যাদের মধ্য ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিন্তু তারা ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস সম্পর্কে জানেন না। অর্থাৎ কেউ যদি ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করতে চান এবং সময়সীমার পরে অধিক মুনাফ অর্জন করতে চান তাহলে Bank Asia Dps পদ্ধতি অনুসরণ করায় উত্তম। তাই আজকের আর্টিকেলে মূলত ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস সিস্টেম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি পরে এটি সম্পর্কে জেনে নিতে পারলে আপনি ব্যাংক এশিয়া সঞ্চয় ও ঋণদান পদ্ধতি সম্পর্কে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। তাই অবশ্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস ২০২৪
আপনারা যদি ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করতে চান তাহলে সমস্ত ডকুমেন্টস এর রিকোয়ারমেন্ট এবং অন্যান্য ফিচার রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। নিচে নিম্নলিখিত ফিচার গুলো উল্লেখ করা হলো:
Bank Asia Dps এর ফিচার
- টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকম অনলাইন প্রযোজ্য হবে না। আর তার মাসিক সঞ্চয় জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে সাজ বাবদ কোনো টাকা খরচ হবে না।
- টাকা জমানোর ক্ষেত্রে আপনারা আকর্ষণীয় সুদের হার উপভোগ করতে পারবেন।
- এছাড়াও টাকা জমানোর ক্ষেত্রে কোন রকমের গোপন সার্জ প্রযোজ্য হবে না।
- আপনি চাইলে ৩,৫,৭,১০ এবং সর্বোচ্চ ১২ বছরের জন্য টাকা জমা রাখতে পারবেন। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে ১২ বছরের বেশি এই ডিপিএসে টাকা জমা রাখতে পারবেন না।
- সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা মাসে সঞ্চয় করতে পারবেন।
- SOD লোন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন
- এছাড়া ও কাস্টোমার সার্জ ফ্রি সেভিংস একাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
যে সমস্ত ডকুমেন্টস লাগবে
- ডিপিএস খোলার জন্য আপনার একটি অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরম এর প্রয়োজন হবে।
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- যে ব্যক্তি এই একাউন্ট চালু করতে চান সে ব্যক্তিকে একজন নমিনি দিতে হবে।
- যে ব্যক্তি ডিপিএস করবেন সে ব্যক্তির এড্রেস যাচাই করার জন্য যেকোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।
- যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ই-টিন সার্টিফিকেট এর দরকার হবে।
- যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট খুলবেন তার ব্যাংকের নিয়ম নীতি এবং কন্ডিশন সম্পর্কে একমত পোষণ করতে হবে।
উপরের উল্লেখিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আপনি চাইলে খুব সহজেই Bank Asia Dps অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে পারবেন।
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস কয়েকটি পদ্ধতিতে ব্যাংক লোন দিয়ে থাকেন। চলুন কি পদ্ধতিতে লোন নিবেন সেই সম্পর্কে জানা যাক। ব্যাংক এশিয়া ৫ ধরনের লোন দিয়ে থাকে।
- হোম লোন
- পার্সোনাল লোন
- পেশাদার লোন
- অটো লোন
- অবসরপ্রাপ্তদের জন্য লোন
হোম লোন : এটি এমন একটি লোন এটা সবাই নিতে পারবেন এবং যারা বাড়ি কোন স্থাপন কাজের ক্ষেত্রেও এই লোন পারবেন।
পার্সোনাল লোন : এই লোন ঋণগ্রহীতা নিজ প্রয়োজনে নিতে পারবেন এ লোনের জন্য ঋণগ্রহীতার বিশেষ কোনো কারণের প্রয়োজন হয় না। সঠিক তথ্য এবং ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত কিছু সঠিকভাবে প্রদান করতে পারলে এই লোন খুব সহজে নেওয়া যায়।
পেশাদার লোন : ঋণগ্রহীতা যদি কোন কর্মজীবী হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা ব্যাংক এশিয়া থেকে পেশাদার লোন নিতে পারবেন।
অটো লোন : ঋণগ্রহীতা গাড়ি বা যেকোন বাহন কেনার ক্ষেত্রে এই লোন নিতে পারবেন।
অবসরপ্রাপ্তদের জন্য লোন : আপনি যদি কোন সরকারি চাকরিজীবী হন এবং আপনি অবসর গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে অবসরে কাগজ দেখিয়ে ব্যাংক এশিয়া থেকে লোন নিতে পারবেন।
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস অ্যাকাউন্ট চেক
ঋণগ্রহীতা যদি তার একাউন্টে কত টাকা রয়েছে তা চেক করতে চান তাহলে রোহিতার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে।
১. ঋণগ্রহীতা যদি ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে একাউন্ট নাম্বার বলেন সে তার একাউন্টের কত টাকা রয়েছে তা বলে দিবে।
২. ব্যাংক এশিয়া যে অ্যাপস রয়েছে সে এপস এর মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা খুব সহজে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট চেক করতে পারবেন।
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস লাভ
এগুলো ছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন মেয়াদী জিপিএস অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তাহলে যেসব লাভ পাবেন সে সম্পর্কে একটি চার্ট নিচে দেওয়া হলো:
আপনি প্রতিমাসে কত টাকা করে জমা রাখলে বছর আনতে কত টাকা লাভ পাবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপরে উল্লেখিত চার্টে দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি ব্যাংক হিসাব ডিপিএস খোলেন ৩ বছরের জন্য ৫০০ টাকা করে জমা রাখেন তাহলে ৩ বছর পর আপনার আপনি লাভ সহ উত্তোলন করতে পারবেন ১৯ হাজার টাকা।
আবার আপনি যদি ৫০০ টাকা করে ৫ বছরের জন্য ডিপিএস করেন তাহলে ৫ বছর পরে লাভ সহ পাবেন ৩৩ হাজার টাকা।
যদি ৫০০ টাকা করে সাত বছরের জন্য ডিপিএস করেন তাহলে লাভ সহ পাবেন ৫৫ হাজার টাকা।
আর যদি ১০ বছর মেয়াদী ৫০০ টাকা করে ডিপিএস করেন তাহলে মেয়াদ শেষে পাবেন ৮২ হাজার টাকা।
১২ বছর মেয়াদে যদি ৫০০ টাকা করে ডিপিএস করেন তাহলে মেয়াদ শেষে পাবেন ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা পাবেন।
আপনি যেহেতু ৩,৫,৭,১০ ও ১২ বছরের জন্য ব্যাংক হিসাব ডিপিএস চালু করতে পারবেন সেক্ষেত্রে এই বিভিন্ন মেয়াদি জন্য আপনি বিভিন্ন রকমের লাভ উপভোগ করতে পারবেন।
এই পোস্টের শেষ মন্তব্য
পরিশেষে বলা যায় যে ব্যাংক এশিয়ার ডিপিএস সিস্টেম এর মত সুযোগ সুবিধা রয়েছে অনেক। এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী নির্ম পরিমাণ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ টাকা এ ব্যাংক হিসেবে জমা দিতে পারবেন। তবে আপনি যদি টাকা জমা রাখার সময়সীমা বা সঞ্চয় করার সময়সীমা বৃদ্ধি করেন তাহলে, ডিপিএস অ্যাকাউন্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আপনি সুযোগ-সুবিধা বেশি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম জানতে চাইলে এটি ভিজিট করতে পারেন। মানার নতুন নতুন তথ্য পেতে বাংলা ইনফোর সাথে যুক্ত হন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস | Bank Asia Dps Details নিয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে নজরুল লিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন।
ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস | Bank Asia Dps Details সংক্রান্ত সাধারণ কিছু প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
FAQ’s
১. ব্যাংক এশিয়া সুদের হার কত ?
ব্যাংক এশিয়ার গড় বার্ষিক সুদের হার ৬%।
২. স্থায়ী ঋণ সুবিধা কি?
স্থায়ী ঋণ সুবিধার BOT এর একটি অংশ। কার্যদিবস শেষে অপর্যাপ্ততার তারল্যসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি জামানত হিসাবে যোগ্য সিকিউরিটি গুলোকে অঙ্গীকার করে রাতারাতি BOT থেকে তহবিল ধার করতে পারে।
৩. ইসিবি প্রান্তিক ঋণ সুবিধা কি?
প্রান্তিক ঋণ সুবিধা ব্যাংকগুলোকে ECB ধারা নির্ধারিত সুদের হারে জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে রাতারাতি তারুণ্য পেতে সক্ষম হয়।