মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024

অনেকে প্রশ্ন করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ? মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা সম্ভব তবে প্রফেশনালি কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে। মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেশ কিছু কাজ করা সম্ভব এবং এগুলো করে ভালো টাকা আয় করা যায়। কিন্তু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করতে যেমন ফ্রি ভাবে করতে পারবেন অল্প সময়ের মধ্যে তা মোবাইল দিয়ে করতে গেলে আপনাকে একটু বেশি সময় দিতে হবে। আজকের পোস্টে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো   এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সহ এমন ৫টি কাজ সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সহজ ৫টি উপায়

ইউটিউব (YouTube) 

ইউটিউব (YouTube) 

আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা ভাবছেন তাহলে আপনার কাছে যদি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি কিন্তু ইউটিউবে চ্যানেল খুলে প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করতে পারেন। আর এই জন্য স্পেশাল কোনো টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকার প্রয়োজন নেই। যদি আপনার ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা অথবা ভিডিও পোস্ট করা অথবা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মত সামান্য জ্ঞানটুকু থেকে থাকে তাহলে আপনিও কিন্তু লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন ইউটিউব থেকে।

আর এর জন্য সবচেয়ে যে জিনিসটা প্রয়োজন হবে সেটি হলো আপনার ধৈর্য এবং অর্ধবসায় এ দুটো জিনিস যদি আপনার মধ্য থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই দিক থেকে চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করতে পারেন। প্রথমে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করে পরে যে কোন একটি মেয়ে সিলেক্ট করে তারপর কাজ শুরু করে দিতে পারেন। 

নিচে মোবাইলে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম উল্লেখ করছি যথা- 

  • PowerDirector
  • KineMaster

কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing)

কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং কি? কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় জানার আগে কন্টেন্ট রাইটিং কি তা আগে জানতে হবে কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে যখন আমরা কোন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে কোন কিছু লিখে সার্চ করি তখন দেখবেন কোন একটা বিষয় নিয়ে কোন একটা লেখা চলে এসেছ অথবা একটা আর্টিকেল চলে এসেছে অথবা আপনি সেটা ব্লগ ও বলতে পারেন। কন্টেন বিভিন্ন প্রকারের হয় যেমন :আপনারা এখন যেটি পড়ছেন এটা কিন্তু একটি কন্টেন। এই কন্টেন্টি রাইটিং লেখার জন্য একটি টাইটেল তৈরি করতে হয়েছে, একটি ছবি বানাতে হয়েছে, একটি মেটা ডেসক্রিপশন বানাতে হয়েছে, এবং কন্টেনটিতে এই যে আমি এত কথা বলছি তা কিন্তু আমি একটা চিন্তা করে আপনাদের সামনে এই আর্টিকেলটি তুলে ধরেছি আর এটাই হচ্ছে কন্টেন বা কন্টেন রাইটিং।

অর্থাৎ আর্টিকেল লিখে মানুষকে বোঝানো হয় বা কোন ব্যাপারে কোন তথ্য বা উপাত্ত মানুষকে সরবরাহ করা হয় সেটাই হচ্ছে একটি কন্টেন। উদাহরণস্বরূপ : আপনি যদি গুগলে গিয়ে লিখেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অথবা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের এবং পাকিস্তানের মধ্য যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার কারণ কি? এটা লিখে যদি আপনি গুগল এ সার্চ করেন আপনার সামনে যে টাইটেল আসে সে প্রত্যেকটি টাইটেলই কিন্তু এক একটা কনটেন্ট নির্বাহী অথবা এক একটা কনটেন্ট এর টাইটেল।

আপনি যখন সে কনটেন্টি ক্লিক করবেন বা তখন আপনার সামনে আর্টিকেলে আকারে বা ব্লক আকারে একটা তথ্য উপাত্ত অথবা একটা ডাটা আপনার সামনে চলে আসবে যেখান থেকে সে আর্টিকেলের যেই রাইটার আছে সে সে বিভিন্ন জায়গা থেকে রিচার্জ করে, তার ব্যক্তিগত জ্ঞান থেকে এবং বিভিন্ন বই থেকে জেনে শুনে আপনাকে সেই তথ্যগুলো দিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে আপনি কিছু তথ্য পেয়েছেন এটাকে মূলত কন্টেন্ট রাইটিং বলে থাকে। যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা ভাবছেন তাদের জন্য অন্যতম ও সহজ মাধ্যম হলো কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহ :

  • গুগল ডকস ( Google docs)
  • গ্রামারলি (Grammarly)
  • হেমিংওয়ে অ্যাপ (Hemingway App)
  • প্রো-রাইটিং এড (Pro writing app)
  • ওয়ার্ড টিউন (Word tune)
  • রাইটার (Writer)
  • কপিমেটিক (Copymatic)

এছাড়াও 2024 – এ কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় ও সেরা কিছু টিপস বাংলাতে

গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ইমেজ সেভ ও কালারের কম্বিনেশন এর মাধ্যমে কোন মেসেজ প্রধান করা। আবার গ্রাফিক্স ডিজাইনকে কমিউনিকেশন ডিজাইনও বলা যেতে পারে। আরো সহজ করে বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো চিন্তা শক্তি ধারনা দক্ষতা ব্যবহার করে কোন ছবি বা টেক্সট এর মাধ্যমে এমন একটা ছবি তৈরি করা যেটাতে আপনার চিন্তা শক্তি বা ধারণা শক্তিকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায় সেটা গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ হলো:

  • লোগো ডিজাইন (Logo design)
  • ফন্ট ডিজাইন (Font design)
  • টাইপোগ্রাফি (Typography)
  • বিজনেস কার্ড ডিজাইন (Business card design)
  • স্টেশনারি ডিজাইন (Stationary design)
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
  • অ্যাপ ডিজাইন (Application design /App design)
  • আইকন ডিজাইন (Icon design)
  • প্যাটার্ন ডিজাইন (Pattern design)
  • ফ্যাশন ডিজাইন (Fashion design)
  • টি-শার্ট ডিজাইন ( T shirt Design)
  • ফটোশপ ডিজাইন (Photoshop design)
  • মগ ডিজাইন (Mug design)
  • জুয়েলারি ডিজাইন (Jewellery design), ইত্যাদি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত কিছু সফটওয়্যার সমূহ:

১) এডোবি ইলাস্ট্রেটর | Adobe Illustrator

২) এডোবি ফটোশপ | Adobe Photoshop

৩) এডোবি ইন ডিজাইন | Adobe In design

৪) কোরেলড্র | CorelDraw

৫) ইঙ্কস্কেপ ( Inkcap) 

৬) এডোবি লাইটরুম (Adobe Lightroom)

ব্লগিং (Blogging)

ব্লগিং

যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ভাবছেন তাদের জন্য মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মোবাইলে ব্লগিং করা। যারা এই ব্লগে লেখালেখি করে এবং মেইন্টেইন করে তাদের ব্লগার বলা হয়। ব্লগারের ব্লগ লেখার যে প্রক্রিয়া তাকে যৌথভাবে ব্লগিং বলা হয়। ব্লগিং বর্তমান সময়ের ইন্টারনেট নির্ভর একটি অনেক জনপ্রিয় পেশা। যারা ব্লগ লেখে তারা সাধারণত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হয়। তারা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়মিত ভাবে ব্লগে লিপিবদ্ধ করে রাখে। সেই লেখা পড়ে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের নানা সমস্যা সমাধান করে। 

ওয়েব ডিজাইন (Web Design)

ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন বলতে কোন একটি ওয়েবসাইট এর নকশাকে বুঝায়। যা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। ওয়েবসাইট সাজানোর কাজই হলো ওয়েব ডিজাইন।

আরও সহজভাবে বলা যায় যে, কোন ওয়েবসাইট এর বাহিরের রুপ দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করার নাম হলো ওয়েব ডিজাইন। যেমন, ফেসবুক দেখতে একরকম, টুইটার দেখতে আরেক রকম। ওয়েবসাইটগুলোর দেখার ভিন্নতার ব্যাপারটা নির্ভর করে ওয়েবসাইট টি কিভাবে সাজানো হয়েছে তার উপর।

একটি ওয়েবসাইট এর আউটলুক, ফন্ট কালার, সাইজ, ইমেজ, ম্যানুবার, টুলবার ইত্যাদি কোথায় কেমন ভাবে থাকবে, কন্টেন্ট কিভাবে থাকবে, সর্বপোরি কোন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা যেভাবে দেখে সকল কাজই ওয়েব ডিজাইন এর অন্তর্ভূক্ত।

শেষ মন্তব্য 

আজকের পোস্টে আপনাদের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়াও আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে বাংলা ইনফোর এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সংক্রান্ত আরো কিছু জানতে চাইলে নিচের উল্লেখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। 

FAQ’s

১.  মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় এমন ৫ টি উপায় 
ইউটিউব (YouTube)
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing)
 ব্লগিং  (Blogging)
 গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
ওয়েব ডিজাইন (Web Design)

২.  বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোর মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং লেখালেখি সেক্টর-গুলি বেশি জনপ্রিয়।

৩.  ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি?

ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক (Upwork)

Leave a Comment