বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

গ্রামে ব্যবসা করতে চান? ২১টি সেরা গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া

এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো শহরে চলে আবার গ্রামে চলে না। আবার কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো গ্রামে চলে কিন্তু শহরে চলে না। যেমন আপনি যদি একটা বড় রেস্টুরেন্ট গ্রাম অঞ্চলে খুলবেন ভাবছেন সে রেস্টুরেন্ট কিন্তু গ্রামে চলবে না। আর রেস্টুরেন্ট যদি শহরে খুলেন তাহলে দেখবেন ব্যবসা খুবই ভালো চলছে। তেমনি এমন কিছু গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে যেমন আপনি যদি সারের বা কীটনাশক দোকানের কথা ভাবছেন গ্রামে সেখানে এটি খুব ভালো চলবে। কিন্তু শহরে গিয়ে যদি একটি সার বা কীটনাশকের দোকান করেন সেখানে কিন্তু আপনার চলবে না।

তবে একেবারেই যে চলবে না সেটা কিন্তু না। আপনাকে করতে হবে বড় দোকান এবং হোল সেলিং দিতে হবে তাহলেই চলবে। ছোট দোকান আপনার গ্রামেই ভালো চলবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে সে কারণে আপনাদেরকে এমন ২১টি গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে বলব যেগুলো আপনারা গ্রাম অঞ্চলের শুরু করতে পারবেন খুব সহজে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া

সেরা ২১টি গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া

১. কৃষি ইকো প্লেন এবং পণ্য বিক্রয় ব্যবসা

বেশিরভাগ কৃষকরা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে। তো সেখানে কৃষি ইকো প্লেন এবং পণ্য বিক্রয় ব্যবসা আপনার জন্য সবথেকে বেশি ভালো হবে। যেমন আপনি সেখানে বিভিন্ন রকম ফসলের বীজ বিক্রি করতে পারেন, সার ও কীটনাশক বিক্রি করতে পারেন এবং তার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম পশুর খাবার বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া ও তার পাশাপাশি কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয় যে সব মেশিনারি সেসব মেশিনারি বিক্রি করতে পারেন।

আপনার কিছুই করতে হবে না। আপনাকে শুধু হোলসেলারের কাছ থেকে সেসব প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে হবে। কিনে নিয়ে এসে আপনার দোকানে সেল করতে হবে। টুকু হয়ে লাভজনক ব্যবসা এটা এবং এই ব্যবসা কিন্তু কখনোই বন্ধ হবে না। কেননা কৃষিকাজ কখনোই বন্ধ হবে না সেই কারণে এই ব্যবসা বন্ধ হওয়ার কোন চান্স নেই। কৃষিকার যতদিন থাকবে আপনার ব্যবসা ও ততদিন থাকবে।

১. সরিষার তেলর ব্যবসা

আপনি গ্রামে বসে ব্যবসা খুব সহজে করতে পারবেন। দৈনন্দিন জীবনের তেল লাগে না এমন ডিম খুঁজে পাবেন না। এ আশাইটি ভালো মতো করতে হলে আপনাকে একটি সরিষার তেল ভাঙ্গার মেশিন কিনতে হবে। এই মেশিনগুলো ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর এই তেলগুলো তৈরি করে আপনি অনলাইনে অথবা অফলাইনে প্রচার করে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে খাঁটি সরিষার তেলের কদর আকাশ সমান। তাই একটু চিন্তা-ভাবনা করে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

বর্তমানে যে চাহিদা এর সাথে তাল মিলিয়ে আপনাদের বলব আপনি যে ব্যবসা করেন না কেন আপনার অনলাইনে এক্টিভিটি অর্থাৎ প্রযুক্তিগত কলা কৌশল এগুলো কিন্তু রক্ত করা দরকার। আপনি যে ব্যবসায়ী করেন আর ব্র্যান্ডিং এবং BSTI, এর অনুমোদন নিয়ে এই ব্যবসাটাকে আপনি আপনার স্বপ্নের থেকেও বড় করতে পারেন। একজন সেলসম্যান রাখতে পারেন আশেপাশের উপজেলায় জেলায় বিভিন্ন দোকানে আপনার এই প্রোডাক্টগুলো নিয়ে যাবে এবং সেল করবে। আস্তে আস্তে এটার আপনার চাহিদা অনেক বেশি বাড়বে এবং আপনি যে স্বপ্ন দেখবেন সেটাই সফল হবে।

২. রাইস মিলের ব্যবসা

এ ব্যবসাটি করতে হলে আপনার খরচ পড়বে ৫০ হাজার টাকা, আর আপনার যদি একটা জায়গা থাকে সেখানে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এটির জন্য আপনাকে একটি রাইস মিল হেমা মিল এই মেশিনটি কিনতে হবে। নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পাচ্ছেন এই মেশিনটি দিয়ে কি করা লাগবে।

আমাদের দেশে যে জিনিসের চাহিদা বেশি সে ব্যবসার লাভ ও তত বেশি। আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত, এরপর আটা। আমাদের কাছে মনে হতে পারে এই তো অনেক টাকার ব্যবসা তা কিন্তু না। কারণ রাইসমিল ব্যবসা করতে আপনি এখন শুরু করতে পারবেন মাত্র ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। এ অল্প টাকা পুজি বিনিয়োগ করে আপনি গ্রামে বসে দিনে ১ থেকে ২ হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

৩. কৃষি চাষ

কৃষি প্রতি যদি আপনার খুব ভালো লাগা থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। এখানে কিন্তু টাকাও লাগবে বেশি, তবে প্রথম দিকে ছোট আকারে শুরু করতে পারেন একটি সমন্বিত কৃষি ফার্ম যেখানে আপনি কৃষিকে ভালবাসেন কৃষির একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলবেন। এইজন্য আপনার যদি নিজের জায়গায় থাকে ভালো না হলে আপনার এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী আপনি বছর হিসেবে অথবা কয়েক বছরের জন্য জমির লিস্ট নিতে পারেন এবং আপনার পছন্দসই যে কৃষি কার্যক্রম সেগুলো শুরু করতে পারেন। আর আপনার এই সমন্বিত ফার্মে থাকতে পারে মাছ হাঁস গরু ছাগল যেকোনো ধরনের কৃষিভিত্তিক আইডিয়া সেখানে আপনার স্বপ্নের ফার্মে বুনন করতে পারেন।

এর পাশাপাশি এখানে একটি আধুনিক পলি হাউস করে সবজি চাষ এবং চারার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ট্রেনিং এবং লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে নার্সারি ব্যবসা বা চারার ব্যবসা। আপনি যেকোন চারা দিয়ে শুরু করতে পারেন বা সিজনাল যেকোনো চারা হতে পারে। আর হতে পারে এমন কিছু সবজি বা ফলের গাছের আইডিয়া যেটি আপনাকে কোটিপতি করে দিতে পারে। দুই থেকে পাঁচ বিঘা যদি জায়গা থাকে সেখানে আপনি ম্যাচিং পদ্ধতিতে শুরু করতে পারেন পেঁপে অথবা শসা অথবা শীতকালীন যে কোন রবি শস্য। ম্যাচিং পদ্ধতিতে যেসব কৃষি উদ্যোক্তা সবজি চাষ করছেন তারা একই সিজনে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন এক বিঘাতেই।

এমন একটি উদাহরণ রামবুটাম। রামবুটাম একজন ব্যক্তি মাত্র একটি গাছ লাগিয়ে সেখান থেকে প্রচারের মাধ্যমে তার কতটুকু লাভ হচ্ছে এটা কি আপনি আইডিয়া করতে পারেন। এক একটি গাছ কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে আপনি কি জানেন। এক একটি গাছ প্রায় ১ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটার কারণ কি? আরো কিছুদিন পরে বছর বা ১০ বছর পর হয়তো এই গাছের চারা ১০০ টাকায় বা ১৫০ টাকায় বিক্রি হবে কিন্তু তার ইউনিক আইডিয়ার জন্য তিনি আজকের এই ব্যবসায়ের সফল।

গ্রামীণ মুদির দোকান

৪. মুদি মালামাল বিক্রয়

মোদির মালামাল ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করা খুব সহজ। আপনি যেকোন স্থানে একটি দোকানে স্থাপন করে বা উৎপাদনকারীর কাছ থেকে পণ্য বা মালামাল ক্রয় করে এনে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারবেন। সাধারণত খুচরা দোকানদাররা এই সকল পাইকারি দোকান থেকে পণ্য বা মালামাল ক্রয় করে থাকেন। ম

মুদি মালামাল বলতে চাল, ডাল, গম, আটা, হলুদ, মরিচ, লবণ ও বিভিন্ন মসলা ইত্যাদি সহ আরো অনেক মালামালকে বুঝায়। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। এই ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই একটি দোকান ভাড়া নিতে হবে। গ্রামীণ ব্যবসায়ী হিসাবে এটি একটি উল্লেখযোগ্য গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া বলা যায় |

৫. নার্সারি এবং বাগান

নার্সারি

আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী হন আর আপনার বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকে তাহলে নার্সারি এবং বাগান শুরু করে ফেলুন। এটা অল্প বিনিয়োগে একটা সুন্দর বিজনেস আইডিয়া। বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা চাষ করুন এবং সে লোকে চড়া দামে বিক্রি করুন। কারণ আপনি তো জানেনই শখের দাম টাকা লাখ টাকা। একটাই কারো যদি সে ফুলটি ভালো লেগে যায় তাহলে সে সেটা কিনবেই।

৬. সিজনাল ফলের ব্যবসা

স্বল্প পুঁজিতে সিজনের ফলে ব্যবসা করা যায়। মাত্র ১০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে নিজের এলাকায় গ্রামে বা শহরে বাজারে ভ্রাম্যমান ভাবে মৌসুমী ফল বিক্রি করতে পারেন। এ ব্যবসাটি বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে চাহিদা ও প্রচলন বেশি।

৮. মাশরুম চাষ

মাশরুম

মাশরুম আমাদের দেশ ছাড়াও সব দেশে একটি চাহিদা সম্পন্ন সবজি। এ মাশরুম চাষ ব্যবসাটি নিজের বাড়িতেই শুরু করা যায়। মাশরুমের বীজ, প্রয়োজনীয় কীটনাশক, সার ইত্যাদি অন্যান্য প্রক্রিয়াকরণ সামগ্রী কিনতে ৯-১০ হাজার টাকা খরচ হবে। এটি অল্প পুজিতে খুব ভালো মানের একটি ব্যবসা। এগ্রামে ব্যবসা আইডিয়া বিশেষ করে গ্রাম বাংলার মেয়েরা

৯. মোবাইল শপ বা মোবাইলের দোকান

এবার হয়তো আপনার ভাবছেন যে আজকাল কেউ দোকানে গিয়ে মোবাইল কিনে না। সবাই অনলাইন থেকে মোবাইল কিনে যেমন : Flipkart , Amazon এসব জায়গা থেকে মোবাইল কিনছে। এটা কিন্তু ঠিক তবে আপনি পুরনো মোবাইলের দোকান বা সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলের দোকান দিতে পারেন। অনেকে আছে যারা এখনো সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কিনতে পছন্দ করে। তা আপনি হোসেলারের কাছ থেকে পুরনো মোবাইল কিনে নিয়ে আসতে পারেন।

আজকাল অনেক জায়গাতে পুরনো মোবাইল খুব কম দামেই পাওয়া যায়। তো সেখান থেকে আপনি পুরনো মোবাইল কিনে নিয়ে এসে এলাকায় বিক্রি করতে পারেন এবং তার পাশাপাশি মোবাইলে বিভিন্ন রকম জিনিস বিক্রি করতে পারেন যেমন : মোবাইলের হেডফোন, ব্যাটারি, ডাটা ক্যাবল ইত্যাদি এরকম অনেক সরঞ্জাম আছে যেগুলো আপনি এর পাশাপাশি বিক্রি করতে পারেন। এ ব্যবসার সব সময় চলে এবং খুব ভালো ইনকাম এই ব্যবসায়।

১০. মিষ্টির দোকান

আপনি আপনার এলাকায় একটি মিষ্টির দোকান করতে পারেন। মিষ্টি বাজারে সব সময় চাহিদা থাকে। কোন সময় এর চাহিদা কম হয় না। তাই আপনি যদি চান আপনার এলাকায় মিষ্টির দোকান করতে পারেন। এবার হয়তো ভাবছেন আপনি হয়তো মিষ্টি বানাতে জানেন না বা ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান নেই। দেখুন আপনারা যে ব্যবসা শুরু করেন না কেন সে ব্যবসায়ী প্রথমে কিন্তু আপনার কোন জ্ঞানই থাকবে না।

যখন আপনি ব্যবসা শুরু করে দিবেন এবং আস্তে আস্তে যখন আপনি ব্যবসাটাকে বুঝতে থাকবেন তখন দেখবেন এমনিই আপনার কাছে সমস্ত জ্ঞান চলে এসেছে এই ব্যবসা সম্পর্কে। এখন হয়তো ভাবছেন আমি মিষ্টি কিভাবে তৈরি করব? আপনাকে কোন মিষ্টি তৈরি করতে হবে না। আপনাকে লোক রেখে দিতে হবে সে লোক রোজ এসে আপনার দোকানে যত সমস্ত মিষ্টি প্রয়োজন আছে সে এসে তৈরি করে দিয়ে যাবে। আপনার কাজ হবে সারাদিন দোকানে বসে সে প্রোডাক্ট গুলো সেল করা।

১১. পোল্ট্রি ফার্ম এর ব্যবসা

পোল্ট্রি মাংস আজকাল মার্কেটে অনেক চাহিদা। যেখানে যাওয়া যাক না কেন পোল্ট্রির মাংস বিক্রি হচ্ছে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে পোল্ট্রির মাংস বিক্রি হয় না। তো সেক্ষেত্রে আপনি একটা পোল্ট্রি ফার্ম করতে পারেন। অল্প বিনিয়োগ করে ছোট্ট একটি পোল্ট্রি ফার্ম করতে পারেন। আপনাকে কিছুই করতে হবে না। আপনি শুধু বাচ্চা কিনে নিয়ে এসে তারপর সে বাচ্চাগুলোকে বড় করতে হবে এবং বড় করার পর হোল সেলার এর কাছে গিয়ে আপনাকে বিক্রি করে দিতে হবে। এতে আপনি ভালই একটা ইনকাম পাবেন এই ব্যবসা থেকে।

১২. কাপড়ের দোকান

গ্রাম অঞ্চলে আপনি একটি কাপড়ে দোকান করতে পারেন খুবই ভালো চলবে। কারণ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কাপড় কেনার জন্য বা জিনিস কেনার জন্য শহরে চলে আসে। কারণ গ্রাম অঞ্চলে ভালো দোকান নেই। তো আপনি যদি একটা ভালো দোকান করেন এবং নতুন নতুন ডিজাইনের ভালো মানের পণ্য রাখেন তাহলে দেখবেন আপনার কাছ থেকে সবাই পণ্য কিনবে। তো একটি কাপড়ের দোকান গ্রাম অঞ্চলে খুলতে পারেন। গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া হিসাবে এ ব্যবসাটি আপনি বেছে নিতে পারেন খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা

১৩. ইলেকট্রনিক শপ

আপনি আপনার এলাকায় একটি ইলেকট্রনিকের দোকান করতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন রকম ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট রাখতে পারেন। যেমন : সুইচ বোর্ড, এলইডি বাল্ব, এলইডি টিউবলাইট এবং তার পাশাপাশি আরো অনেক রকম ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম হয়ে থাকে সেসব প্রোডাক্ট আপনি আপনার দোকানে রাখতে পারেন। এ ব্যবসায় খুবই ভালো চলবে।

১৪. জলের ব্যবসা

গ্রাম অঞ্চলে এই ব্যবসা খুবই ট্রেন্ডিং চলছে। গ্রামবার শহর হোক সব জায়গার মানুষ হই চায় সুদ্ধ জল খেতে এবং জলে যাতে কোনরকম রোগ জীবাণু না হয়। সে কারণে আজকাল শুদ্ধ জল সবাই পছন্দ করছে। সে ক্ষেত্রে আপনি গ্রাম অঞ্চলের জল সাপ্লাই করতে পারেন। অল্প বিনিয়োগে অন্যতম একটি গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া এটি। আরো ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে অল্প পূজিতের সেরা ১৩ টি বিজনেস আইডিয়া দেখতে পারেন।

১৫. ছাগল পালন

গ্রাম অঞ্চলের জন্য একটি ভালো ব্যবসা আইডিয়া এটি আপনি যদি আগামী ১৫-২০ বছরে মার্কেটের দেখে থাকেন এই ছাগল পালন আপনি গ্রাম অঞ্চলের দিকে যে কোন এলাকাতে শুরু করতে পারেন। মোটামুটি ভাবে আপনার এক বিঘা জমি লাগবে এই ব্যবসাতে। মূলধন বলতে আপনি যখনই ব্যবসা শুরু করবেন তখন প্রায় আপনার ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়বে।

এরপর ছোট বড় মিলিয়ে ২০, ২৫ টি ছাগলের জন্য আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। পাতা সব মিলিয়ে ১ লাখ ২০-২৫ হাজার টাকা লাগবে ব্যবসার বিনিয়োগ হিসাবে। এক্ষেত্রে আপনি সরকারী প্রাণী বিকাশ থেকে ট্রেনিং নিতে পারেন।

১৬. অর্গানিক ফার্মিং

একটি ইউনিক ও যুগোপযোগী ব্যবসা হল অর্গানিক ফার্মিং এর ব্যবসা। অর্গানিক ফার্মিং শুরু করার জন্য নূন্যতম ৫ বিঘা জমি কিন্তু আপনার প্রয়োজন হবে। যদি আপনি প্রাথমিকভাবে শুরু করতে চান, আপনাকে অর্গানিক ফার্মিং এর জন্য অর্গানিক বিজ এবং আপনাকে সঠিক সার ব্যবহার করতে হবে এই চাষের জন্য।

এতে আপনার প্রোডাক্ট যখন মার্কেটে নিয়ে যাবে তখন আপনার সবার আগে বিক্রি হবে। এছাড়াও আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সারা বছর কোন না কোন সবজি চাষ করা। যেন আপনার সারা বছর ইনকামটা তৈরি হতে থাকে। আপনি লোকাল মার্কেট থেকে শুরু করে শহরে আপনার উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে পারেন। আপনি কিন্তু একটা ভালো মান ইনকাম করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে।

১৭. মোমবাতি তৈরির ব্যবসা

এ ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন বাড়ি একটা ছোট আঙিনায়। আরে ব্যবসা জন্য বিনিয়োগ লাগবে ১৫ – ২০ হাজার টাকা। এখন আপনি এগুলো শিখবেন কিভাবে? আপনি এই মুহূর্তে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে বা ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনাকে প্রথমে ডাইসের ব্যবহার এবং প্রকাশ সম্পর্কে জানতে হবে। আপনার সর্বোচ্চ বিনিয়োগ এই ডাইসের কিনার জন্যই প্রয়োজন।

আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো প্রান্তে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কলকাতার বড় বাজার থেকে হোল সেলে এই সরঞ্জাম গুলো কিনতে পারবেন। এরপর আপনার উৎপাদিত প্রোডাক্ট গুলো আপনার লোকাল মার্কেট থেকে শুরু করে লোকাল শহরে ও পর্যন্ত সাপ্লাই করতে পারবেন। কোয়ালিটি যদি ঠিকঠাক এবং ফ্লেভার যদি আপনি রাখতে পারেন তাহলে আপনি কলকাতায়ও হোলসেলের সাপ্লাই করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুবই সাধারণ একটা ট্রেড লাইসেন্স দরকার হবে আপনার জন্য।

১৮. মাছ প্রতিপালন ব্যবসা

এতে আপনার নিজের কোন জমি বা পুকুর লাগবে না। আপনি লিজে বা পুকুর ভাড়া করে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। সারা বছরের জন্য কি নির্দিষ্ট দাম আপনাকে ঠিক করতে হবে পুকুরের মালিকের সাথে। তারপর সে পুকুরে সারা বছর ধরে আপনি মাছ চাষ করতে পারবেন। আপনাকে মাছ চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে উপযুক্ত ভাবে। মাছ চাষের ব্যবসাটি একটু অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে থাকে। হুট করে শুরু করা যায় না।

সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের মাঝ প্রতিপালন সম্পর্কে মোটামুটি কিছু জ্ঞান থেকেই থাকে। আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য আপনি বিভিন্ন রকম সরকারি প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। অর্থাৎ প্রাণী বিকাশ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আপনি যদি এক বিঘা জমি পুকুরের লিস্ট নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার পুঁজি পড়বে প্রায় ১.৫০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর আপনি সারা বছরে ইনকাম যদি দেখেন তাহলে আপনি ৪-৫ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ব্যবসাটির মধ্য বুজি একটু বেশি লাগলেও গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া হিসেবে খুবই একটি লাভজনক একটি ব্যবসা।

১৯. সার ও কীটনাশক এর দোকান

গ্রাম অঞ্চলের দিকের মানুষ যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাষ এবং ফার্মিং এর সাথে সংযুক্ত হয়ে কাজ করে থাকেন, তাই আপনি যদি সার্বক্ষণ কীটনাশকের ব্যবসা শুরু করেন ইনকাম কিন্তু খুব ভালোভাবে করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে লাইসেন্স নিতে হবে। তার জন্য আপনাকে কিন্তু বিএসসি গ্রেজুয়েশন পড়ে রাখতে হবে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য।

তার ওপর লাইসেন্স নিতে হলে পশ্চিমবঙ্গের সরকার এর অনলাইনে আবেদন করতে হবে আপনার সমস্ত ডকুমেন্টের ওপর। আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট সাবমিট করার পর আপনি লাইসেন্স পেয়ে গেলে একটি ভিজিট হবে আপনার দোকানে। তারপর আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

২০. বিউটি পার্লারের ব্যবসা

আমাদের দেশে এমন কোন নারী নেই যারা সাজগোজ করতে পছন্দ করে না। তাই আপনি চাইলে গ্রাম অঞ্চলে যে কোন এলাকায় একটি বিউটি পার্লারের দোকান দিতে পারেন। গ্রামের অধিকাংশ নারী ভালো সাজগোজের জন্য শহরে চলে যায়। নিয়ে ভালো একটি দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনার খুব ভালো একটা ইনকাম হবে। আরে ব্যবসা আপনার কখনোই বন্ধ হবে না। এছাড়া ও বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এর চাহিদা বেশি থাকে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

২১. মেডিকেল সেম্পল কালেকশন

আপনি রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্লাড স্টুলস, ইউরিন ইত্যাদি স্যাম্পল কালেক্ট করবেন। তারপর জেনুইন পরিচিত প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে সেটি টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করে সেটি বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারেন। এটিও একটি অল্প বিনিয়োগের বিজনেস আইডিয়া। এছাড়াও আপনি চাইলে গ্রাম অঞ্চলে যে কোন একটি জায়গায় ফার্মেসির দোকান খুলতে পারেন।

গ্রাম অঞ্চলে ভালো ওষুধ পাওয়া যায় না বলে তারা শহরে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটা ফার্মেসির দোকান খুলতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা থেকে আপনি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। এ ব্যবসা কখনোই বন্ধ হবে না এবং কোন সিজনের ও দরকার হয় না। আপনার সারা বছরই এই ব্যবসা চলতে থাকবে।

আজকের পোষ্টের আমার শেষ মন্তব্য

গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আজকে আপনাদের ২১ টি গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া এর কথা আলোচনা করেছি। আশা করি এই ব্যবসা গুলো থেকে আপনার পছন্দসই একটি ব্যবসা বেঁচে নিয়ে শুরু করতে পারবেন। গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাইলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনাদের অল্প পুজিতে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা এটি দেখতে পারেন। এমন আরো ভালো ভালো টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট বাংলায় ইনফোর Facebook Page ভিজিটের আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করলাম ধন্যবাদ।

গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া সংক্রান্ত আরো কিছু জানতে চাইলে ভিডিওটি দেখতে পারেন

গ্রামে ব্যবসা আইডিয়া সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো

FAQ:

১. গ্রামে ব্যবসা করতে চাই?

গ্রামে ব্যবসা শুরু করার জন্য সামান্য কিছু খুঁজে প্রয়োজন হবে। অল্প পুঁজিবি নিয়োগ করে গ্রামীণ অনেক লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন।

২. ব্যবসা বলতে কী বোঝায়?

ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পূর্ণ দ্রব্য ও উৎপাদনের উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও বস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষে বন্টন ও সকল ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যক্রমকে ব্যবসা বলে

৩. ছোট ব্যবসার চারটি সাধারণ প্রকার কি কি?

সাধারণ প্রকার গুলো হলো : একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব, কর্পোরেশন এবং সীমিত দায় কোম্পানি

একজন বাংলাদেশী কনটেন্ট ক্রিয়াটার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কয়েক বছর থেকে কাজ করে আসছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙ্গামাটিতে। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি ২০২৩ এ বাংলায় Info এর সাথে যুক্ত হয়ে বাংলা ভাষা নিয়ে কনটেন্ট বানানো শুরু করেন।

Related Posts

নতুন কোম্পানির নামের তালিকা

নতুন কোম্পানির নামের তালিকা, দোকানের আরবি প্রতিষ্ঠানের নাম

ব্যবসা শুরু করার জন্য অন্যতম একটি স্টেপ হচ্ছে ব্যবসায়ের জন্য একটি সুন্দর নাম বাছাই করা। আপনি যখন একটি বিজনেসের জন্য একটি সুন্দর নাম বাছাই করে ফেলবেন তখন…

ড্রপশিপিং বিজনেস

কীভাবে টাকা ছাড়া ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করবেন? ২০২৪ সালের সম্পূর্ণ গাইডলাইন।

ই কমার্স ব্যবসা হলো অনেক সুবিশাল এবং বিচিত্রময়। এবং তার মধ্যে ড্রপশিপিং বিজনেস নতুন ব্যবসায়ীদের এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনলাইন বিক্রেতাদের জন্য একইভাবে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে।…

খাবারের দোকানের সুন্দর নাম বাংলা

খাবারের দোকানের সুন্দর নাম বাংলা ( ফাস্টফুড, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ব্যবসার নাম)

ব্যবসা শুরু করার জন্য অন্যতম একটি স্টেপ হচ্ছে ব্যবসায়ের জন্য একটি সুন্দর নাম বাছাই করা। আপনি যখন একটি বিজনেসের জন্য একটি সুন্দর নাম বাছাই করে ফেলবেন তখন…

ইসলামিক সুন্দর নামের তালিকা

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক সুন্দর নামের তালিকা সমূহ

অনেকে ভাবেন ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা এমন কি ব্যাপার যেকোনো একটি নাম রাখলেই হলো। কিন্তু শুরুর দিন থেকে যদি আপনার ব্যবসায় নাম নিয়ে গুরুত্ব না দেন তাহলে…

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নামের তালিকা

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নামের তালিকা সমূহ 2024

দোকানের সুন্দর নামের তালিকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নামের তালিকা কিংবা দোকানের সুন্দর নামের তালিকা বের করা বেশ ঝামেলা হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে এমন…

সুন্দর কিছু কোম্পানির নাম

১০০+ সুন্দর কিছু কোম্পানির নাম এর লিস্ট আপনার কোম্পানির জন্য BEST

ব্যবসা শুরু করার জন্য অন্যতম একটি স্টেপ হচ্ছে ব্যবসায়ের বা কোম্পানি জন্য একটি সুন্দর কিছু কোম্পানির নাম বাছাই করা। আপনি যখন একটি বিজনেসের জন্য একটি সুন্দর নাম…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *