অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন হলো একজন ব্যক্তির দেশের নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র। এই জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে আপনি সরকারি সকল প্রকার কাজে সহযোগিতা পাবেন। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন কাজে জন্ম নিবন্ধন বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়। কিন্তু আজকাল বাংলাদেশের অনেক নাগরিক জন্ম নিবন্ধনের বিভিন্ন তথ্য ভুল হওয়ার কারণে অনেক প্রকার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা। কারোর জন্ম নিবন্ধনে কোন তথ্য ভুল থাকলে তা ২-৩ দিনের মধ্যে সংশোধন করা যায়। কিন্তু অনেকেই সঠিক নিয়মে আবেদন করার না জানার কারণে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারে না।

তাই আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা হয় এবং জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং কত টাকা খরচ হয়।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার আগে যা জেনে রাখা প্রয়োজন

আপনার জন্ম নিবন্ধনে কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকলে তার সহজে সংশোধন করতে পারবেন। এতে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে এবং এর সাথে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। তাই সঠিক নিয়মে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার আগে কিছু কথা জেনে রাখা প্রয়োজন। যেমন:

  1. জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সময় কোন প্রকার অনলাইন সার্ভারের সমস্যা দেখা গেলে তা আপনি সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার থেকে নিকটস্থ কার্যালয়ের যেকোনো কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করে নেওয়া উচিত।
  2. সম্পূর্ণ নাম সংশোধন করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে এফিডেফিট করা দরকার প্রয়োজন।
  3. নতুন নিয়ম অনুসারে একটি জন্ম নিবন্ধন সর্বোচ্চ সংশোধন করতে পারবেন ৪ থেকে ৫ বার।
  4. আপনি যদি নাম অথবা জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক প্রমাণ সহ দাখিল দেখাতে হবে।
  5. যদি আপনি সংশোধনের সময় সঠিক প্রমাণ দাখিল দেখাতে না পারেন তাহলে আবেদন ফরম বাতিল হিসেবে গণ্য করা হবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তা

আপনার কোন প্রকার জন্ম নিবন্ধনের কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকলে তার সংশোধন করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার নির্ভুল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকবেন। যদি আপনার জন্ম নিবন্ধনে কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনার কি কি সমস্যা দেখা দিবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • জন্ম নিবন্ধনে কোন তথ্য ভুল থাকলে আপনার ব্যক্তিত্ব পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে, পাসপোর্ট তৈরিতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি তৈরিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ব্যবহার করা হয়। তাই কোন প্রকার জন্ম নিবন্ধনে তথ্য ভুল হয়ে থাকলে আপনার ওইসব দলিলও ভুল হয়ে থাকে।
  • ভোটার হওয়ার জন্য, সরকারের চাকরি আবেদনের জন্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে জন্ম নিবন্ধনের সঠিক তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জন্ম নিবন্ধনে কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকলে ওইসবের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার যদি জন্ম নিবন্ধনের কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকলে তা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নেওয়া উচিত।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম

আপনার জন্ম নিবন্ধন এর কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকলে তা অনলাইনে মাধ্যমে সহজেই সংশোধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে প্রবেশ করুন bdris.gov.bd/br/correction এই লিংকে। সর্বপ্রথম এখানে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন। তারপরে আপনার সঠিকভাবে সংশোধিত তথ্য প্রদান করে আপলোড করে সাবমিট করে দিন। আপনার আবেদনকৃত প্রিন্ট কপিটি সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ জন্ম নিবন্ধন অফিসে জমা দিন।

সংশোধন আবেদন সাবমিট করার পরে সঠিক নিয়মে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন এর সংশোধন ফি জমা দিতে হবে। আবেদনের সাথে সাথে ফি পেমেন্ট চালান কপি জমা দিয়ে দিন। তারপর আপনার সংশোধিত আবেদনটি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে আপনার নিবন্ধন তথ্য সংশোধন হবে।

অবশ্যই মনে রাখবেন, অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন কপি করা আছে কিনা। যদি জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র অনলাইন কপি থেকে থাকে তাহলে এখনি সহজ ভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিন

অতএব,কিভাবে আপনি সহজ নিয়মে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করবেন তার নিচে ধাপ অনুসারে দেওয়া হল।

ধাপ-১: জন্ম নিবন্ধন ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন

প্রথমে আপনার থেকে bdris.gov.bd/br/correction এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এরপরে মেনু বারের থেকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন অপশনে ক্লিক করুন।

১ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

ধাপ-২ জন্মতারিখ এবং নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য বের করুন

এরপর আপনার জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিট নাম্বারটি এবং জন্ম তারিখটি নিয়ম অনুসারে বসিয়ে দিন। নিজে দেখতে পারবেন একটি অনুসন্ধান বাটন, ওই বাটনটি ক্লিক করে তথ্য যাচাই করুন।

নিচে সার্চ বাটন ক্লিক করার পর আপনাকে কিছু আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য দেখাবে। এই তথ্যগুলো দেখে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনে সঠিকভাবে যাচাই করে নির্বাচন বাটনটি ক্লিক করে কনফার্ম করুন।

২ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

ধাপ-৩: নিবন্ধন কার্যালয় বাছাই করে নিন

এই ধাপে আপনাকে আপনার নিবন্ধন কার্যালয় বাছাই করতে হবে। আপনি যে ইউনিয়ন পরিষদে এবং যে পৌরসভার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেছেন ওই ঠিকানাটি উল্লেখ করতে হবে। তারপরে ক্রমাশ ভাবে আপনার দেশ, বিভাগ, জেলা এবং পৌরসভা ইত্যাদি সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনটি ক্লিক করুন।

৩ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

ধাপ-৪: সংশোধনের তথ্য বাছাই করে নিন

এ পর্যায়ে জন্ম নিবন্ধন সনদে আপনি যে ভূলকৃত তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান তা ফরমে শুদ্ধ ভাবে আপনার তথ্য গুলো লিখুন। এভাবে করে আপনার যেই ভুল কৃত তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান ওইসব সঠিকভাবে সিলেক্ট করে বসিয়ে দিন। আরো ভালোভাবে বুঝতে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।

৪ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

ধাপ-৫: আপনার সংশোধিত তথ্য ও সংশোধনের কারণগুলো সিলেক্ট করুন।

নিচের ছবিটির লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে, এখানে তিনটি সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদনের কারণ হিসেবে “ভুল ভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে” এই লেখাটির সিলেক্ট করে নিন। ওইখানে একটি ক্যালেন্ডার দেখতে পাবেন, যদি জন্ম নিবন্ধনের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার জন্মের সঠিক তারিখ সিলেক্ট করুন।

৫ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

ধাপ-৬: আপনার সঠিক ঠিকানা প্রদান করুন

উপরোক্ত আপনার সংশোধিত তথ্য ও সংশোধনের কারণগুলো সিলেক্ট করার পরে একটু নিচে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধনের সঠিক তথ্য অনুযায়ী জন্মতারিখ এবং গ্রাম, জেলা দিয়ে সিলেক্ট করুন। আরো ভালোভাবে বুঝতে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।

৬ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

ধাপ-৭: প্রমাণপত্র সহ আপলোড ও অনলাইনে সংশোধন আবেদন জমা দিন

আপনার সকল তথ্য পূরণ করার শেষে আবেদনকারী কার জন্য জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চাচ্ছে তার তথ্য সঠিকভাবে সিলেক্ট করতে হবে। যেমন: যদি আপনি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করুন তাহলে “নিজ” অপশনটি সিলেক্ট করুন। অথবা, জন্ম নিবন্ধন ব্যক্তির পিতা-মাতা হলে তাহলে “পিতা-মাতা” অপশনটি সিলেক্ট করুন।

অন্যভাবে, আপনার পিতা-মাতা না হয়ে যদি আইনগত অভিভাবক হলে তাহলে “অভিভাবক” অপশনটি সিলেক্ট করুন। তাছাড়া পিতা-মাতা পরিবর্তে অন্য কেউ আবেদন করলে তাদের জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর ও জন্ম তারিখ এবং ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।

৭ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

এরপরে, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যের স্ক্যান কপি সংগ্রহ করার জন্য সবুজ কালারের সংযোজন বাটনটি ক্লিক করুন। তারপরে পেমেন্ট অপশনটি সিলেক্ট করে নিন। পুনরায় ভাবে আপনার তথ্যগুলো একদম সঠিকভাবে যাচাই করে সাবমিট বাটনটি ক্লিক করে আবেদনটি জমা দিন।

ধাপ-৮: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন পত্র প্রিন্ট করুন

আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন ফরমটি সংগ্রহ করে রাখুন। এরপরে আপনি সংশোধন ফরমটি ডাউনলোড করে রাখবেন। ডাউনলোডকৃত ফরমটি প্রিন্ট করে আপনার নিকটস্থ পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ/ সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে জমা দিয়ে দিন।

৮ নং ধাপের ছবি দেখে নিজে নিজেই অনুসরণ করুন

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্র ও চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হবে। যারা এখনো জন্ম নিবন্ধন করতে পারে নি তারা এগুলোর পরিবর্তে হাসপাতালের সনদপত্র ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে পারবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধন করতে কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। যেমন: যেমন জমির খাজনা অথবা বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ এবং বিদ্যুৎ বিলের কপি প্রয়োজন হবে।

জন্ম নিবন্ধন এর তারিখ সংশোধন অথবা পরিবর্তন করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট আপনার থেকে প্রয়োজন হবে। যেমন: স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী হলে বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্র অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার হবে এবং শিশু হলে টিকা কার্ড প্রয়োজন হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পূর্বে সকল বিষয় এবং তথ্য ভালোভাবে চেক করে নেওয়া।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা নিচে টেবিল আকার দেওয়া হল।

সংশোধনের বিষয়প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ
নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে১. জাতীয় পরিচয়পত্র,
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র,
৩. যদি বয়স কম হয় তাহলে টিকা কার্ডে অথবা হাসপাতালে সনদ পত্র কপি প্রয়োজন হবে।
পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে১. পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি,
২. নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ,
৩. পিতা-মাতার অনলাইন জন্মনিবন্ধন
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে১. স্থায়ী ঠিকানা খাজনা অথবা কর পরিশোধের রশিদ
২. চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র।
বর্তমান ঠিকানার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে১. বিদ্যুৎ বিলের কপি।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি কত?

সরকারি অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন সংশোধিত তথ্যের জন্য কত টাকা খরচ হবে তা নিচে টেবিল আকারে দেওয়া হলো।

সংশোধনের ধরণটাকার পরিমাণ
জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের জন্য১০০ টাকা
জন্ম নিবন্ধনের জন্ম তারিখ ছাড়া শুধু নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি আরো অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য খরচ হয়৫০ টাকা

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার ভিডিওটি দেখুন

অনলাইনে সহজ নিয়মে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য একটি ছোট টিউটোরিয়াল ভিডিও দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি দেখে দেখে আবেদন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিভাবে বের করব?

আপনার কাছে যদি ভোটার আইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি একাউন্ট করে নিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার চেক করতে পারবেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটটি হলো services.nidw.gov.bd একাউন্ট করতে ক্লিক করুন। তারপর ওই ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বের করে নিতে পারবেন।

শেষ কথা

উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে খুব সহজেই আপনি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারবেন।

আজকের পোস্টে যদি আপনারা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন বিষয়টি বুঝে থাকেন তাহলে আমাদের বাংলায় ইনফো ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন বিষয় নিয়ে আরো আর্টিকেল রয়েছে। যা পোস্টগুলো ভিজিট করে আপনাদের অনেক অজানা বিষয় সম্পূর্ণ জেনে নিতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১. জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের উপায় কি?

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে প্রবেশ করুন bdris.gov.bd/br/correction এই লিংকে। সর্বপ্রথম এখানে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন। তারপরে আপনার সঠিকভাবে সংশোধিত তথ্য প্রদান করে আপলোড করে সাবমিট করে দিন। আপনার আবেদনকৃত প্রিন্ট কপিটি সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ জন্ম নিবন্ধন অফিসে জমা দিন।

২. জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি দরকার?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্র ও চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হবে। যারা এখনো জন্ম নিবন্ধন করতে পারেনি তারা এগুলোর পরিবর্তে হাসপাতালের সনদপত্র ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে পারবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধন করতে কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। যেমন: যেমন জমির খাজনা অথবা বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ এবং বিদ্যুৎ বিলের কপি প্রয়োজন হবে।

৩. জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিভাবে বের করব?

উত্তর: আপনার কাছে যদি ভোটার আইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি একাউন্ট করে নিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার চেক করতে পারবেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটটি হলো services.nidw.gov.bd একাউন্ট করতে ক্লিক করুন। তারপর ওই ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বের করে নিতে পারবেন।

Leave a Comment