অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একটি বিপণি (affiliate) একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা পণ্য বা সেবা পরিচিত করার জন্য অন্য একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মাধ্যমে প্রচার করে এবং প্রচারকে সমর্থন দেয় তাদের উদ্দেশ্যে কোন অফার বা মূল্যায়ন প্রাপ্ত করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা হয়েছে:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বিকল্প বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যেখানে কোন প্রতিষ্ঠান অথবা ব্র্যান্ড অন্য ব্যবহারকারীর ওয়েবসাইটে তাদের পণ্য বা পরিষেবা বিজ্ঞাপন দেখায় এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিক্রি সম্পন্ন হলে ওয়েবসাইটের মালিককে কিছু কমিশন দেয়। হ্যাঁ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সম্ভবনা হলো যে অনেক সফল অনলাইন ব্যবসার পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন
- ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ৮টি জনপ্রিয় কাজ যা থেকে আপনি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
- ২০২৩ এ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, সম্পূর্ণ গাইডলাইন
Affiliate Marketing (অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং) কি : Affiliate শব্দের অর্থ হচ্ছে অনুমোদিত, Marketing শব্দের অর্থ হচ্ছে বিপণন। সুতরাং Affiliate Marketing হচ্ছে আপনার প্রডাক্ট নাই কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্ট তাদের অনুমোদন স্বাপেক্ষে নির্ধারিত লিংকের মাধ্যমে বিপণন করে নির্ধারিত % কমিশন অর্জন করা।
কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করে?
- রেজিস্ট্রেশন: একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে হলে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
- উদাহরণ লেখা: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তাদের উদাহরণের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে লেখা বা ভিডিও তৈরি করতে পারে, যেখানে তারা পণ্য বা সেবা প্রচার করবে।
- লিঙ্ক শেয়ার করা: তারা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের একটি স্পেসিফিক লিঙ্ক শেয়ার করে এবং লোকজনের এই লিঙ্কে ক্লিক করলে ওই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার মাধ্যমে প্রষ্ট পরিচোধিত হয়।
- কমিশন অর্জন: লোকজন যখন ওই লিঙ্কে ক্লিক করে এবং প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনলে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কমিশন পাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপকারিতা:
- সার্বজনীন প্রচার: প্রতিষ্ঠানগুলি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রচার বাড়াতে পারে এবং উৎসাহিত করতে পারে লোকজনকে তাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কিনতে।
- মাধ্যমিক আয়: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে লোকজনরা অনলাইনে আয় করতে পারে এবং এটি একটি মাধ্যমিক পেশা হিসেবে প্রস্তুত থাকতে পারে।
- ব্যক্তিগত স্বাধীনতা: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে একজন ব্যক্তি বিশেষ কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে বন্ধুত্বপূর্ণ একটি সাথে কাজ করতে পারে, তার স্বাধীনতা বজায় রেখে।
এই উপায়ে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সমৃদ্ধি এবং উদার ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে উভয় প্রতিষ্ঠান এবং অফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য একটি উত্তরস্বরূপ সৃষ্টি করে।
৪. অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় :
হ্যাঁ, আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় এবং দ্রুত বাড়ছে অনলাইনে টাকা উপার্জনের জন্যে। আমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ার মাধ্যমে, আপনি আমাজনের ওয়েবসাইট থেকে পণ্যের একটি অনুমোদিত লিঙ্ক পেয়ে তারপর সেই লিঙ্কের মাধ্যমে প্রচার করে আসল ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে পারেন। যদি কেউ আপনার প্রচার করা লিঙ্ক থেকে পণ্য কিনে তাদের মাধ্যমে আপনি কমিশন পাচ্ছেন।
একটি সাধারিত প্রক্রিয়া হলো: আমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন: আপনি আমাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
পণ্য নির্বাচন এবং লিঙ্ক তৈরি: আমাজনে অনুমোদিত পণ্য নির্বাচন করুন এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড থেকে সেই পণ্যের জন্য একটি অনুমোদিত লিঙ্ক তৈরি করুন।
লিঙ্ক প্রচার করুন: আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ইমেইল নিউজলেটার ইত্যাদি মাধ্যমে আমাজনের পণ্যের লিঙ্ক প্রচার করতে পারেন।কমিশন উপার্জন: আপনি যদি কেউ আপনার প্রচার করা লিঙ্ক থেকে পণ্য কিনে, তাদের মাধ্যমে আপনি কমিশন পাচ্ছেন। আমাজন এই কমিশন পেমেন্ট করে এবং তা আপনার একাউন্টে জমা দেয়। এই প্রক্রিয়া মূলত অনলাইন প্রচার এবং পণ্য বা সেবা বিজ্ঞান করার একটি কারগরী উপায় এবং বেশিরভাগ লোকের জন্য এটি একটি সহজ পথে অনলাইনে আয় করার একটি সুযোগ তৈরি করে।
অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কোন ক্রেতা পূর্ণ ক্রয় করলে তার একটি অংশ আফেলিয়েট বোনাস হিসাবে মার্কেটরের একাউন্টে যুক্ত হয় অনেক ক্রেতা যদি তাৎক্ষণিকভাবে কোন পণ্য না করে কিছুদিন পরে ক্রয় করে সে ক্ষেত্রে ওআফিলিয়েট মার্কেট আর তার মুনাফার অংশ পাবে |
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টিপস কোথায় এবং কিভাবে প্রমোট করবেন !
১। ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় – একটি পেইজ খুলে ফেলতে পারেন। সেখানে নিয়মিতভাবে লিখালিখি করতে পারেন। পেইড এডভার্টাইজমেন্টও করতে পারেন সম্ভব হলে। নিজের টাইমলাইনেও লিখতে পারেন। বিভিন্ন পাবলিক গ্রুপেও লিখতে পারেন, প্রোমোট করতে পারেন। লিখতে পারেন, বা ভিডিও আপলোড করতে পারেন, বা ছবি আপলোড করতে পারেন!
২। ইমেইল মার্কেটিং – ব্লগ বা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মানুষের ইমেইল এড্রেস এবং সম্ভব হলে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করুন। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে আমাদের কোর্সগুলো ইমেইল, এসএমএস এর মাধ্যমে প্রোমোট করুন। ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য Mailchimp নামের এই অসাধারণ Free Tool টি ব্যবহার করতে পারেন।
৩। পার্সোনাল ব্লগ/ওয়েবসাইট – সম্ভব হলে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি নিজের একটা ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানেও লিখালিখি করতে পারেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল পাবলিশ করুন এবং সেখানে আমাদের কোর্সগুলো প্রোমোট করুন। দরকারি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখুন, যেগুলো পড়ে মানুষের কাজে লাগে।
৪। ইউটিউব – একটি চ্যানেল খুলে সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন। একটা নির্দিষ্ট ইনডাস্ট্রিতে থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করুন, এমন ভিডিও তৈরি করুন যাতে মানুষের উপকারে আসে। ভিডিওতে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনে বহুব্রীহির কোর্স প্রোমোট করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ তিনটি পক্ষ কাজ করে-
মার্চেন্ট – মার্চেন্ট মূলত পণ্য/সেবা তৈরি ও বিক্রি করে থাকে
কাস্টমার – তারা মার্চেন্টের সেই পণ্য/সেবা ক্রয় করে থাকে
অ্যাফিলিয়েট – তারা মার্চেন্টের তৈরিকৃত পণ্য/সেবা কাস্টমারের কাছে প্রোমোট করে এবং কাস্টমার সেই পণ্য/সেবা কিনলে অ্যাফিলিয়েটরা মার্চেন্টদের থেকে কিছু কমিশন লাভ করে |
এবার জানাবো বহুব্রীহির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম কেন এতো স্পেশাল..!
২০% এফিলিয়েট কমিশনঃ বাংলাদেশে সবচেয়ে পপুলার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অন্যতম হচ্ছে অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। অ্যামাজনের প্রোগ্রামে অ্যাফিলিয়েটরা ৪% থেকে শুরু করে ১০% পর্যন্ত কমিশন পায়। দেশি বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসায়ীরাও প্রতিটি প্রোডাক্টের ৫-৮% কমিশন দিয়ে থাকে অ্যাফিলিয়েটদের। সেখানে বহুব্রীহিতে অ্যাফিলিয়েটরা পাচ্ছেন ২০% কমিশন! ই-লার্নিং ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য প্লাটফর্মের তুলনায়ও এটি অনেক বেশি।
এছাড়া অন্যান্য আরও অনেক সুবিধা রয়েছে, সেগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
Passive Income!
Passive Income বলতে যা বুঝায় আরকি- ঘুমের মধ্যেও ইনকাম করা! অডিয়েন্স তৈরি করা আর তাদের মাঝে বহুব্রীহির অনলাইন কোর্স প্রোমোট করার পর আপনার প্রগ্রেস এবং ইনকাম পর্যবেক্ষণ করুন। বহুব্রীহির Affiliate Dashboard থেকে দেখা যাবে ঠিক কতজন মানুষ আপনার রেফারেন্সে ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে, কতজন মানুষ কত টাকার কোর্স কিনেছে, তা থেকে কত টাকা আপনি কমিশন পেলেন!
এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর
-
✓ অ্যাফিলিয়েট হতে কত খরচ হবে?
আমাদের অ্যাফিলিয়েট হওয়ার জন্য কোন টাকা লাগবে না; সম্পূর্ণ ফ্রি-তে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে। এছাড়া এখানে কোন ন্যুনতম সেলস এর লিমিট নেই, যতটুক সেল করবেন ততটুকুর উপরই কমিশন পাবেন।
-
✓ কত সময় দেয়া লাগবে এর পিছে?
এটাও সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। যদি কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দিনে কমপক্ষে ১-২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে দেখতে পারেন। কেমন ফলাফল আসছে তার উপর ভিত্তি করা কম বা বেশি সময় দিতে পারেন।
-
✓ আমি কত টাকা উপার্জনের আশা করতে পারি?
এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর। আপনার উপার্জন নির্ভর করছে আপনার সুপারিশকৃত সেলস এর উপর। আমরা প্রতি সেল এর জন্য ২০% করে কমিশন দিয়ে থাকি। যত সুপারিশ করবেন, আর যত সেলস হবে, ততই আপনার উপার্জন বাড়বে।
-
✓ আমার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কি আপনাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের যোগ্য?
প্রায় সকম ওয়েবসাইট বা ব্লগ ই আমাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য। তবে আপনার ব্লগ/পেইজ/ওয়েবসাইট/চ্যানেলে কোন ধরনের বিতর্কিত বা বেআইনি কন্টেন্ট থাকলে, আমরা মেম্বারশিপ বাতিল করে দিতে পারি।
-
✓ আমি আসলে কি শেয়ার করবো?
এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনি আমাদের যেকোন কোর্সের লিংক শেয়ার করতে পারেন। কিংবা বহুব্রীহির হোমপেইজের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন।