বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন  ২০২৪ (নতুন নিয়মে)

বাংলাদেশের সব থেকে বড় সমস্যার মধ্যে বেকারত্বের সমস্যা অন্যতম। আর সেই বেকারত্বের হার কমাতে বাংলাদেশ-এর সরকারি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দিচ্ছে প্রবাসী লোন।আপনি যদি দেশের বাহিরে যেতে চান কিন্তু টাকার অভাবে যেতে পারছেন না তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। 

বর্তমানে এই ব্যাংকটিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করা যাচ্ছে ঘরে বসেই। তাই এই পোস্ট-এ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করবেন এবং এই লোন পাওয়ার জন্য আপনার আর কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, আপনার কি কি যোগ্যতা থাকলে ঋণ পাবেন, কত দিনের জন্য লোন পাবেন, সর্বোচ্ছ কত টাকা লোন দেওয়া হবে, এই লোনের জন্য কত % সুদ দিতে হবে। 

সব কিছু জানতে পারবেন আজকের এই পোস্ট-এ। মাত্র ২ মিনিট সময় নিয়ে পড়লেই সব জানতে পারবেন। আমরা অযথা কথা বলে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবনা।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন:

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরমঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম আপনি চাইলে ব্যাংকে গিয়ে তারপরে সেখান থেকে নিয়েও পূরণ করে ব্যাংকের জমা দিতে পারেন অথবা আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও ফরমটি পূরণ করে তারপরে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে পারেন কোন সমস্যা নেই। 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এই লেখাটির উপর ক্লিক করলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যে লোন ফরমটি রয়েছে সেটা এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। আর এই ফর্মটি পূরণ করার পরে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন অনায়াসে।

এই ঋণগুলি অনলাইনেও আবেদন করা যেতে পারে।

অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:

1.একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন
2.একটি ইন্টারনেট সংযোগ
3.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের একটি
অ্যাকাউন্ট
4.প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া:

১. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যান। 

২. “ঋণ” ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।  

৩.আপনি যে ঋণের জন্য আবেদন করতে চান তার উপর ক্লিক করতে হবে। 

৪. “অনলাইন আবেদন” বাটনে ক্লিক করতে হবে । 

৫.প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। 

৬.প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে । 

৭. “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে ।

অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • আপনার নাম, পিতা/মাতার নাম, স্বামী/ স্ত্রীর নাম
  • আপনার জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতীয়তা
  • আপনার বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অভিজ্ঞতা
  • আপনার আয়ের উৎস
  • আপনার নমিনীর তথ্য
  • আপনার ঋণের উদ্দেশ্য

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • আপনার ও নমিনীর ছবি
  • আপনার ও নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্র
  • আপনার আয়ের প্রমাণপত্র
  • আপনার নমিনীর আর্থিক অবস্থার প্রমাণপত্র
  • ঋণের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার বিবরণ।

আবেদন করার পর:

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এ আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর, ব্যাংক আপনার আবেদনটি যাচাই করবে। যদি আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়, তাহলে ব্যাংক আপনাকে একটি ঋণ চুক্তি পাঠাবে। ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করার পর, আপনি ঋণের টাকা পাবেন।

আরো পড়ুন :২০২৪ এ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কিভাবে পাবেন?

অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত কিছু টিপস:

• আপনার আবেদনটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। 

• আপনার আবেদনটি জমা দেওয়ার আগে পুনরায় পরীক্ষা করে নিন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে :

১. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যান।

২. সেবা সমূহ থেকে” কোন ঋণ নিবে” ট্যাবে ক্লিক করতে হবে ।

৩. আপনি যে ঋণের জন্য আবেদন করতে চান তার উপর ক্লিক করতে হবে ।

৪. “অনলাইন আবেদন” বাটনে ক্লিক করতে হবে ।

৫. একটি নতুন পৃষ্ঠা খুলবে।

৬. আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে ।

৭. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি

৮. “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার আবেদনটি জমা দেওয়ার পর,

আপনি একটি নিশ্চিতকরণ ইমেইল পাবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ বিস্তারিত:

সাধারনত সকল ব্যাংকের বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধা চালু থাকলেও প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রধানত ৪ প্রকার। যথা:

1.অভিবাসন ঋণ
2.পুনর্বাসন ঋণ
3.বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
4.বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

১. অভিবাসন ঋণ

যারা বৈধ উপায়ে বিদেশ যেতে চায় এবং কাজের জন্য ভিসাপাসপোর্ট অনুমোদন পেয়েছে তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা অভিবাসন ঋণ স্কিমের কাজ। এই স্কিমে সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদে ৩ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করে।

২. পুনর্বাসন ঋণ

যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে নিজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় কিন্তু পর্যাপ্ত মূলধন নেই তাদেরকে পুনর্বাসন ঋণ দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে জামানত বিহীন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। আর জামানতের বিপরীতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পেতে পারেন। এ ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর।

৩. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ

বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বৈধ ভিসায় কাজের উদ্দেশ্য বিদেশে গেলে তার আয়ের উপরে নির্ভরশীল দেশে থাকার তার পরিবারের সদস্যদের জন্য অথবা সে দেশে ফিরলে তার জন্য সহজ শর্তে যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ বলে।

এই স্কিমের অধীনে একজন গ্রাহক জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা এবং জামানত জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারে। স্কিমের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ১০ বছর।

৪. বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

এই স্কিম নতুন চালু করা হয়েছে। ২০২০ সালের করোনা মহামারী এর পর থেকে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা চালু করা হয়।

যেসকল প্রবাসী কর্মী করোনার কারণে দেশে ফিরে এসেছে তাদেরকে অথবা করোনা আক্রান্ত হয়ে বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে এই ঋণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

এই ঋণের ক্ষেত্রেও একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদের সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জামানত বিহীন ঋণ নিতে পারবে। আর জামানত যুক্ত ঋণ পাবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ।

তবে গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।

উপরের প্রকারভেদ দেখে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আপনার কোন ধরণের লোন প্রয়োজন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা হলো-

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এ সুবিধা গুলো হল:

১.সহজ শর্তে দ্রুত ঋণ সেবা পাওয়া যায়।

২.সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম।

৩.জামানত বিহীন ঋণ সেবা পাওয়া যায় এবং জামানত যুক্ত বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়া যায়।

৪.ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। ফলে ঋণ খেলাফি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

এছাড়াও অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়তে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে?

অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রমের মতো এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আপনাকে কিছু বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কি কি কাগজপত্র লাগে তা ঋণের ধরন ও টাকার পরিমাণের উপর নির্ভর করছে।

তবে সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে যা যা কাগজপত্র লাগে তা হলো:

১.আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রভিসার ফটোকপি

২.বিএমইটি কার্ডের ফটোকপি

৩.বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ্য দলিল

৪.আবেদনকারীর সদ্যতোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫.দুই জন জামিনদারের প্রত্যেকের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার প্রামাণ্য দলিল।

৬.জামিনদারের যেকারো সাক্ষরকৃত ৩টি বৈধ ব্যাংক চেক

৭.ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি (পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে)

প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, ঠিকানা ও সর্বশেষ ১ বছরের আয়-ব্যয় বিবরণী সম্বলিত প্রতিবেদন (পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে)।

উপরে সকল ধরণের স্কিমের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কথা উল্লেখ করেছি। এছাড়া এ 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা:

সকল আবেদনকারীই এই লোন নিতে পারবে না। এই লোনের জন্য উপযোগীদেরই কেবল ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা হলো নিম্নরূপ-

১.আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও বয়স ১৮ বা তার বেশি হতে হবে।

২.যে শাখায় আবেদন করবে আবেদনকারীকে সেই শাখার বাসিন্দা হতে হবে।

৩.অন্যকোনো ব্যাংক বা NGO এর সাথে ঋণ খেলাপির ইতিহাস থাকা যাবে না।

৪.আবেদনকারীর সপক্ষে কমপক্ষে ২ জন জামিনদার থাকতে হবে এবং ঋণ পরিশোধে তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে।

৫.পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যবসায় বা প্রকল্পের ঠিকানা, উদ্দেশ্য সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

৬.অভিবাসন ঋণ পেতে আবেদনকারীর বিদেশে কাজের জন্য বৈধ ভিসা পেতে হবে।

উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি Probashi Kallyan Bank Loan এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার নিয়ম হলো:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ:

উপরে আমরা উল্লেখ করেছি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজপত্র লাগে। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করবেন। এরপর আবেদনকারী ও জামিনদারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ফেলতে হবে। 

অ্যাকাউন্ট খোলা:

ঋণ নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় ধাপ হলো এই ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ব্যাংক লোন নগদ টাকায় দেওয়া হয় না, বরং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে উত্তোলন করে নিতে পারবেন।

আবেদন ফরম পূরণ:

এ পর্যায়ে এসে ব্যাংক থেকে একটি প্রবাসী কল্যাণ ঋণের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে । আবার চাইলে অনলাইন থেকে প্রিন্ট করে তা পূরণ করে নিয়ে যেতে পারেন। ব্যাংকের শাখায় বিনামূল্যে এই ফরম সরবরাহ করা হয়।

আবেদনপত্র জমাদান:

সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করার পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাতে সংযুক্ত করতে হবে। এরপর ব্যাংকের শাখায় দায়িত্বরত কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হবে।

ঋণ মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর:

ব্যাংকের ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে দেখবে। এরপর সকল তথ্য সঠিক থাকলে এবং আপনি উক্ত ঋণের জন্য উপযুক্ত হলে আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে। আর যদি কোথাও ভুল-ত্রুটি কিংবা অসামঞ্জস্য থাকে তাহলে আবেদন নামঞ্জুর করে দিবে।

এই কয়েকটা ধাপ অনুসরণ করে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ পেতে পারেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার কত?

আপনাদের অনেকেই এই বিষয়ে জানয়ে আগ্রহী। তাদের অবগতির জন্য বলছি,

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার ৯%। তবে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ৪% এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৭%।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়?

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একজন ব্যক্তির জন্য জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা এবং জামানতযুক্ত সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেয়।

আর গ্রুপ লোনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা করে মোট ৫ জনকে ২৫ লাখ টাকা লোন দেয়।

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

যারা টাকার অভাবে চাকরির জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না তাদের কম সুদে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক।

এক্ষেত্রে ঋণের টাকায় বিদেশে গিয়ে চাকরি করে কিস্তিতে ঋণ শোধ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক অন্যতম।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হেল্পলাইন:

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক 

প্রধান কার্যালয় প্রবাসী কল্যাণ ভবন 

ঠিকানা৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ইস্কাটন, ঢাকা -১০০০ 
টেলিফোন + ৮৮-০২-৪৮৩২২৮৭৩
ওয়েবhttp://www.pkb.gov.bd
ই-মেইল: info@pkb.gov.bd 

নিচের ভিডিও টি দেখলে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন সম্পুর্ন বিষয় :

সর্বশেষঃ 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এরপরেও যদি আপনাদের কোন ধরনের মতামত অথবা জানার থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলায় ইনফো  ফেসবুক পেইজ এর সাথেই থাকুন।

অনুমোদন পাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ ঋণ কি?

অনুমোদন পাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ কিছু ঋণের মধ্যে রয়েছে পে-ডে লোন, নো-ক্রেডিট-চেক লোন এবং প্যানশপ লোন । মূলত কোন অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত সর্বোচ্চ সুদের হার এবং ঋণ ফি চার্জ করে।

তাৎক্ষণিকভাবে 2000 টাকা ঋণ পাওয়া যাবে?

একটি 2000 লোন ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ঐতিহ্যগত এবং নির্ভরযোগ্য বিকল্পগুলির মধ্যে একটি হল একটি ব্যাংক বা ক্রেডিট ইউনিয়নের মাধ্যমে ৷ আপনার ভাল ক্রেডিট স্কোর এবং একটি স্থিতিশীল আয় থাকলে আপনি ব্যক্তিগত ঋণের জন্য যোগ্য হতে পারেন। তাদের ঋণের বিকল্পগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে আপনার স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এটা কি সরকারি?

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক, প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিতে কি কি লাগে?

বিদেশে যেতে ইচ্ছুক বা বিদেশ ফেরত লোকদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিম্মোক্ত বিষয় গুলো প্রয়োজন। পাসপোর্টঃ বিদেশে যাওয়ার প্রথম শর্ত বৈধ পাসপোর্ট থাকা। ভিসাঃ বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্যাংক লোন পেতে প্রধান শর্ত হচ্ছে বৈধ ভিসা । বৈধ ভিসা ছাড়া লোন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে না।

আমি 2 বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আর্টিকেল লেখক। আমি একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার।

Related Posts

হারানো রেজিস্ট্রেশন কার্ড বের করার নিয়ম

হারানো রেজিস্ট্রেশন কার্ড বের করার নিয়ম 2024

আপনার SSC বা HSC পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে গেলে অনলাইনে আবেদন করেই খুব সহজে তা বের করে নিতে পারবেন। আপনার একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন…

প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 2024

প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

সোনালী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট

সোনালী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট | DPS রেট, সুবিধা, স্কিম

Focus keyword; সোনালী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস করতে চাইলে আপনার অবশ্যই সোনালী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট ,রেট, সুবিধা, তালিকা বা চার্ট, স্কিম ইত্যাদি বিষয়ে ভালো ধারণা…

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন | সহজ নিয়মে স্বপ্ন পূরণ 

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে হলে কি কি তথ্য দিতে হবে বা কোন ধরনের চাকুরিজীবীরা সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন, পার্সোনাল লোন এর মেয়াদ,…

ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস

ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস | Bank Asia DPS Details 2024

যাদের মধ্য ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিন্তু তারা ব্যাংক এশিয়া ডিপিএস সম্পর্কে জানেন না। অর্থাৎ কেউ যদি ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করতে চান এবং সময়সীমার পরে…

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে  

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে | শাখা সমূহের ঠিকানা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবাসীদের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন ২০১০ এর মাধ্যমিক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকায় কলম্ব প্রসেসে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *