বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব UPDATED

এই ক্যালকুলেটরটা অনেক ভালো। আপনারা এই ক্যালকুলেটরটা কিনতে চাইলে ডেসক্রিপশন বক্সে দেওয়ার লিঙ্কে ক্লিক করে ওমুক স্টোর থেকে নিতে পারেন। 

 ইউটিউবএ বিভিন্ন ভিডিও দেখার সময় এমন ধরনের কথাবার্তা আমরা প্রায় শুনে থাকি। আপনি কি জানেন  প্রমোট করা এমন লিংকে ক্লিক করে আপনি যদি প্রোডাক্টটি কিনে থাকেন। তাহলে সে ইউটিউবার  একটি কমিশন পায়। প্রোডাক্ট কিন্তু আপনি একটি নির্ধারিত দামে কিনছেন। কিন্তু সে ইউটিউবার কোম্পানি থেকে একটি কমিশন পাচ্ছেন। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব

এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেকে খুব ভালো উপার্জন করে থাকেন একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

ধরুণ : একজন ইউটিউবার একটি ফোন কোম্পানি থেকে ১০% কমিশন অর্থাৎ একটি ১০ হাজার টাকার মোবাইল ফোনের জন্য একজন ইউটিউবার পাবেন ১ হাজার টাকা। 

এখন সে ইউটিউবারের ভিডিওতে 

দেওয়া লিংকে ক্লিক করে যদি ১০০ জন মানুষ মোবাইলটি কিনে থাকেন তাহলে ইউটিউবার কমিশন পাচ্ছেন  ১ লক্ষ টাকা। এবং যেকোনো বড় ইউটিউবার কিন্তু প্রায় প্রতি ভিডিওতে এমন ধরনের কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন। এবং মার্কেটিং এর এই সিস্টেমটাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 

এপেলেট আপনি চাইলে অনলাইনেও করতে পারেন আবার অফলাইনেও করতে পারেন। তবে আমরা আজকে আর্টিকেলে অনলাইন মার্কেটিং নিয়ে কথা বলব তাই অনলাইন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব, কিভাবে আয় করবেন? প্রসেস গুলো কি কি? এইসব নিয়ে আজকে আর্টিকেল। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? ধরুন আপনার কাছে কিছু প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রয়েছে। এখন কেউ এসে আপনাকে বলল আমি তোমার প্রোডাক্ট গুলো সেল করতে সাহায্য করব যেসব মানুষের কাছে এসব প্রোডাক্ট সার্ভিস দরকার আমি তাদেরকে তোমার কাছে নিয়ে আসবো এবং তুমি তাদের কাছে এই প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করবে। 

পৃথিবীর সবাই চায় তাদের প্রোডাক্ট সেল হোক। তো স্বাভাবিকভাবে আপনি চাইবেন আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যেন সেল হয়। আর যদি কেউ আপনাকে স্যাল এনে দিতে পারে তাহলে আপনার তো কোন সমস্যা নেই সুতরাং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ এই ধরনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবে। 

তো যে মানুষটি আপনাকে সেল এনে দিবে বলল সে তার পারিশ্রমিক হিসেবে আপনার সামনে দুইটা মডেল প্রস্তাব করল- 

১। মাসিক পেমেন্ট – প্রতি মাসে ১০ টি সেল আসুক অথবা একটি সেলও না আসুক আপনি তাকে মাসিক ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট করবেন। 

২। সে প্রতি সেলের জন্য কমিশন নিবে – এর জন্য আপনাকে মাসিক কোন নির্দিষ্ট কোন পেমেন্ট করতে হবে না। তার মাধ্যমে যদি কোন প্রকাশ সেল হয় তখনই তাকে ওই প্রোডাক্টের দামের ৫% কমিশন দিবেন। অর্থাৎ প্রোডাক্টার দাম যদি ১০ হাজার টাকা হয় তাহলে ১০% হিসেবে তাকে ৫০০ টাকা কমিশন দিবে না এবং সেই যদি কোন সেল আনতে না পারে তাহলে তাকে কোন টাকায় দেওয়া লাগবে না। শুধুমাত্র প্রোডাক্ট সেল হলে সে প্রোডাক্টের দামের ৫% টাকা সেই নেবে। 

আপনার যেটি ভালো লাগে আপনি সেই মডেলে তাকে প্রেমেন্ট করতে পারেন। 

তো অ্যাফিলিয়েড মার্কেটিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনার নিজের প্রোডাক্ট দরকার পড়ছে না আপনি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অন্যের প্রডাক্ট সেল করে দিবেন বিনিময়ে কোম্পানির থেকে কমিশন পাবেন। যত বেশি সেল তত বেশি উপার্জন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়? 

অনলাইনে অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে মূলত ৩ ভাবে আয় করতে পারেন। 

১। প্রতি সেল থেকে 

যখন আপনার মাধ্যমে কেউ কোন কোম্পানি থেকে কিছু কিনবেন কোম্পানি তখন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন দিবে। এই কমিশন আপনি তখনই পাবেন যখন কেউ কিছু কিনবে। যদি কেউ প্রোডাক্টটি শুধুমাত্র দেখে থাকেন যদি না কেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি কোন কমিশন পাবেন না। 

২। প্রতি ক্লিক থেকে 

ক্লিক থেকে অ্যাফিলিয়েটের সিস্টেমটি হচ্ছে কেউ প্রোডাক্ট কিনুক আর না কিনুক যদি কেউ আপনার প্রমোট করার লিংকে ক্লিক করে এবং কোম্পানির ওয়েবসাইটে ভিজিট করে তাহলে আপনি একটি কমিশন পাবেন। খেতে কমিশনে পরিমাণ কম হয়ে থাকে তবে এটাও কিন্তু বেশ ভালো একটি সিস্টেম। এই ধরনের ক্লিক এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করলে কমিশন দেওয়া তানা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়া হয় যেমন প্রতি ক্লিকের জন্য ২৫ সেন্ট করে পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রমোট করার লিংকে চারজন ক্লিক করলে আপনি পেয়ে যাবেন ১ ডলার। 

৩। প্রতি লিড থেকে 

এই লিডের ব্যাপারটি হচ্ছে যদি আপনার প্রমোট করার লিংকে যদি ক্লিক করে কোম্পানির ওয়েবসাইট কিংবা ও কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে যায় তাদের প্রোডাক্ট কিংবা তাদের সার্ভিস কিনতে আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে প্রোডাক্ট কেনাটা জরুরী নয়। শুধুমাত্র আগ্রহী দেখালে বা তাদেরকে মেসেজ করলে বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি একটি কমিশন পাবেন। 

আরো দেখুন কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করে?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? যেকোনো মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য  প্রোডাক্ট সেল করা ঠিক তেমনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও তাই। প্রোডাক্ট সেল করার জন্য প্রমোশন করতে হবে। প্রমোশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। তাহলে মানুষের কাছে আমি কিভাবে পৌঁছাব। মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মের সাহায্য নিতে পারি যেমন ধরুন ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক গ্রুপ পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি। 

আপনি যে মাধ্যমে ব্যবহার করুন না কেন আপনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কাছে পৌঁছানো। ফেসবুক ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে পেজ কিংবা গ্রুপে প্রচুর মেম্বার লাগবে। ইউটিউব চ্যানেল হলে সেখানেও অনেক সাবস্ক্রাইবার দরকার। আর ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চাইলে ওয়েবসাইটে প্রচুর ট্রাফিক এবং ভিজিটর থাকতে হবে। 

আপনার কাছে বেশি ট্রাফিক থাকলে আপনার একটি পোস্ট কিংবা ব্লক অনেক মানুষের কাছে পৌঁছেবে তখন আপনার শেয়ার করা লিংক এর মাধ্যমে যে কোন প্রোডাক্ট কেউ যখন কিনবে আপনি তখন তার একটি কমিশন পাবেন। 

ইউটিউবের ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ভিডিওর মাঝে প্রডাক্ট নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি ক্লিক মার্কেটিং করতে পারেন। 

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্লগে লিংকটি শেয়ার করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করতে পারবেন। প্রচুর ভিজিটর পাওয়ার জন্য আপনাকে কোয়ালিটি আর্টিকেল কোর্স করতে হবে, ভালো ভিডিও কনটেন্ট বানাতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।  আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব তা বুজতে পেরেছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? এটি জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?

একটি প্রতিষ্ঠান অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিশেষ কিছু পণ্য বা সেবা প্রচার করে। ওই পণ্য বা সেবার বিশেষ একটি লিংক বা কোড ব্যবহার করে অন্য কাউকে রেফার করে এবং যেকোনো ব্যক্তি কিছু পণ্য ক্রয় করে, ফলে যে ব্যক্তি তাদের রেফার করেছে সে ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রিত পণ্যের মান অনুযায়ী একটি কমিশন পায়।

এটি একটি পদ্ধতি যা প্রতিষ্ঠানটি নতুন গ্রাহক পেতে সাহায্য করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে ব্যক্তি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তৈরি বা বিক্রি করেন তিনি একটি বিশেষ কিছু সিস্টেম চালু করে রাখেন। যারা ওই প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে এবং সার্ভিসগুলো পেতে চান তারা সাইন আপ করে বিশেষ লিংক সংগ্রহ করেন। যখন কেউ কিছু কিনার জন্য বিশেষ লিংক দিয়ে কেনাকাটা করেন, তখন ওই মার্কেটার একটি নির্দিষ্ট কমিশন পান। 

জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস 

বর্তমানে সময়ের জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে – 

১. CJ Affiliate

CJ Affiliate

এটি মূলত ডিজিটাল পণ্য নিয়ে নির্মিত। আপনি যদি ডিজিটালপূর্ণ নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো একটি অপশন হলো CJ Affiliate। 

২. eBay Partner

eBay Partner

eBay Partner মূলত ফিজিক্যাল পণ্য বিক্রয়ের জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। eBay Partner অনেকটাই amazon এর মতই এখানে যেকোনো পণ্যের জন্য আপনি প্রোগ্রামটি ব্যবহার করতে পারেন। 

৩. Amazon Associates 

Amazon Associates

বর্তমানে অ্যামাজন  বিশ্বের বিশ্বের দিকে রয়েছে। এখানে আপনি অ্যামাজন এর বিভিন্ন পণ্যর অ্যাফিলিয়েট করতে পারবেন। এই সাইটের রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব। 

শেষ কথা 

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবতা নিয়ে আলোচনা করেছি। 

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব এই বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই ধরনের অনলাইনে ইনকাম বিষয়ে আরো জানতে হলে 

বাংলা ইনফোর ওয়েবসাইটটি অনুরোধপূর্বক একবার ভিজিট করে যাবেন এবং এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন। 

আমাদের আর্টিকেলটিতে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। 

নিচের ভিডিওটি দেখলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

https://www.youtube.com/watch?v=IUXasjB7tJ8

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব সংক্রান্ত সাধারণ কিছু প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো 

FAQ’s

১। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি লাগে? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন – ইনভেস্টমেন্ট মৌলিক কাজে দক্ষ হওয়া, ইত্যাদি। 

২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়? 

কোম্পানির কমিশন এবং আপনার কাজের উপর নির্ভর করে টাকা আয় করতে পারবেন। 

৩। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে কতদিন সময় লাগে? 

অ্যাপলেট মার্কেটিং করে আয় করতে সম্পূর্ণভাবে আপনার কাজের ওপর নির্ভর করে। আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি আপনার আয় হবে বিশেষ করে ৬ থেকে ১২ মাস সময় লাগতে পারে। 

Leave a Comment