ধরা যাক আপনি ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার এর কাজ করতে পারেন। এ কথা শুধুমাত্র আপনার একান্ত যারা আপনার সাথে মিশে শুধুমাত্র তারাই জানবে এটাই ঠিক। অন্যরা জানার প্রশ্নই আসে না। তাহলে ধরুন আপনি কাজ পারেন তা সবাইকে জানাবেন। এর জন্য আপনাকে কি করতে হবে? আপনাকে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। আপনার প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম হতে পারে যেমন লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি। কিন্তু ইন্টারনেটে তো এগুলো নেই তাহলে আপনার প্রচা্র করবেন কিভাবে? এজন্যই প্রয়োজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO।
এই যুগটাই ডিজিটাল যুগ। তাই মার্কেটিং এখন ডিজিটালাইজ হয়েছে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলোসার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) -যাকে সংক্ষেপে এসইও (SEO) বলে। ইন্টারনেটের ব্যবহার এর সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য খুজে বের করার জন্য। ইন্টারনেটে ব্যবসা বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে এসইও (SEO) এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়মকানুন যা অনুসরণ করলে সার্চ ইঞ্জিন কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং Rank করে থাকে। আর এই যে সামনে নিয়ে আসা বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করাটা এজন্য গুরুত্বপূর্ণ কারন প্রতিযোগিতার এই মার্কেটে আপনি যদি সামনের সারিতে না থাকতে পারেন তাহলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনএর মাধ্যমে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে পাই।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রধান উদ্দেশ্য কি?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে-
সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে দাড় করানো।
ওয়েব সাইটের জনোপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা।
একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।
বিভিন্ন ধরনের অনলাইন থেকে আয় করার প্লাটফরম হিসেবে কাজ করানো।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে
সার্চ ইঞ্জিনগুলো মানুষের তথ্য খুজে পাওয়ার জন্য কাজ করে। কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন এর সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম সেট করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সামনে নিয়ে আসে যাতে কেউ সার্চ দিলে সেই সাইট টি সামনে দেখতে পায়। মানসম্মত কিনা, প্রয়োজনীয়তা এবং জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে সেই সাইট টিকে সেরা নির্বাচন করা হয়। এসইও করার সবচেয়ে শক্তিশালী টেকনিক হলো লিংক বিল্ডিং। গুগলসহ যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে যখন আমরা কিছু লিখে সার্চ করি, তখন সার্চ রেজাল্ট যে পেইজে আসে সে পেইজকে বলা হয় SERP (Search Engine Result Pages)। কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে SERP-এ প্রথম দিকে দেখানোই এসইও -র মূল কাজ। এই ইঞ্জিনগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সকল তথ্য ধরে রাখে এবং যখনই কোন ব্যাক্তি কোন ওয়েবসাইটের কোন তথ্য জানতে চাইবে,তখনই তা তার সামনে তুলে ধরবে। গুগল ২০০ টিরও বেশি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরব্যবহার করে। পেইজের কন্টেন্টের প্রাসঙ্গিকতার ওপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলো Rank করে। নিচে কিছু সার্চ ইঞ্জিনের নাম দেওয়া হলোঃ
ক্রলের সরাসরি বাংলা অর্থ – হামাগুড়ি দেওয়া। অর্থাৎ আপনি যখন কোন কি-ওয়ার্ড সার্চ করেন তখন সর্ব প্রথম গুগল তার আগে থেকে ইনডেক্স করা তথ্য থেকে খুঁজতে থাকে কোন রেজাল্টটি আপনার জন্য ভালো হবে। এই খোজা-খুজির প্রসেসটা কে বলা হয় ক্রলিং। আর যে ক্রল করে তাকে বলা হয় ‘ক্রলার’ অনেক ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে ‘স্পাইডার’।
ইন্ডেক্স (Index)
সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্সিং হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন গুলো আগে থেকে তাদের সার্চ রেজাল্ট দেখানোর জন্য স্টোর করে রাখার প্রকৃয়া। আগে থেকে বই সাজিয়ে রাখলে কোথায় কোন বই আছে জানতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনই সার্চ ইঞ্জিন আগে থেকে ইনডেক্স করে রাখলে তাদের পরবর্তীতে রেজাল্ট দেখাতে খুব সুবিধা হয়। এজন্য প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিন আগে থেকে ইনডেক্স করে রাখে।
র্যাঙ্ক (Rank)
গুগল সহ আরো যত সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে, তাদের বেশ কিছু নিয়ম কানুন আছে কি কি করলে তারা আপনার কন্টেন্ট কে সবার প্রথমে শো করাবে। আর এই নিয়ম কানুন গুলোকে বলা হয়ে থাকে র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। সাধারণত গুগলের ২১৭ টির মত র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর রয়েছে। এটি খুবই পরিবর্তনশীল। কখনো কমে আবার কখনো বাড়ে। আর এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর কে প্রথমে শো করবে আর, কে ক্রমান্বয়ে শেষের দিকে শো করবে তার পুরো প্রকৃয়া যেটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে বলা হয় র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কেন প্রয়োজন?
একটি ওয়েবসাইট বানানোর পরই কাজ শেষ হয়ে যায়না। এই ওয়েবসাইটটি সচল ও একটিভ রাখার জন্য অনেক কাজ করতে হয়। আপনার ওয়েবসাইটটি বানানোর পর এর পরিচিতি বাড়ানোর জন্য SEO গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওয়েব সাইট বানানোর পিছনে সবার একটা লক্ষ্য থাকে। কেউ তার ব্যবসার জন্য, আবার কেউবা পন্য ক্রয়-বিক্রয় বা মার্কেটিং এর জন্য ওয়েবসাইট বানায়। আসলে এগুলো করতে হলে প্রয়োজন হয় ভিজিটরের। আপনার সাইটের ভিজিটর ভাল না হলে ভাল ফলাফল আসা করা যায় না। তাই সবাই চায় তার ওয়েবসাইট সার্চে ১ নম্বরে আসুক।
আর এ জন্য আমরা যে কাজটি পদ্ধতিগত ভাবে করি তাই SEO। যেকোন ওয়েবসাইটের জন্য SEO এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম কারণ এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সরা খুব সহজেই আপনার কন্টেন্ট খুঁজে পাবেন। ওয়েবসাইট SEO করার ফলে আগের থেকে অনেক বেশি অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া যাবে। যদি আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করা হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইট এ কন্টেন্ট এড করেও প্রোডাক্ট এর সেল হবেনা। কারন আপনার ওয়েবসাইট এর যেহেতু SEO করা নেই সেহেতু সেটা সার্চ ইঞ্জিন এর অনেক পরের পেইজে অবস্থান করে। তাই কোনো কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট এর নাম লিখে সার্চ করলেও ওই প্রডাক্ট যাদের ওয়েবসাইট এ আছে তাদের টা সামনে শো করে কিন্তু আপনার টা পেছনে পরে থাকে। এই অবস্থায় আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই SEO করা দরকার। শতকরা ৮০% ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য SEO করা কতটা প্রয়োজন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন-এর ইতিহাস
ইন্টারনেট সৃষ্টি এবং ব্যবহার যখন বাড়তে থাকে ঠিক তখন থেকেই মূলত এসইও (SEO)-এর যাত্রা শুরু হয় । যখন ইন্টারনেট এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এর ব্যবহার ও বাড়তে থাকে তখন সকল ওয়েবসাইটকে সংগঠিত করা বা একত্রিত করে ওয়েবসাইটগুলোতে শ্রেণিবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে । ঠিক তখনই ওয়েবমাস্টারগণ অনুসন্ধান ইঞ্জিনের উন্নয়ন এর দিকে মনোযোগ দেন। ১৯৯৫ সালে এসইও (SEO) প্রথম অফিসিয়ালভাবে যাত্রা শুরু করে। ইয়াহু ডেভেলপারগন সর্ব প্রথম এ্যালফ্যাবেটিক অপটিমাইজেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন খুব বেশি সময় নয়, মাত্র ১ বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এসইও (SEO) এর ব্যাপকতা শুরু হয় । ২০০০-২০০৭ সালের দিকে গুগলের এসইও (SEO) এক্সপার্টরা র্যাংক ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা শুরু করে। কিন্তু এ সময় কিছু সমস্যা ছিল তখন এসইও (SEO) এর পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী এসইও (SEO) এক্সপার্টগন তাদের ওয়েবসাইটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনে জমা করতেন এবং ডিরেকটরি টাইপের কিছু লিংক বিল্ডিং করতেন। কিন্তু সমস্যা হল এ নিয়ম অনুযায়ী অনেক লুকানো পৃষ্ঠা সৃষ্টি করা হত এবং কী-ওয়ার্ড স্টাফই এর মধ্যে ছিলো । এ সকল সমস্যার সমাধান করতে অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুগল নতুন ভাবে নিয়ে এলো গুগল ক্রলার। অনুসন্ধান ইঞ্জিন এর সাথে ক্রলার সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পর এসইও-তে (SEO) কী-ওয়ার্ড স্টাফিং ও কমে আসলো । এভাবে মূলত আধুনিক SEO এর যাত্রা শুরু হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কত প্রকার ও কী কী?
(SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত কত প্রকার ও কি কি? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকে অনেক ভাবে দিয়ে থাকে। কেউ কেউ বলে এসইও (SEO) হচ্ছে দুই প্রকার। অন পেজ এসইও (On Page SEO) এবং অফ পেজ এসইও (Of Page SEO)। আবার অনেকে বলে জেনারেল এসইও, লোকাল এসইও, ব্লগিং এসইও, ইন্টারন্যাশনাল এসইও, অ্যাফিলিয়েট এসইও ইত্যাদি। সার্চ ইঞ্জিন মূলত ৪ রকমের হতে পারে।
অন পেজ এসইও (On page Seo)
অফ পেজ এসইও (Off page Seo)
টেকনিক্যাল এসইও (Tecenical Seo)
ই-কমার্স এসইও (E-commerce SEO)
অন পেজ এসইও (On Page Seo)
অন পেজ SEO হচ্ছে এমন একটি প্রসেস যেই প্রসেস এর মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট এর যে কোন পেজ এর অপটিমাইজ করে অধিকতর ট্রাফিক বা ভিসিটর পাবার সিস্টেম । অন-পেজ এসইও (On Page Seo) করার কারণ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটটি যাতে কোনো সমস্যার সম্মখীন না হয়। নিম্নলিখিত পয়েন্ট গুলো অন পেইজ অপ্টিমাইজেশনের জন্য ব্যাবহার করা হয়।
Keyword Analysis
Competitor Analysis (Website)
Title Optimization
Meta Description Optimization
Heading (H1, H2, H3, H4, H5, H6)
Blod
Hyperlink
Alt Text
Permalink/ Slug/ URL Optimization
Image Optimization
Speed Optimization
Internal Linking
External Linking
Sitemap
Robots.txt
Search Console Setup
Google Analysis
অফ পেজ এসইও(Off-Page SEO):
ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে লিঙ্ক তৈরি করে ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করা। অফ পেইজ পেইজ এসইওর অধীনে ব্যবহৃত কৌশলগুলি হ’ল –
Video Marketing
Article/PDF Submission
Question-answer site
Business Reviews
Press Release
Forum Posting
Back linking
Blog Commenting
Photo Sharing
Directory Submission
Social Bookmarking
Photo Sharing
Local Listing
টেকনিক্যাল এসইও (Tecenical Seo)
টেকনিকাল এসইও আপনার র্যাংকিং এর বড় ফ্যাক্টর। যদিও টেকনিকাল এসইও খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। এটি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি যা একটি ওয়েবসাইটকে অরগানিক র্যাংকিং (Organic Ranking) পাওয়ার জন্য আধুনিক অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলির প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।
ই-কমার্স এসইও (E-commerce SEO)
ই-কমার্স SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বাণিজ্য কাজ পরিচালনা করে।
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলতে চাই এই অনলাইনের যুগে আপনি যদি অনায়েসে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সেক্টরটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। তাই আমার পরামর্শ হবে আপনি প্রথমে এই ব্যাপারে ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখে ধারনা নিন, অতঃপর ভালো কোন ইন্সটিটিউট থেকে একটা কোর্স করে শিখে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে থাকুন। ইনশাআল্লহ ভালো কিছু হবে।
FAQ:
এসইও (SEO) কিভাবে শিখবো?
আপনি যদি এসইও শিখতে চান তাহলে আপনাকে পড়াশুনার পাশাপাশি প্রাকটিস করতে হবে। আপনি অনলাইনে অনেক রিসৌর্স পাবেন এসইও শিখার জন্য। কিন্তু আপনাকে তো আগে জানতে হবে কোন জায়গা থেকে শুরু করতে হবে? তাই অনলাইন এর রিসৌর্স এর পাশাপাশি আপনি কোর্স করে নিতে পারেন।
SEO শিখতে কি কি লাগে?
Seo বা শিখতে বা জানতে HTML বা আর কিছুই জানার দরকার নেই। ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করে সে ব্যাপারে আপনার এখানে কোন লেনাদেনা নেই, আপনাকে শিখতে হবে সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে কোন কন্টেন্ট বা ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে বা সার্চ র্যাঙ্ক প্রদান করে। তারপরে সে অনুসারে কাজ করতে হবে।
কিভাবে এস ই ও করে আয় করবো?
অনলাইন জগতে সেলস এবং মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের অন্যতম বৃহতর অংশ হচ্ছে এসইও।Google বা অন্যান্য সকল সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে অনলাইন ভিত্তিক কোন সেবা প্রদান করা অথবা কোন ওয়েবসাইট মার্কেটিং করাই মূলত হচ্ছে SEO। এসইও (SEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) বিষয়ে সঠিক ধারনা থাকলে সেটাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন উপায়ে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব। মার্কেটপ্লেসে SEO এর কাজ করে কত টাকা উপার্জন করা সম্ভব বা কত টাকা আয় করা যায় তার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে যারা ভালো মানের SEO Expert তারা প্রতি মাসে মিনিমাম ৩০-৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন।
ইংরেজি শব্দ (Marketing)এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো বিপনন বা বাজারজাতকরন। ল্যাটিন শব্দ Marcatus থেকে ইংরেজি শব্দ Market শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। আর Market শব্দ থেকে পরবর্তীতে Marketing শব্দের উতপত্তি হয়েছে। এটি…
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একটি বিপণি (affiliate) একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা পণ্য বা সেবা পরিচিত করার জন্য অন্য একটি…
কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কে গ্রাহকের নিকট পৌছানোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা তাই জানতে পারবো।আমি বা আমরা…
বর্তমান যুগটাই এখন অনলাইনের। তথ্যপ্রযুক্তি পাল্টে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। অনলাইন উন্মোচন করছে কাজের নতুন নতুন দিগন্ত।ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নানাভাবে আয় করছেন অনেকেই। এজন্য রয়েছে বেশ…
আমরা আমাদের আগের পোস্ট টিতে আলোচনা করেছিলাম ডিজিটাল মার্কেটিং আজকের সময়ে কত টুকু প্রয়োজনীয় ? আজকে আমরা আলোচনা করবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় কাজ গুলো কি কি…