বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

 রমজানের হাদিস |  রমজানের ফজিলত নিয়ে হাদিস-কোরানের বাণী 2024

আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। এসে গেছে রমজান মাস, সারা বছরের সেরা মাস এটি। রমজান মাস আসলে আমরা  গুগলে রমজান নিয়ে রমজানের হাদিস দিয়ে সার্চ করে থাকি। 

তাই আজকে বাংলায় ইনফো নিয়ে এলো আপনাদের জন্য কিছু মাহে রমজান নিয়ে রমজানের হাদিস।

পরিচ্ছেদঃ ১১৮৩. রমযানের সাওম ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ হে মু’মিনগন! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হও (২:১৮৩)

( القسم: 1183. أما بخصوص وجوب صيام رمضان. قول الله تعالى: يا أيها الذين آمنوا! كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون (البقرة: 183) .

রমজানের হাদিস

১৭৭০। কুতায়বা ইবনু সা’ইদ (রহঃ) … তালহা ইবনু ’উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এলোমেলো চুলসহ একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন। তারপর বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে বলুন, আল্লাহ তা’আলা আমার উপর কত সালাত (নামায/নামাজ) ফরজ করেছেন? তিনি বলেনঃ

পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত; তবে তুমি যদি কিছু নফল আদায় কর তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আমার উপর কত সিয়াম আল্লাহ তা’আলা ফরজ করেছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ রমযান মাসের সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম); তবে তুমি যদি কিছু নফল কর তবে তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আল্লাহ আমার উপর কি পরিমান যাকাত ফরয করেছেন?

রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইসলামের বিধান জানিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরয করেছেন, আমি এর মাঝে কিছু বাড়াব না এবং কমাবও না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল কিংবা বলেছেন, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল।

  (1770 قتيبة بن سعيد (رضي الله عنه) عن طلحة بن عبيد الله (رضي الله عنه) قال: جاء رسول الله (صلى الله عليه وسلم) أعرابي أشعث الشعر. ثم قال: يا رسول الله! أخبرني، كم عدد الصلاة التي فرضها الله تعالى علي؟ قال: خمس صلوات؛ أما إذا كسبت بعض الأجر فهذا أمر منفصل. ثم قال: أخبرني كم صياماً فرض الله تعالى علي؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: الصيام (صيام/صيام/صوم) في شهر رمضان؛

ولكن إذا قمت بشيء خاطئ، فهذا أمر منفصل. ثم قال: أخبرني ما مقدار الزكاة التي فرض الله علي؟ قال الربيع: فحدثه رسول الله صلى الله عليه وسلم بأحكام الإسلام. ثم قال والذي أكرمك بالحق لا أزيد ولا أنقص مما فرض الله علي شيئا. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا صدق فقد أفلح، أو قال: إذا صدق دخل الجنة )

এছাড়াও রমজানের শুভেচ্ছা পিকচার এম এম এস ২০২৪ | রমজানের পিক দেথতে চাইলে এটি দেখতে পারেন

রমজানের হাদিস ফজিলত নিয়ে-কোরানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাণী

‘’হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার’: আল কুরআন। ‘রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত’: আল হাদিস

‘রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ’: আল হাদিস। ‘রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম’: আল হাদিস। ‘রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে’: আল হাদিস

‘রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে’: আল হাদিস। ‘রমজান আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়’: আল হাদিস। ‘রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরূপ’: আল হাদিস।

এই মাসের ফজিলত অনেক, আর এই ফজিলত পবিত্র কোরান শরীফ, রমজানের হাদিস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। ইত্তেফাক পাঠকদের জন্য এই ফজিলতের কিছু বাণী তুলে ধরা হলো।

সূরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসকে পায় সে যেন রোজা রাখে”।

আরো দেখুন 100+ ইসলামিক বোরকা পরা প্রোফাইল পিক – হিজাব পরা পিক 2024 এটি দেখতে পারেন

রমজান ও রোজার মর্যাদা সংক্রান্ত ৫টি রমজানের হাদিস

রমজানে গুনাহ মাফ হয় : মহান আল্লাহ রমজান মাসে মুমিনের পাপ মার্জনা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এক জুমা থেকে অন্য জুমা এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের সব গুনাহর জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি সে কবিরা গুনাহয় লিপ্ত না হয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩৮)

মুমিনের খুশির মাস : রমজান হলো মুমিনের আনন্দের মাস। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য আছে দুটি আনন্দ। এক আনন্দ হলো যখন সে ইফতার করে, আরেক আনন্দ হলো, যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে মিলিত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২)

জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস : রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ প্রতিদিন ইফতারের সময় কতিপয় বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন এবং তা প্রতি রাতেই হয়ে থাকে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা : সাহাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামের একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন শুধু রোজা পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তারা ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)

রমজান ক্ষমার মাস : আল্লাহ রোজাদারকে ক্ষমা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

শেষ কথা-   

আজকের আর্টিকেল কিছু রমজানের হাদিস আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম

আমাদের দেওয়া রমজানের হাদিস গুলো যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এছাড়াও রমজান মাস নিয়ে আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে বাংলা ইনফোর ভিজিট করুন।

আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 রমজানের হাদিস  |  রমজানের ফজিলত নিয়ে হাদিস-কোরানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাণী 2024 আরো জানতে চাইলে নিচের উল্লেখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন।

 রমজানের হাদিস  |  রমজানের ফজিলত নিয়ে হাদিস-কোরানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাণী 2024 সংক্রান্ত সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। 

FAQ’s

১. রমজানের সবচেয়ে কম রোজা কোন দেশে?

মৌরেটনিয়া: সবচেয়ে ছোট উপবাসের দিনটি প্রায় 13 ঘন্টা এবং 10 মিনিট নিয়ে গঠিত

২.  রমজানের দোহা কেমন?

ইফতারের পরে শহরটি জীবন্ত হয়ে ওঠে, বেশিরভাগ  দোকান, রেস্তোঁরা, সাংস্কৃতিক স্থানগুলি দিনের বেশিরভাগ বন্ধ থাকার পরে পুনরায় খোলা হয়। মাসের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ কোরআন পড়ার লক্ষ্য নিয়ে শেষ দৈনিক নামাজের (ইশার) পরে মসজিদে বিশেষ তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

৩.  আরবিতে রমজানের শুভেচ্ছা?

رمضان مبارك  (রমজান মুবারক) এই শব্দগুচ্ছটির অর্থ “ধন্য রমজান” এবং বলা হয় যে কেউ রমজান পালন করছেন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে। رمضان كريم (“রমজান কারীম”) — অনুরূপ শব্দগুচ্ছ, “উদার রমজান” কাউকে উদার এবং পরিপূর্ণ রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানাতে ব্যবহৃত হয়।

৪.  এই রমজান কি?

এটি সেই মাস যেখানে এটি বিশ্বাস করা হয় যে পবিত্র কোরআন “পুরুষ ও মহিলাদের জন্য নির্দেশিকা, নির্দেশনা ঘোষণা এবং পরিত্রাণের উপায় হিসাবে” স্বর্গ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল।

Leave a Comment