বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

 অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ২০২৩

দিন দিন চুল পরে যাচ্ছে করণীয় কি তা আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। চুল ঘন, কালো, মজবুত করতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে দশটি খাবারের নাম উল্লেখ করবো। তারপর ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে কোন তেল ও ভিটামিন ট্যাবলেট নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং নতুন চুল গজানোর উপায়ের সম্পর্কে তুলে ধরব। আর শেষে থাকছে চুলের যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায় ও আধুনিক চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ। তাহলে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়।

চুল পড়া বন্ধ করার দশটি খাবার।

আরো পড়ুন ; ২০২৩ এ ডায়েট কন্ট্রোল করার জনপ্রিয় ৭টি সহজ উপায় ও ডায়েট চার্ট

১. বাদাম

যেমন চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, ওয়ালনাট এগুলোতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষ করে ওমেগা-৬। যা চুলের গোড়া সতেজ রাখতে আর চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এই ওমেগা -৬ ফ্যাট আমাদের শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না। খাবার থেকে নিতে হয়। এটার অভাবে মাথার চুল পড়ে যায়, চুলের রং হালকা হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের নাস্তায় কিছু বাদাম রাখতে পারেন। তবে অনেক পরিমাণে খাবার খাবেন না, তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আপনার সীমিত পরিমানে বাদাম খেলে অনেকাংশ আগের তুলনায় চুল পড়া বন্ধ হবে।

২. হলুদ ও কমলা রঙের সবজি এবং ফলমূল।

যেমন: মিষ্টি আলু, গাজর, আম, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া এইগুলো ভিটামিন এ তে ভরপুর। চুলের ফলিকল অর্থাৎ চুলের গোড়া যেখান থেকে চুল বড় হয়। সেটা ঠিকমতো কাজ করার জন্য দরকার ভিটামিন এ। আর সেটার খুব ভালো উৎস হল এই হলুদ ও কমলা রঙের সবজি এবং ফলমূল। দিনে যতটুকু ভিটামিন এ দরকার আধা কাপ গাজরে তার অর্ধেকের বেশি হয়ে যায়। তাই দিনে কিছু হলুদ ও কমলা রঙের সবজি এবং ফলমূল খাওয়া দরকার। এতে আপনার আগের তুলনায় অনেক কম চুল পড়া বন্ধ হবে।

৩. তৈলাক্ত মাছ

প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটের জন্য সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। যেমন: টুনা, স্যামন। তবে আমাদের দেশি মাছ যেমন: ইলিশ, কৈ, মংলা, চাপিলা ইত্যাদি এই গুলোতেও ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। এসব মাছ খেলে আপনার চুল পড়া থেকে রক্ষা পাবেন এবং চুল ঘন ও কালো করতে সাহায্য করে। সাথে প্রোটিনরও ভালো উৎস।

৪. ডিম

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এবং সুন্দর চুলের জন্য ডিম আপনার খুব ভালো বন্ধু। আমাদের চুল শর্করা ও ফ্যাটের তৈরি হয় না। চুল প্রায় পুরোটাই প্রোটিনের তৈরি। আর আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে খাবারের প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের অনেকেরই খাবারে যথেষ্ট পরিমানে প্রোটিন থাকে না। কারণ আমরা সাধারণত ভাতটাই বেশি খায়। তাই সুন্দর চুলের জন্য এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য খাবারের তালিকায় ডিমটা রাখবেন। সাথে ডিমে আরও কিছু বোনাস আছে। যেমন: বায়োটিন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি। এসব চুল ঘন, কালো এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।

৫. পালং শাক

চুলের উপকারে পালং শাক একটা চমৎকার খাবার। এতে চারটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যা চুলের ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, ফলেট। এই সবগুলোই ঘন, কালো এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।

৬. ডাল

সুন্দর চুলের জন্য এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ডাল খুবই উপকারী। ডালে প্রোটিন আছে, ভালো পরিমাণে আয়রন আছে। আয়রন আমাদের মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে, আমাদের আয়রনের অভাবে অকালে চুল পড়ে যায়। সুন্দর চুলের জন্য ডালে আরো কিছু বোনাস আছে। যেমন: জিংক, ফলেট। খুব পাতলা ডাল না খেয়ে ঘন করে রান্না ডাল খেলে এই পুষ্টি উপাদানগুলো বেশি করে পাবেন।

৭. বিভিন্ন ধরনের বীজ

যেমন: চিয়া সিডস, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বিচি। এগুলোতে সুন্দর চুল এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য চমৎকার উপাদান আছে। যেমন: চিয়া সিডসে আছে প্রচুর পরিমাণে আলফা-লিনোলিনিট এসিড, এক প্রকারে ওমেগা-৩ ফ্যাট। মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে জিংক, সূর্যমুখী বিচিতে আছে বায়োটিন। তিসির বীজে আছে সেলেনিয়াম। গবেষণায় চুল পরার সাথে এগুলোর অভাবের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। সিডস কিভাবে খেতে পারেন? ভাত খাওয়ার সময়ে তরকারির ওপরে একটু বীজ ছিটিয়ে দিতে পারেন। রাতে টক দই, অল্প দুধের সাথে চিয়া সিডস মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সকালে কিছু ফল সাথে খেয়ে নিলেন। এতে আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।

৮. ছোলা

ছোলায় চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনটা উপাদান আছে।

এগুলো হলো: আয়রন, জিংক ও প্রোটিন। এই তিনটার যেকোনোটার অভাবে চুল পড়তে পারে। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে মাঝে মাঝেই খাবারে ছোলা রাখতে পারেন। 

৯. টক দই

এইটা প্রোটিনের আরেকটি উৎস। সাথে চুলের জন্য উপকারী আরো কিছু উপাদান আছে যেমন: জিংক। প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংসই ভালো খাবার। খাবারের পাশাপাশি আপনি টক দই খেতে পারেন। তাই টক দই খাওয়ার ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ করার জন্য উপকারী।

১০.টক ফল

যেমন: কমলা, মাল্টা, লেবু, কিউয়ি ফল এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। সুন্দর চুলের জন্য এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য জন্য ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি এর অভাবে চুল এমন বেঁকিয়ে পেচিয়ে যায়। মেডিকেলের ভাষায় এটিকে বলে “Corkscrew Hair”। আবার ভিটামিন সি এর অভাব হলে শরীর আয়রন শোষণ করতে পারে না। ফলে অকালে চুল পড়ে যায়। শরীর নিজে থেকে ভিটামিন সি বানাতে পারে না। তবে টক জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে পারে। যেমন একটা কমলা থেকে দিনে প্রায় ৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। যারা টক একটু কম খেতে পারেন, তাদের জন্য টমেটো, পেয়ারা ইত্যাদি এইসব ফলগুলো ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হতে পারে।

এই ১০ প্রকারের খাবার ভেতর থেকে চুলে পুষ্টি দিবে। এখন উল্লেখ করবো বাইরে থেকে পুষ্টি দেওয়ার জন্য আপনি কি ব্যবহার করতে পারেন? 

 চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

চুল পড়ে যাচ্ছে এমন রোগীদের ওপর করা একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে, পাম্পকিন সিড ওয়েল বা কদুর তেলটা ৩ মাস ব্যবহার করার পরে তাদের চুল পড়া বন্ধ হয়েছে এবং নতুন করে চুল গজিয়েছে। আর চুল আগের থেকে মোটা হয়েছে। তাই কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা চাইলে যেকোনো ব্র্যান্ডের কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাতে চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য হতে পারে।

আরো পড়ুন ; ২০২৩ এ ত্বকের যত্নে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস এন্ড ট্রিকস।

চুল পড়া বন্ধের ওষুধ ও চিকিৎসা

কিছু রোগের কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। যেমন: থাইরয়েডের রোগ, রক্তশূন্যতা। আপনার যদি খাবারদাবার ঠিক থাকে, চুলের যত্ন নেন ঠিকমতো তাও আপনার চুল পড়ে। তাহলে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। তিনি খতিয়ে দেখতে পারবেন কোনো রোগের কারণে এমন হচ্ছে কিনা। রোগ ধরা পরলে অনুযায়ী চিকিৎসা করা যাবে। চুল পড়তে থাকার একটা অন্যতম কারণ হলো Androgenetic Alopecia নামের একটা রোগ। এই রোগে ছেলেদের মাথায় সাধারণ টাক পরা শুরু করে। কপালের দুপাশ থেকে চুল টাক হতে পারে। মেয়েদের সাধারণত টাক হয় না , কিন্তু চুল পাতলা হয়ে যায়। মাথার সিঁথি বড় হয়ে যায়। এই দুই ক্ষেত্রে চিকিৎসা আছে। দুইটা ওষুধ খুব ভালো কাজ করে। ওষুধ গুলোর নাম হল মিনক্সিডিল আর ফিনাস্টেরাইড। চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। তিনি দেখতে পারবেন আপনার এই রোগটি হয়েছে কিনা এবং কোন ওষুধে ভালো হতে পারবেন। ওষুধ ছাড়াও আরো কিছু উন্নত চিকিৎসা দেশে হচ্ছে যেমন: হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ মাথার পেছন থেকে চুল এনে সামনে বসানো। তারপর পিআরপি থেরাপি তেও কেউ কেউ উপকার পাচ্ছেন। ফলে চুল পড়ার অনেক ধরনের চিকিৎসা আছে। একজন ডার্মাটোলোজিস্ট বা স্কিনের ডাক্তারের কাছে গেলে তারা চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। এইভাবে আপনার চুল পড়া বন্ধ করার সমস্যা সমাধান পেতে পারেন।

মহিলাদের চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন

এখন উল্লেখ করবো চুলের যত্নে কমন কিছু ভুল নিয়ে। 

১. অনেকেই চুলের শ্যাম্পু ব্যবহারের করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। এটা চুলের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের চুল ভালো থাকার জন্য কিছু তেল দরকার হয়, যার মাথার তালু থেকে এমনিতেই আসে। কিন্তু আমরা যখন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুই, তখন সে তেলটাও ধুয়ে চলে যায়। কন্ডিশনারের কাজ হচ্ছে তেলগুলো আবার চুলে ফেরত দেয়া। তাই প্রতিবার শ্যাম্পু করার পরে চুলে কন্ডিশনার লাগাবেন।

২. ভেজা চুল ঘষে ঘষে মুছবেন না।

আমরা অনেকেই গোসল করে তোয়ালে দিয়ে একদম ঘষে ঘষে চুল মুছি। এতে চুল নষ্ট হয়। এমন না করে তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে দিয়ে পানি বের করবেন।

৩. ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। এতে চুল নষ্ট হয়। চুল খুব কোঁকড়া না হলে একটু শুকিয়ে যাবার পর চওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন।

৪. ব্লো ড্রাইয়ার বা কালিং আয়রন দিয়ে চুল শুকাবেন না। চুল বাতাসে শুকিয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভালো। তবে যদি ব্লো ড্রাইয়ার বা কালিং আয়রন ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে সবচেয়ে কম হিটে ব্যবহার করবেন, যত অল্প সময় ধরে করা যায়। সপ্তাহে একবারে বেশি ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন।

৫. খুব টাইট করে চুল বাঁধবেন না।

যারা খুব টাইট করে চলবে এটা রাখেন, সেই টানের কারণে চুল পড়তে পারে। এটাকে বলে ট্রাকশন এলোপেশিয়া। এসব বিষয়গুলো অবলম্বন করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল সুন্দর ও লম্বা হবে।

নতুন চুল গজানোর উপায়

চুলের জন্য বেশিরভাগ পুষ্টির উপাদান আলাদা ট্যাবলেটের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসলেই ভালো হয়। তবে এক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রম আছে। সেটা হল ভিটামিন ডি। খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া খুব কঠিন। সহজ উপায় হল রোদে সময় কাটানো। কিন্তু যাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয় আলাদা করে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেতে পারেন। ভিটামিন ট্যাবলেট এর ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন। কারণ অতিরিক্ত ট্যাবলেট খেলে চুল পড়ে যেতে পারে। যেমন, অতিরিক্ত ভিটামিন এ এর ফলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু আপনি হলুদ রঙের সবজি খেয়ে শরীরে যতই ভিটামিন এ ঢুকান না কেন তাতে কোন ক্ষতি নেই।

১. বাদাম থেকে আমরা কি উপাদান পাই?

উত্তর: চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, ওয়ালনাট এগুলোতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষ করে ওমেগা-৬।

২. ভিটামিন এ অভাব পূরণ করতে কোন কোন ফল খেতে হবে?

উত্তর: মিষ্টি আলু, গাজর, আম, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি এইগুলোতে ভিটামিন এ এর ভরপুর।

৩.ভিটামিন সি এর অভাবে চুল এমন বেঁকিয়ে পেচিয়ে যায়। মেডিকেলের ভাষায় এটিকে কী বলে?

উত্তর: মেডিকেলের ভাষায় এটিকে “Corkscrew Hair” বলে।

৪. অকালে চুল পড়ে যেতে থাকলে কিসের রোগের লক্ষণ দেখা যায়?

উত্তর: থাইরয়েডের রোগ, রক্তশূন্যতা রোগ।

৫.পাম্পকিন সিড ওয়েল বা কদুর তেল উপকারিতা কী?

উত্তর: পাম্পকিন সিড ওয়েল বা কদুর তেলটা ৩ মাস ব্যবহার করার পরে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে।

শেষ কথা:

আশা করি, উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনি প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করলে তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং সাথে নতুন চুল গজাবে। আপনার খাবার পানীয় ও জল ঠিকমতো গ্রহণ করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশে থাকবেন।

ধন্যবাদ…

পোস্ট ট্যাগ : চুল পড়া বন্ধের ওষুধ, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম, চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার ইসলামিক উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন, চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় কি, চুল পড়া বন্ধ করতে কোন ভিটামিন খেতে হবে, কত বছর পর্যন্ত চুল ঘন হয়।

Leave a Comment