সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন | সহজ নিয়মে স্বপ্ন পূরণ 

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে হলে কি কি তথ্য দিতে হবে বা কোন ধরনের চাকুরিজীবীরা সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন, পার্সোনাল লোন এর মেয়াদ, সুদের হার এবং মাসিক ভিত্তিক পরিমাণ কত হবে ইত্যাদি সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই যারা পার্সোনাল লোন গ্রহণ করতে চান কিন্তু পার্সোনাল লোন সম্পর্কে অবগত নন তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে সোনালী ব্যাংকে পার্সোনাল লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন। 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার সহজ নিয়ম 

যখনই আমাদের আর্থিক প্রয়োজনে উত্থান করে তখনই আমাদের সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন সহায়ক হতে পারে। সোনালী ব্যাংক এ লোনটি প্রদান করে ব্যক্তিদের আর্থিক চুক্তি ও প্রয়োজনীয় মৌখিক সাহায্যে। তবে এই সুবিধা গুলো পেতে হলে উল্লেখিত নিয়ম এবং শর্তগুলো অনুসরণ করতে হবে। 

১. Sonali Bank Personal Loan পাওয়ার জন্য আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আপনার আবেদন ফরম পূরণের সময় সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনার আয়, পেশা, পারিশ্রমিক অবস্থা কর্মস্থল, সঞ্চায়, ঋণ পরিষদের পূর্বের ইতিহাস ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। 

২.সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন অনুমোদনের জন্য ক্রেডিট চাই প্রয়োজন হতে পারে। তাই আপনার ক্রেডিট রিপোর্ট সঠিক হতে হবে। লোন অনুমোদিত হলে আপনার কিছু পার্সোনাল তথ্য দিতে হবে যেমন: আইডি প্রুফ, আয় প্রুফ, ঠিকানা গ্যারান্টারে তথ্য ইত্যাদি প্রয়োজন হবে। 

৩. সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর চার্জ সুদের হার এবং শর্তাবলী নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ব্যাংক পরিদর্শন করাই উত্তম। 

৪. সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন প্রধানের সময় একটি ভালো ক্রেডিট ইতিহাস এবং সঠিক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাহায্য করতে পারে যাতে আপনি আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন কারা নিতে পারবে? 

যে ব্যক্তি অধিকাংশে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি অফিসার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চাকরিজীবী, বীমা কোম্পানি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ, ব্যবসায়িক কর্মচারী, এমপিও ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আরো কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী সমন্বয়ে পার্সোনাল লোন সুবিধা পাবেন। 

তাদের লোন চাবো উপলব্ধ হওয়ার জন্য সামান্য ব্যক্তিগণের নিম্নলিখিত শর্তগুলো মেনে চলা আবশ্যক :

• ব্যাংকের পরিস্থিতি স্বাক্ষরিত দলিলের দরকার। 
• ঋণগ্রহীতার বয়স র্সবনিন্ম ২১ বছর এবং সর্বাধিক ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। 
• স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ এবং নিজস্ব আইডি প্রমাণ দিতে হবে। 
• প্রতিবন্ধীর সাথে বৈবাহিক সংযোগ প্রমাণিত করতে হবে, যদি প্রয়োজন হয়। 
• মোট আয় ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে যাতে আপনি আপনার কর্মস্থল এবং আর্থিক অবস্থা প্রমাণ করতে পারেন। 
• ঋণ পরিশোধের জন্য একটি বিশেষ হিসাব আপনার ব্যাংক খোলা আবশ্যক হতে পারে। 

ঋণগ্রহীতার এই শর্তগুলো মেনে চলে সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংক আরো ও বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে যেমন –

• ব্যবসায়িক লোন 
• হোম লোন 
• গাড়ি লোন 
• স্যালারি লোন

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার পদ্ধতি 

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে :

• সর্ব প্রথম সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 
• ঋণগ্রহীতার পরিস্থিতি এবং ঋণের পরিমাণ কত হবে তা নির্ধারণ করুন। 
• আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করুন এবং আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট সংযুক্ত করুন। 
• ডকুমেন্ট সাবমিট এবং প্রমাণিকরণ 
• পূর্ণ আবেদন ফরম এবং সম্পূর্ণ ডকুমেন্টসহ আপনার স্থানীয় সোনালী ব্যাংক শাখায় ফর্মটি সাবমিট করুন। 
• আবেদন ফরম ও ডকুমেন্ট যাচাই ও প্রমাণিকরণের জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। 
• ঋণের অনুমোদন এবং লোন ডিসবার্সমেন্ট 
• ঋণগ্রহীতার আবেদন এবং ডকুমেন্ট যাচাই সম্পন্ন হলে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা এবং ঋণের মেয়াদের উপর ভিত্তি করে ঋণের অনুমোদন দিবে। 
• ঋণ অনুমোদনের পর, ঋণের পরিমাণ ঋণগ্রহীতার সংবিধানে জমা দেওয়া হবে। 
• ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণগ্রহীতার অ্যাকাউন্টের লোন ডিসবার্সমেন্ট করা হবে। 

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। শুধুমাত্র ঋণ গ্রহনের জন্য আপনার ঋণ পরিশোধের প্রয়োজনীয় শর্ত এবং ব্যক্তিগত তথ্য ভালো করে গুরুত্ব দিতে হবে। 

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রদান করতে হবে 

• এনআইডি কার্ডে ফটোকপি 
• পাসপোর্ট বা জন্ম সনদ বা চেয়ারম্যানের সনদ বা কমিশনের সনদের ফটোকপি (স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য) 
• স্যালারি সার্টিফিকেট 
• পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
• আপনারাই প্রমাণের জন্য আয়কর রিটার্ন, (আয়কর রশিদ), সেলারি স্লিপ ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি নিম্নলিখিত কাগজপত্রের যেকোনো একটি প্রয়োজন হবে। 
• আপনার আয় প্রমাণের জন্য সংগ্রহ করা আপনার নিয়োগের নম্বর, পে তারিখ, পে পরিমাণ, কোম্পানির ঠিকানা সম্পূর্ণ সংগ্রহ বিবরণ প্রয়োজন হবে। 
• আপনি যদি ব্যাংকের সাথে বিমার বা অন্যান্য লোনের সংলগ্ন হন তাহলে সেই ডকুমেন্ট গুলির কপি প্রদান করতে হতে পারে। 
• ঋণগ্রহীতা ও জামিন দাতার উভয়ের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যালেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। 

এই তথ্যগুলো দিয়ে আপনি সোনালী ব্যাংকে আবেদন প্রচার সম্পাদন করতে পারেন এবং পার্সোনাল লোন প্রধানের জন্য আবেদন করতে পারেন। 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোনের পরিমাণ, সুদের হার ও মেয়াদ কত? 

পার্সোনাল লোনের পরিমাণ:

সোনালী ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের সর্বোচ্চ লোন নিতে পারবেন ২০লক্ষ টাকা এবং পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার আয়, ক্রেডিট রেকর্ড এবং অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারণ করবে যে আপনি কত পরিমান লোন নিতে পারবেন। 

পার্সোনাল লোনের সুদের হার:

সোনালী ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের সুদের হার ৯%। যা আপনার ধারাবাহিক অবস্থা, আবেদনের সময় প্রধানকৃত তথ্য এবং অন্যান্য শর্তাবলির উপর নির্ভর করে। 

পার্সোনাল লোন এর মেয়াদ:

সোনালী ব্যাংকে পার্সোনাল লোন এর মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সেটি সময় ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে। সুতরাং আপনার সঠিক পরিস্থিতি এবং আবেদনের সময় প্রধানকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি কত পরিমাণ লোন পেতে পারবেন সেটি নির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও লোনের ওপর ভিত্তি করে কিস্তির পরিমান হবে-

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর আবেদন করবেন যেভাবে

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোনের আবেদনের জননী মৌলিখিত পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে হবে:

১. প্রাথমিক মহল্লা কর্তৃক যাচাই 

সর্বপ্রথম সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় যেতে হবে এবং পার্সোনাল লোন সম্পর্কিত আবেদন ফরম প্রদান করতে হবে। 

২. আবেদন ফর্ম পূরণ

আবেদন ফর্মে ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে যেমন: ঋণ গ্রহীতার নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট নাম্বার, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, সর্বমোট আই এর পরিমাণ ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। 

৩. এপ্লিকেশন পি ও অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া 

ঋণ গ্রহী তার অ্যাপ্লিকেশন ফ্রি প্রদান করতে হতে পারে এবং সেই সাথে অন্যান্য কাগজপত্র যেমন আয় কাগজপত্র , ব্যক্তিগত ছবি, আইডি কার্ড এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হতে পারে। 

৪. ক্রেডিট চেক এবং আপ্রুভাল :

ঋণ গ্রহীতার প্রদানকৃত ডকুমেন্টগুলো সোনালী ব্যাংক পরীক্ষা করবে এবং ক্রেডিট চেক এবং ঋণগ্রহীতার আর্থিক স্থিতির উপর ভিত্তি করে লোন অনুমোদন করবে। 

৫. ঋণের অনুমোদন ও মেয়াদ নির্ধারণ 

ঋণ গ্রহীতার আবেদন এবং ক্রেডিট এর প্রক্রিয়ার পর সোনালী ব্যাংক ঋণগ্রহীতার ঋণের অনুমোদন এবং মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারে। 

এই পোস্টের শেষ মন্তব্য :

সোনালী ব্যাংকে পার্সোনাল লোন আবেদন করার করার জন্য আপনি সরাসরি তাদের স্থানীয় শাখা যেতে পারেন অথবা সোনালী ব্যাংক অনলাইন ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন। তবে অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সে একাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর আপনার সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করে সাবমিট করে দিতে হবে। সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিয়ে 

যদি আরো কিছু জানা থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন আমরা সর্বপ্রথম চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে। এছাড়াও সোনালী ব্যাংক লোন ফরম পূরণ করার নিয়ম কি কি জানতে চাইলে এখানে ভিজিট করতে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন। এমন আরো নতুন নতুন তথ্য পেটে বাংলা ইনফোর সাথে যুক্ত হন। ধন্যবাদ সবাইকে। 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন সংক্রান্ত আরো কিছু দেখতে চাইলে নিজেরও লিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন। 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন সংক্রান্ত সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো 

FAQ’s