা কি কাজে লাগে সহজে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। তবে এ ব্যবসা করতে উপযুক্ত ভাষায় আপনাকে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও ধৈর্যশীল।
৯. টুরিস্ট গাইড
আপনার এরিয়াতে বেশ কিছু টুরিস্ট এরিয়া যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার সেই জায়গাগুলো নিশ্চয়ই খুব ভালোভাবে চেনা থাকবে। তাহলে আপনি সহজে ভ্রমণ নির্দেশনাকারি হতে পারবেন। ধরুন তাজমহলের পাশে আপনার বাড়ি এবং আপনি তাজমহল সম্পর্কে অনেক ভালো জানেন। তাহলে সহজেই আপনি ভ্রমণ নির্দেশনাকারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
১০. ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং আজকের দিনে সব থেকে ভালো একটি ছোট আকারের লাভজনক ব্যবসা আইডিয়ার মধ্য একটি । এই ব্যবসাটি খুবই কম পুঁজিতে এবং কোন টাকা বিনিয়োগ না করে শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার যিনি করেন তিনি সরাসরি সাপ্লাইয়ের কাজ থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে এসে সরাসরি কাস্টোমারের কাছে পৌঁছে দেন।
আরো সহজ করে বলতে গেলে ধরুন আপনি ড্রপশিপিং এর ব্যবসা শুরু করলেন এক্ষেত্রে ওই প্রোডাক্টটি আপনাকে সরবরাহ বা জমা করতে হবে না। এবং আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়ার পর প্রোডাক্টটি সরবরাহকারীকে সরাসরি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিবেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার মাথায় নানা রকম ব্যবসা ঘুরপাক খাবে এটা স্বাভাবিক। একজন সাধারণ মানুষ যেখানে কোন সম্ভাবনা থাকে না একজন উদ্যোক্তা সেখান থেকে শুরু করে। আপনার হয়তো আমার কাছে কোন বস্তুর কিন্তু কোন দাম নেই, আর একজন উদ্যোক্তা সেখান থেকে মূল্যবান জিনিস খুঁজে বের করে।
মূলত তাদের চিন্তা করার ধরন গভীরতা বুঝতে পারা সৃজনশীলতা একজন সাধারন মানুষ থেকে আলাদা করে। আপনি হতে পারেন উদ্যোক্তা, আপনি হতে পারেন দেশ এবং দেশের একজন। আপনিও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অবদান রাখার পাশাপাশি নিজেকে এনে দিতে পারেন আর্থিক স্বাধীনতা।
যদি আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে একটা ভালো বিজনেস আইডিয়া লাগবে। আমাদের মধ্যে অনেকের প্রশ্ন থাকে বর্তমান সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি? বর্তমানে গ্রাহকদের কোন একটা নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করা যায় এমন আমাদের দেশ ও সারাবিশ্বে যে কোন মানুষ একটি ব্যবসা শুরু করার অধিকার রাখে।
এখন আমি যদি আপনাকে বলি বর্তমান সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা নাম হচ্ছে মেডিসিন ব্যবসা। কিন্তু এ ব্যবসার প্রতি আপনার আগ্রহ না থাকলে, আপনি যদি আপনি কখনো শুরু করবেন না। তাহলে একটা বিষয় পরিষ্কার যে আপনি যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তার প্রতি আপনার যথেষ্ট আগ্রহ এবং ভালোলাগা থাকতে হবে।
এরপর যে বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে তা হচ্ছে এই ব্যবসার মাধ্যমে গ্রাহকদের কোন একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করা। ধরুন আপনি খুব লাভজনক একটি বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পেয়েছে, কিন্তু সে ব্যবসায় এত বেশি প্রতিযোগিতা যে আপনি কোন অবস্থায় সেল পাচ্ছেন না বা বিক্রি পাচ্ছেন না, তাহলে সে লাভজনক ব্যবসা দিন শেষে আপনাকে হতাশা করতে পারে।
তাই এর থেকে ভালো কম লাভজনক কিন্তু অধিক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে সবসময় কাস্টমার লেগে থাকে সে ব্যবসা শুরু করা আমার মতে উত্তম। যখন একটি বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পাবেন তখন দেখতে হবে এর কাস্টমারকে বা কারা হবে। মার্কেট রিসার্জ করে এই ব্যবসায় নামতে হবে। আবেগবশত ব্যবসায় নামলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এরপর রয়েছে দাম নির্ধারণ
ধরুন আপনি একটা বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পেয়েছেন কিন্তু সঠিকভাবে পন্যর বা সেবার দাম নির্ধারণ করতে না পারেন সে বিজনেস আইডিয়া থেকে ভালো লাভ করা নাও যেতে পারে। যেমন ধরুণ কম দাম অতিরিক্ত বেশি দাম এর দুই খারাপ। এরপর দেখতে হবে আপনারই লাভজনক ব্যবসাটি প্রতি গ্রাহকদের চাহিদা বা তার ডিমান্ড কত দিন থাকতে পারে।
আপনাকে ট্রেন্ডিং বিজনেস আইডিয়া থেকে টেকসই বিজনেস আইডিয়া ফোকাস করতে হবে। তবে সাইট ব্যবসা হিসেবে আপনি ট্রেন্ডিং বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে কখন ওই ট্রেন্ডিং বিজনেস কে স্থায়ী ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। অতএব যখন আপনি একটি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করবেন তখন গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে।
৫০০ টাকার ব্যবসা
এ ব্যবসাটি করতে আপনার খুব বেশি বিনিয়োগ করা লাগবে না। আপনার কাছে যদি মাত্র ৫০০ টাকা থাকে তাহলে ব্যবসা কিন্তু শুরু করে দিতে পারবেন। আরে ব্যবসা করে প্রতি মাসে কম করে হলেও ১৫হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এই ব্যবসায়ীটি একদম অল্প পুঁজির ব্যবসা একদমই ঝুঁকি নেই এবং অনায়াসে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এ ব্যবসাটি আপনি যে কোন জায়গায় করতে পারবেন, কেননা এ ব্যবসায় এটি যেসব জায়গাতে চাহিদা রয়েছে।
তাই আমি বলব আপনার হাতে যদি বর্তমানে কোন কাজ না থাকে আর আপনার হাতে যদি মাত্র ৫০০ টাকা থাকে তাহলে এই ব্যবসায়টি করতে পারেন। যদি সফল হন তাহলে অবশ্যই এর থেকে আরও বড় করে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এ ব্যবসায় আপনার মাল উৎপাদন করতে খরচ হবে মাত্র ২০ টাকা এবং মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন ১২০ টাকায়। মানে আপনার কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে লাভ হয়ে যাচ্ছে।
আর প্রতিদিন যদি পাঁচ কেজি মাল বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিদিনই ৫০০ টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন। আর মাসে হিসাব করলে কিন্তু ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমরা জেনেনি এটা কিসের ব্যবসা? এটি হলো খাবার চুনের ব্যবসা। আপনারা সকলেই জানেন যে পান মসলার মধ্যে যে চুন থাকে সে চুন অনেকটাই কিন্তু ডিমান্ড রয়েছে মার্কেটে এবং এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মানুষ পান খায় না।
তো সেখানে আপনি জুনে ব্যবসা না আসে করতে পারবেন। এ ওয়েবসাইটে আপনি মাত্র ৫০০ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি কিভাবে শুরু করবেন? এ ব্যবসা করতে গেলে আপনার প্রধান দিয়ে কাঁচামাল লাগবে সেটা হচ্ছে পাউডার চুন। তো পাউডার জন্য আপনি মার্কেট থেকে কিনে নিতে হবে ৭-১০ টাকা কেজি ধরে আপনারা পেয়ে যাবেন। এইটা আপনাদের লোকাল মার্কেটেও পেয়ে যাবেন।
চুন তৈরি করার পদ্ধতি :
দেখুন এই চুন তৈরি করার পদ্ধতি হল প্রথমে আপনাকে চুন পাউডার নিয়ে নিতে হবে। এই টুন পাউডারের মধ্যে আপনি ধরুন ১ কেজি চুন পাউডার নিলেন সেখানে তার ডাবল মানিক 2 লিটার জল মিশিয়ে রেখে দিবেন। আর অবশ্যই হাতে গ্লাভস পড়ে নিবেন কারণ জল মিশালে কিন্তু চুন গরম হয়ে যায়। তো আপনার হাতে পকেটে ক্ষতিকর হবে। তাই জল সাবধানে মিশাবেন এবং ৪-৫ ঘন্টা রেখে দিবেন।
৪-৫ ঘন্টা পর আপনি সেখান থেকে ছাকনি দিয়েছে কে নিবেন। কারণ চুনের মত অনেক সময় নুড়ি পাথর থাকে। তাই আপনাকে আগের থেকে নিতে হবে। থেকে নেওয়ার পরে সেটাকে আবার আপনি কিন্তু জলের মধ্য রেখে দিবেন ৭-৮ দিন। এরপর নিচে কিন্তু চুন তেতিয়ে যাবে আর উপরে যে জল থাকবে সেটি ফেলে দিতে হবে। এখানে আপনার চুন তৈরি করা শেষ। এরপর আপনি প্যাকেটজাত করে মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। আশা করি এ ব্যবসাটি করে আপনি লাভবান হবেন।
টাকা ছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত শেষ কথা :
ব্যবসায় সফল হতে চাইলে ব্যবসা না, গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান দিতে হবে। আর একটি ব্যবসার জন্য সৃজনশীলতা, উদ্ভব প্রচেষ্টা এবং অধিক আগ্রহ থাকতে হবে কাজের প্রতি। তবেই আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারবেন। আশা করি আজকের টাকা ছাড়া ব্যবসা আইডিয়া গুলো বুঝতে পেরেছেন। ব্যবসা নিয়ে আরো আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইট বাংলা ইনফোর ভিজিটে আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ।
টাকা ছাড়া ব্যবসার সংক্রান্ত আরো কিছু জানতে চাইলে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
টাকা ছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত সাধারণ কিছু প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো:
FAQ:
১.টাকা ছাড়া ব্যবসা করা কি কঠিন?
টাকা ছাড়া ব্যবসা করা কঠিন নয় তবে শুরুর দিকে অনেক চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু কিছু সাধারণ সৃজনশীল জ্ঞান এবং আপনাকে শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপায় গুলো জানতে হবে।
২. নিচের কোনটি সঠিক ব্যবসা শব্দ?
ব্যবসা বানান শব্দ হলো একটি বিশেষ্য যার অর্থ একজন নিয়মিত ব্যক্তির পেশা বা ব্যবসা কে বুঝায়।
৩. নতুন ব্যবসা শুরু করার পদক্ষেপ কি?
আয়ের পরিকল্পনা বাজার যাচাই নতুনত্ব খুঁজে বের করা ন্যূনতম কার্যকর পণ্য তৈরি ক্রেতার সম্পর্কে জানা।