বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

২০২৩ এ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, সম্পূর্ণ গাইডলাইন

আপনি কি একটা জিনিস ভাবছেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এত এত ব্লগ বা কন্টেন্ট থাকা সত্ত্বেও  আমাদের এই সাইটে আসছেন কেনো, অবশ্যই ম্যাজিক।

কিন্তু এটা কোনো ম্যাজিক না, এটা হলো ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বহু চলাচলিত কাজ বা স্ট্রেটিজি। যার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। 

বর্তমানে ৯৯% গ্রাহক অনলাইন এর উপর নির্ভর করে যেকোনো পণ্য কে যাচাই করে থাকে , সেই পদ্ধতি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি আপনাকে বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু আপনাকে সেটা সঠিক ভাবে কি করে করতে হয় সেটা জানতে হবে। 

এখন  কথা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং টা আসলে কী ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর কি কি সুবিধে অসুবিধে? এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, ডিজিটাল মার্কেটিং টা সঠিক ভাবে কি করে করতে পারবো এবং এটির  মাধ্যমে আমরা কত বা কি পরিমাণের আয় করতে পারবো?

 আপনাদের এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমার আজকের এই পোস্ট। খুব সহজ ভাবে আমি চেষ্টা করেছি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়ে আলোচনা করতে। আসা করি আমার এই পোস্টটি  একজন বিগিনার থেকে শুরু করে সবার জন্য হেল্পফুল হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি পদ্ধতি যার সাহায্যে পৃথিবীর বড় বড়  কোম্পানি গুলো নিজেদের পণ্যকে বা ব্র্যান্ডকে সকলের সামনে কন্টেন্ট বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারে । যেহেতু বর্তমানে ইন্টারনেটের মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয়ই  সময় দিয়ে থাকে।

তাই গ্রাহকরা পণ্য যাচাই এর ক্ষেত্রে অনলাইন এর উপর বেশি করে নির্ভর হচ্ছেন। “থিঙ্ক উইথ গুগল মার্কেটিং” এর মতে ৪৮% ভোক্তা সার্চ ইঞ্জিনে যা  খোঁজ করে থাকে সেখানে ৩৩% ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট ও  ২৬% মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন গুলোর মধ্যে থাকে। 

একটি ব্যবসা সেটি ছোট হউক অথবা বড় , গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ,ওয়েবসাইট , সার্চ ইঞ্জিন , মেইল মার্কেটিং এসব মাধ্যমগুলোর বেশি ব্যাবহার হয় বলে আমরা এখান থেকে সুবিধা নিতে পারি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং বাস্তবতার সদ্ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর সাহায্যে ব্যবসায়িক পণ্য এবং পরিষেবার প্রচার করে থাকে । যার ফলে একটি  ডিজিটাল বিপণন এর সাহায্যে আমরা কাঙ্খিত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কে আরো বেশি পরিমানে বাড়াতে পারি। 

স্টার্টআপ থেকে শুরু করে এন্টারপ্রাইজ ব্যবসা পর্যন্ত, যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রেই একটি বহুমুখী ডিজিটাল বা ইন্টারনেট মার্কেটিং পদ্ধতি গুলো বিরাট ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।

যেমন বাণিজ্যিক ব্যবসার পরিকাঠামোকে সঠিক কৌশল এর দ্বারা  সাধারণত অনলাইন বিজ্ঞাপন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) এবং মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(SMM) এবং ম্যানেজমেন্ট এবং বিষয়বস্তু তৈরি এসব পদ্ধতির সাহায্যে আপনার যেকোনো ব্যবসাকে আরো দ্বিগুনভাবে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো?

আমরা  আপনাদের সমস্ত  প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করতেই এসেছি এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধের মধ্যে দিয়ে আসুন তা কি একটু জেনে নি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ১০ টি সুবিধা 

১. ডিজিটাল মার্কেটিং নতুনদের জন্য শুরু করা সহজ।

২. এটির  বৈশিষ্ট ও ইন্টারনেটে এর  চাহিদা অনেক যার ফলে নতুন অবস্থায় আয় করা যায়।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য স্কিলড এর তুলনায় দ্রুততার সাথে শুরু ও শেষ করা যায়।

৪.বর্তমান বিশ্বে এটির চাহিদা বাড়ায় এর ব্যস্ততা বেড়ে চলছে। 

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে একাধিক বিষয়বস্তু রয়েছে।

৬.ডিজিটাল মার্কেটিংএ কৌশল ও নানা কার্যক্রম ও বৈচিত্র্য আছে।

৭.এটির খরচ কম, সুবিধা বেশি।

৮.অনলাইনের সাথে অফলাইনে ও মার্কেটিং কৌশলের ফলাফল বাড়ায়।

৯.নির্দিষ্ট জায়গা ও ব্যাক্তি বা পণ্য টার্গেটিং করে কাজ করা যায়।

১০.ইন্টারনেট মার্কেটিং দ্বারা বিশ্বের সব জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যায় খুবই সহজে।

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জন্য কতটা কার্যকরী?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি  নতুনদের জন্য শুরু করা সহজ হবে এর খরচ কত? আপনার এসব প্রশ্নের উত্তর নিচে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেওয়া হলো –

আপনি যদি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ রাজত্ব করতে চান তাহলে অবশ্যই এর প্রতি আপনার অনেক গুলো ব্যক্তিগত দক্ষতার থাকা অবৈশ্যৈই দরকার। 

উদাহরণ হিসেবে যদি বলি ধরুন আপনার  কোম্পানী তার বেশিরভাগ বিক্রয় উৎপন্ন করার জন্য ফুট-ট্রাফিকের উপর নির্ভর তাহলে আপনাকে Google My Business এবং Local SEO করলে আপনার জন্য সহজ হবে। তাই ওই বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

 আবার অন্যদিকে যদি একটি অনলাইন স্টোর, গুগল এবং ফেসবুকের সাথে অনলাইন বিজ্ঞাপন বা অ্যাডস এর মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য কিভাবে অ্যাডস ক্যাম্পেইন করতে হয় টা জানতে হবে। ইত্যাদি স্কিলড গুলোর মাধ্যমে দক্ষতার সাথে ব্যাবসার  কাঙ্খিত ফলাফলে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। 

আপনি যদি বিক্রয় এর উপর ফোকাস করতে চান তাহলে বিক্রয় ভিত্তিক প্রচারের উপর ই ফোকাস তৈরী করুন।  আর যদি আপনার ব্র্যান্ড এর ব্র্যান্ডিং ভেলু বাড়াতে  আগ্রহী থাকেন তাহলে দৃশ্যমানতা মানে গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কীলটা হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট। 

প্রথম দিকে নতুনদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আগ্রহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে কিন্তু তাই যদি লেগে থাকেন শেষ পর্যন্ত তাহলে খুব সহজে শুরু ও শেষ করতে পারবেন। তাই শুরুটা যত  আগ্রহ এর সাথে করবেন সেরকম ই  শেষ করতেও  হবে।

তাই প্রথমেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল গুলো শিখে পরিকল্পনাগুলোকে সঠিক লোক দিয়ে কাজে বাস্তবায়িত করে তুলুন, সাফল্য আসবেই আসবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বৈশিষ্ট ও ইন্টারনেটে চাহিদা অনেক যার ফলে নতুন অবস্থায় আয় করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশ্বে চাহিদা বেশি থাকায় এর আর্নিং এর সুবিধা ও অন্যান্য স্কিল থেকে অনেকটাই  বেশি। যার ফলে বিশেষ কোনো কঠিন দক্ষতা ছাড়াই একজন নতুন ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রথম মাস থেকে আয় করতে পারে।

যেমন আপনি যে এই ব্লগ পোস্টটি পড়ছেন  সেটির মাধ্যমেও এই ব্লক পোষ্টের অথর এবং এডমিনগণ উপার্জন করছেন । এখন ভাবছেন তো যে, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নতুনরা  আয় করবে কিসের মাধ্যমে?

একজন ডিজিটাল মার্কেটার বিভিন্ন উপায়ে আয় করে থাকে। যেমন, সে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্লাইন্টের কাজ করে থাকে রিমোটলি ভাবে। ঠিক সেভাবে তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের ওয়েবসাইট, ব্লক ইত্যাদির মাধ্যমে কন্টেন্ট বা আর্টিকেল পাবলিশড করে উপার্জন করতে পারেন। আর এই মাধ্যমটিকে আমি নতুনদের জন্য সবচেয়ে ভালো ও সেরা মাধ্যম মনে করি।

ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে যে যে মাধ্যমে আয় করে থাকে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এডভার্টাইজমেন্ট (গুগল অ্যাডসেন্স, ezoic), অ্যাফিলিয়েট (আমাজন, ক্লিকব্যাংক,) স্পন্সারশিপ, গেস্ট পোস্ট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে একজন নতুন ডিজিটাল মার্কেট তার অনলাইনে পথ চলা শুরু করতে পারে।

 ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য স্কিলড এর তুলনায় দ্রুততার সাথে শুরু ও শেষ করা যায়।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে এই চয়েস টা হচ্ছে আপনার জন্য বেস্ট। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে বিশেষ করে অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যেমন এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এসএমএম, কন্টেন রাইটিং গুগল এডওয়ার্ড বা ফেসবুক অ্যাডস ক্যাম্পেইন, ডাটা এন্ট্রিসহ ইত্যাদি আরো বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেখানে আপনি আপনার স্কিল বাড়াতে  পারেন।

ইন্টারনেট মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার সহজ এবং শেষ করাও সহজ কারণটা হচ্ছে আপনি যদি তিন থেকে ছয় মাস সম্পূর্ণ ডেডিকেটেড দিয়ে কাজ করে যান তাহলে আপনার সাফল্য আসতে বেশি সময় লাগবে না কারণ প্রবাদ বাক্যে আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের ফল। 

বর্তমান বিশ্বে এটির চাহিদা বাড়ায় এর ব্যস্ততা বেড়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বিশ্বব্যাপী, এবং আপনি এর সাহায্যে আপনার বিসনেস এর পরিসর কে বাড়াতে পারবেন।  আমাদের চারিদিকে প্রতিদিন ইন্টারনেট এর সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পদ্ধতিও ঠিক সেরকমই বেড়েই চলবে। তাই সময়ের সাথে সাথে যদি আপনি নিজেকে আপডেট না রাখেন তাহলে আপনার সাথে সাথে আপনার বিসনেস কেও আপডেট রাখতে পারবেন না।  তাই একটি অনলাইন স্টোর সহ একটি ছোট স্থানীয় ব্যবসা ই হউক তাকে  আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে এবং  সারা বিশ্ব জুড়ে  লক্ষ্য গ্রাহক গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত করতে হলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া কে সঙ্গে নিয়েই  আপনার  ব্যবসার  বৃদ্ধির সুযোগ করে দিতে হবে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিবিন্ন কৌশল আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সঠিক   লাভজনক উপায়গুলি আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে৷

একাধিক বিষয়বস্তুর প্রকার

আপনার ব্র্যান্ডকে অনলাইনে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হলো  ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।

আপনি অনেক প্লাটফর্ম এর দ্বারা আপনার অনলাইন প্রচারাভিযান তৈরি করতে এবং ব্র্যান্ড কে সতেজ রাখতে আপনি  বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে মানানসই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করে একটি ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অনলাইন প্রচারাভিযান তৈরি করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর শক্তিশালী একটি কৌশল। 

আপনার সামগ্রী বিতরণের কৌশলটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি আগে আয়ত্ত করতে হবে। কোথায় প্রকাশ করতে হবে, কাকে প্রকাশ করতে হবে, কী পোস্ট করতে হবে এবং সামগ্রীর অন্তর্নিহিত লক্ষ্যগুলি কী কী থাকবে সব কিছুর বিষয়ে আগে আপনার ধারণা তৈরী করতে হবে। 

অনলাইন মার্কেটিং আপনার গ্রাহকদের মধ্যে ব্যস্ততা বাড়াতে এবং অভিজ্ঞতা তৈরী করতে অনুমতি দেয়।  আপনার ব্র্যান্ড যত বেশি ব্যস্ততা পাবে লাভ তত বেশি আপনার হবে। 

উদাহরণস্বরূপ, পারফর্মিং বিজ্ঞাপন এবং ল্যান্ডিং পেজ থেকে বলা যাক ধরুন আপনি কয়েকটি বিষয় খুঁজে পেয়েছেন যা আপনার লক্ষ দর্শকের পছন্দ এখন আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশানের মাধ্যমে কিংবা আপনার ইমেল মার্কেটিং-এ বিষয়গুলি ব্যবহার করতে বা Youtube-এ শেয়ার করার জন্য আকর্ষক ভিডিও তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক বাড়াতে পারেন। অথবা আপনি ওই বিষয়বস্তুর উপর ব্লগ তৈরী করতে পারেন। 

 গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল আপনার লক্ষ্য দর্শকদের চাহিদা পূরণ করা এর জন্য কোন বিষয়বস্তুর ধরন কাজ করবে এবং কোথায় প্রকাশ করতে হবে তা আলাদা করা। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলে বৈচিত্র্য

ডিজিটাল বিপণনের সৌন্দর্য হল আপনার  নির্দিষ্ট ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত কৌশল বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

অপ্টিমাইজড ডিজিটাল উপস্থিতির ক্ষেত্রে সকলেরই ব্যবসার জন্য  আলাদা আলাদা প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু তার ফলে কৌশলগুলি  একে অপরের সাথে ওভারল্যাপ হবে না।

যদিও অন্যান্য কোম্পানিগুলি তাদের বিষয়বস্তু বিপণনের সাথে আরও সহজে প্রসারিত করতে পারে আরও লাভজনক উপায়ে। আপনিও আপনার বিষয়বস্তু কে এসইও -এর মাধ্যমে কিংবা রূপান্তর-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রচারগুলির সাহায্যে ট্রাফিক বাড়াতে পারেন। 

নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করার সময় সর্বদা আরও ভাল কৌশল এবং পদ্ধতি বিকাশ করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল বিষয়। বৈচিত্র্যের কারণে, লক্ষ্য এবং স্কেল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

একটি ভালভাবে সম্পাদিত ডিজিটাল বিপণন কৌশলটি জীবন্ত যা সময়ের সাথে সাথে ব্যবসায়িক রূপান্তরের প্রয়োজন হিসাবে কাজ করে থাকে। 

আপনি আপনার ব্যবসায়িক লক্ষ্যের প্রয়োজনীয়তার উপর  নির্ভর করে  প্রতিটি পর্যায়ের জন্য অনন্য পদ্ধতি তৈরি করা শুরু করতে পারেন। গ্রোথ মার্কেটিং হল এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল যা লক্ষ্য করার মতো,  অনেক কোম্পানি এর সঠিক ভাবে ব্যবহার করে আজ অনেক উপকৃত হয়েছে।

খরচ আনুমানিক কত ?

অনলাইন মার্কেটিং এর প্রতিটি কৌশল  প্রতিটি ব্যবসার জন্য উপযুক্ত নয়। 

 অন্যান্য কৌশলগুলি অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ হয়ে  থাকে , কিন্তু প্রতিটি ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে উপযুক্ত সমাধান খুঁজে পেতে আমাদেরকে সাহায্য করে থাকে। 

কিছু কিছু কৌশল  শুরু করার জন্য বিনামূল্যে, যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া এবং সামগ্রী বিপণন দিয়ে আমরা আমাদের বিসনেস কে প্রথমে শুরু করে দিতে পারি। 

স্বল্প বাজেটেও এ কটি মাঝারি আকারের কোম্পানি তার নতুন অবস্থান প্রচারের জন্য একটি স্থানীয় প্রচার তৈরি করতে  পারে।  তার জন্য নিকটতম এবং প্রাসঙ্গিক গ্রাহকদের আগে লক্ষ্য করা উচিত। 

ব্যবস্থাপনা এবং শ্রম,অনলাইন বিজ্ঞাপনের খরচ (অর্থাৎ পে-পার-ক্লিক),বিষয়বস্তু তৈরি,ডিজিটাল মার্কেটিং টুলের দাম, ল্যান্ডিং পেজ এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট-সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত পরিষেবার খরচ,আউটসোর্স হলে এজেন্সি ফি এসবকিছু হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল  খরচের উপাদান। যা প্রথম  অবস্থায়  আমাদের কে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গাইড লাইন হিসেবে মাথায় রাখতে হবে। 

 আমাদের  লক্ষ হতে হবে ডিজিটালভাবে প্রতিযোগীর খরচের তুলনায় কম খরচে  আমাদের বিক্রয় কে বৃদ্ধি করা। 

৮.অফলাইন মার্কেটিং কৌশলের ফলাফল বাড়ায়

টিভি, রেডিও, টেলিমার্কেটিং, বিলবোর্ড এবং আরও অনেক কিছু সহ অফলাইন বিপণন কৌশলগুলি ডিজিটাল বিপণনের ব্যবহার থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

আপনি যখন অনলাইন উপস্থিতি অপ্টিমাইজ করেন তখন এটি তাদের ফলাফলকে আরো  বাড়িয়ে দিতে পারে। যাতে আপনার লক্ষ্য শ্রোতারা আপনাকে  সহজেই আবার খুঁজে পেতে পারবেন ৷

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন টিভি এবং রেডিও বিজ্ঞাপনগুলি চালাচ্ছেন, তখন আপনার সহজ ব্র্যান্ডের নাম, এবং  হ্যাশট্যাগগুলি আপনাকে আবার অনলাইনে খুঁজে পাওয়ার এত একটি সহজ উপায়। 

আপনার এসইও অপ্টিমাইজ করা আপনার গ্রাহকরা যখন আপনাকে অনুসন্ধান করবে তখন সঠিক সময়ে আপনার ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলি সহজেই খুঁজে পাবে। 

আপনি আপনার টার্গেট ওয়েবসাইট এবং ল্যান্ডিং পৃষ্ঠাগুলি র রূপান্তর  করতে পারবেন। এবং অতি সহজেই আপনি অফলাইন থেকে অনলাইন এ র অ্যাকশন গুলো ট্রাক করতে পারবেন। 

স্থানীয় অফলাইন বিজ্ঞাপনের সাথে স্থানীয় অনলাইন বিজ্ঞাপনগুলি ব্যবহার করলে উভয়ের থেকে আরও বেশি ফলাফল আনতে পারবেন। 

স্থানীয় Google বিজ্ঞাপন এবং Facebook বিজ্ঞাপনগুলির মাধ্যমে , আপনি সেই জায়গায় আপনার সম্ভাব্য নাগাল এবং ব্র্যান্ড সচেতনতাকে আরো বেশি বাড়াতে পারবেন ৷ 

৯.কার্যকর টার্গেটিং

প্রতিটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল তার সুবিধার জন্য অত্যন্ত দক্ষ টার্গেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। 

আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও, কোন শ্রোতারা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে সেই আইডিয়া আপনি ডাটার সাহায্যে পেয়ে যাবেন। এবং  আপনার প্রচারাভিযানকে অপ্টিমাইজ করতে পারবেন। 

প্রথাগত বিপণন পদ্ধতির টার্গেটিং সীমাবদ্ধতাগুলি আপনার বিপণন খরচ বাড়িয়ে দেবে কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতির তুলনায় দর্শকরা সংজ্ঞায়িত নাও হতে পারে।

টার্গেটিং এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা হল ভবিষ্যত প্রচারাভিযানের জন্য আরও ভালো এবং আরো টার্গেটেড শ্রোতা তৈরি করার সুযোগ থাকে।  শ্রোতাদের অপ্টিমাইজ করার মাধ্যমে, আপনি সর্বদা শীর্ষে থাকতে পারবেন এবং  কে আপনার জন্য সেরা গ্রাহক সেটিও আপনি জানতে পারবেন।

গ্রাহকদের চাহিদা দ্রুত বোঝার ক্ষমতা  একটি কোম্পানিকে ভবিষ্যত প্রমাণ করার একটি উপায় তৈরী  করে দেয়। 

যে কেউ অনলাইন বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে জটিল টার্গেটিং বিকল্পগুলি ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারে।  ডেটা সহ বা ছাড়া, আপনার লক্ষ্য দর্শকদের সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। 

 ধরুন আপনি Facebook বিজ্ঞাপনগুলির সাথে আপনার অনলাইন স্টোরের জন্য একটি বিক্রয়-ভিত্তিক প্রচারাভিযান তৈরি করতে চান,সেই ক্ষেত্রে যদি আপনার ডাটার অভাব থাকে তাহলে কী কাজ করবে সে সম্পর্কে আপনার কোনও আস্থা না থাকে। 

তখন আপনি আপনার ব্যবসার সাথে প্রাসঙ্গিক বৃহত্তর আগ্রহ পরীক্ষা করে শুরু করতে পারেন এবং আপনার লক্ষ্য দর্শকদের  বোঝার সাথে  সাথে বিজ্ঞাপনের বাজেট করে নিতে পারেন।

১০.বিশ্বব্যাপী অনলাইন নাগাল এবং দৃশ্যমানতা।

ডিজিটাল বিপণন বিশ্বব্যাপী, এবং আপনি এটির মাধ্যমে যা  অর্জন করতে পারেন তা অপরিসীম। একটি আন্তর্জাতিক বিপণন প্রচারাভিযানের সমন্বয় করা কঠিন কারণ ঐতিহ্যগত বিপণনের থেকে ভূগোল কেন্দ্রিক বিপণন বেশি সীমাবদ্ধ। 

একটি অনলাইন স্টোর সহ একটি ছোট স্থানীয় ব্যবসা এমন একটি আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারে।  সারা বিশ্ব জুড়ে  লক্ষ্য গ্রাহক গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত থাকায় সহজেই আপনার ব্যবসার বিপণন সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। অনলাইন অ্যাক্সেসিবিলিটি আপনার  ব্যবসার  বৃদ্ধির সুযোগ খুলে দিয়েছে।

আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সঠিক  কৌশলগুলি  আপনাকে আরও লাভজনক উপায়গুলি আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে৷

সার্চ ইঞ্জিন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি একটি বিশেষ পণ্য বা পরিষেবার জন্যও অর্জন করতে পারে তা যেকোনো ব্যবসার জন্য একটি ভালো সুযোগ। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকার ?

আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় জানতে চান তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আগে কিছু ধারণা নিতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে  ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ। 

“ডিজিটাল মার্কেটিং” সম্পর্কে আরও কিছু ধারণা দেওয়ার  জন্য, এখানে  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  কিছু ডিজিটাল বিপণন প্রকার এর সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে। 

এইসমস্ত ডিজিটাল  বিপণন প্রকার আপনার ব্যবসাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

শুধুমাত্র এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের উপর ফোকাস না করে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল পদ্ধতি ব্যবহার করলে সেটি আপনার বিসনেস এর জন্য লাভদায়ক হবে।

আজকের এই পোস্ট এ আমরা শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং কী ? সেটার উপর আলোকপাত করেছি আমাদের পরবর্তী পোস্ট এ আমরা চেষ্টা করবো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডিজিটাল বিপণন প্রকার এর সম্পর্কে আলোচনা করতে। পোস্ট টি ভালো লাগলে দয়াকরে আপনাদের মতামত দিবেন এবং প্রিয়জনদের সাথে পোস্ট টি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment