আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। এসে গেছে রমজান মাস, সারা বছরের সেরা মাস এটি। রমজান মাস আসলে আমরা রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া | রজব মাসের ফজিলত ও আমল সার্চ করে থাকি।
তাই আজকে বাংলায় ইনফো নিয়ে এলো আপনাদের জন্য কিছু রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া | রজব মাসের ফজিলত ও আমল।
রমজানের চাঁদ দেখলে কী দোয়া পড়বেন / রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবায়ে কেরামকে চাঁদ দেখতে বলতেন। রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করতেন।
সুতরাং যারা রহমতের মাস রমজানের নতুন চাঁদ দেখবেন; তারা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পড়া সেই দোয়াটি পড়বেন। যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন-
اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
আরো দেখুন মাহে রমজানের পিকচার ২০২৪ | মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪
রজব মাসের ফজিলত ও আমল
ইসলামের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস -ঐতিহ্যের সঙ্গে রজব মাসের যোগসূত্র ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। নবী করিম (স.) রজব মাসে বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে আকাশপথে মিরাজে গমন করেছিলেন। তার নবুয়ত লাভের পরবর্তী ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বিস্ময়কর ও অভাবনীয় ঘটনা। আর রসুল (স.)-এর কাছে সর্বপ্রথম রজব মাসেই ওহি অবতীর্ণ হয়।
হিজরি পঞ্চম বর্ষের রজব মাসেই মুসলমানরা হাবশারের (বর্তমান ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া) উদ্দেশে প্রথম হিজরত করেন। (উয়ুনুল আসর: ১/১৫২)। নবম হিজরির রজব মাসেই মুসলমানরা ত্যাগ-নিষ্ঠা ও কোরবানির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন। (সিরাতে ইবনে হিশাম :৫/১৯৫) তাছাড়া চতুর্দশ হিজরিতে এই মাসে মুসলমানরা সিরিয়ার রাজধানী বিজয় করেন।
পঞ্চদশ হিজরির রজব মাসে ইয়ারমুকের মর্মান্তিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৪/০৭)চান্দ্রবর্ষের অন্যান্য মাসের মতো রজব মাসের জন্য বিশেষ কিছু নফল আমল রয়েছে, যা আমল করলে জান্নাত লাভের পথ সুগম হবে। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রজব মাস শুরু হতো,
অর্থাৎ রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকেই মহানবী (স.) অব্যাহতভাবে দুই হাত তুলে ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরির রমাদান’ দোয়া পাঠ করতেন এবং তার সাহাবায়ে কিরামদের পাঠ করতে বলতেন। দোয়াটির অর্থ হলো, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দাও এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও’ (নাসায়ি:৬৫৯)। যেহেতু রসুলুল্লাহ (স.) রজব ও শাবান মাসে এই দোয়া বেশি বেশি পড়তেন,
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।সত্যিকার অর্থে পবিত্র রজব মাস আমাদের রমজানের ইবাদতের জন্য প্রস্তুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। হজরত আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, ‘আমি রসুল (স.)কে রজব ও শাবান মাসে এত বেশি রোজা পালন করতে দেখেছি, মাহে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি। তাই আমরাও যদি এই রজব মাস থেকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকি আর আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকি। তাহলে আশা রাখা যায়, আমরাও ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে সচেষ্ট হব ইনশাআল্লাহ্।
আরো জানতে রমজানের হাদিস | রমজানের ফজিলত নিয়ে হাদিস-কোরানের বাণী 2024 এখানে ক্লিক করুন।
রমজান ও রোজার মর্যাদা সংক্রান্ত ৩টি হাদিস
রমজানে গুনাহ মাফ হয় : মহান আল্লাহ রমজান মাসে মুমিনের পাপ মার্জনা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এক জুমা থেকে অন্য জুমা এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের সব গুনাহর জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি সে কবিরা গুনাহয় লিপ্ত না হয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩৮)
মুমিনের খুশির মাস : রমজান হলো মুমিনের আনন্দের মাস। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য আছে দুটি আনন্দ। এক আনন্দ হলো যখন সে ইফতার করে, আরেক আনন্দ হলো, যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে মিলিত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২)
রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা : সাহাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামের একটি দরজা আছে। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন শুধু রোজা পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তারা ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)
শেষ কথা-
আজকের আর্টিকেল কিছু রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া | রজব মাসের ফজিলত ও আমল 2024 আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম
আমাদের দেওয়া রমজানের রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া | রজব মাসের ফজিলত ও আমল গুলো যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এছাড়াও রমজান মাস নিয়ে আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে বাংলা ইনফোর ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া | রজব মাসের ফজিলত ও আমল 2024 আরো জানতে চাইলে নিচের উল্লেখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন।
রমজানের চাঁদ দেখার দোয়া | রজব মাসের ফজিলত ও আমল 2024 সংক্রান্ত সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন।
FAQ’s
১. রমজানের চাঁদ দেখার পর কোন দোয়া পড়তে হয়?
“ হে আল্লাহ, এই চাঁদ আমাদের উপর নিরাপত্তা ও ঈমানের সাথে দেখা দাও; নিরাপত্তা এবং ইসলামের সাথে। (হে চাঁদ!) তোমার ও আমার রব আল্লাহ। এই চাঁদ দিক নির্দেশনা ও কল্যাণ বয়ে আনুক।”
২. রমজানের দোহা কেমন?
ইফতারের পরে শহরটি জীবন্ত হয়ে ওঠে, বেশিরভাগ দোকান, রেস্তোঁরা, সাংস্কৃতিক স্থানগুলি দিনের বেশিরভাগ বন্ধ থাকার পরে পুনরায় খোলা হয়। মাসের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ কোরআন পড়ার লক্ষ্য নিয়ে শেষ দৈনিক নামাজের (ইশার) পরে মসজিদে বিশেষ তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
৩. আরবিতে রমজানের শুভেচ্ছা?
رمضان مبارك (রমজান মুবারক) এই শব্দগুচ্ছটির অর্থ “ধন্য রমজান” এবং বলা হয় যে কেউ রমজান পালন করছেন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে। رمضان كريم (“রমজান কারীম”) — অনুরূপ শব্দগুচ্ছ, “উদার রমজান” কাউকে উদার এবং পরিপূর্ণ রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানাতে ব্যবহৃত হয়।
৪. রমজানের সবচেয়ে কম রোজা কোন দেশে?
মৌরেটনিয়া: সবচেয়ে ছোট উপবাসের দিনটি প্রায় 13 ঘন্টা এবং 10 মিনিট নিয়ে গঠিত