হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর সহজ উপায়

হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কিভাবে সৃষ্টি হয়?

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার এই রোগটার প্রতিকার নিয়ে নিচে উল্লেখ করবো। উচ্চ রক্তচাপ কিভাবে সৃষ্টি হয় সেটা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলবো। কারণ রোগটার সম্পর্কে যত বেশি বুঝবেন তত বেশি রোগটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আমাদের শরীর রক্তের নালীগুলো রাবারের মত। প্রয়োজনে প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে। কিন্তু এই রক্তনালী শক্ত হয়ে যায় তখন প্রয়োজনমতো প্রসারিত হতে পারে না। রক্ত চলাচলে ব্যাপকভাবে বাধা সৃষ্টি হয়। তারপর শরীরে দেখা দেয় হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়াও প্রেসার বাড়ার কিছু সূক্ষ্ম কারণ রয়েছে। 

উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে শরীরে কি সমস্যা হতে পারে?

১. উচ্চ রক্তচাপের ফলে রক্তনালী গুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। রক্তনালীর দেয়াল পাতলা হয়ে বেলুনের মত ফুলে ওঠে। সেটা হঠাৎ করে খিয়ে যেতে পারে। তখন ব্রেনে মারাত্মক রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। একই সমস্যা পেটে রক্তনালিতে দেখা দিতে পারে।

২. রক্তনালীতে চর্বি জমা।

সুস্থ স্বাভাবিক রক্তনালী তার গায়ে চর্বি জমতে দেয় না। তবে উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে। তখন রক্তনালীর গায়ে চর্বি, কোলেস্ট্রল ও ক্যালসিয়াম জমতে পারে। আস্তে আস্তে এই চর্বি জমাট বড় হয় এবং সাথে রক্তনালীর সরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় চর্বির গায়ে এসে রক্ত জমাট বাঁধে। এক পর্যায়ে রক্তনালীর মুখ পুরোটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন রক্ত আর সামনে এগোতে পারে না। এটা খুবই মারাত্মক ঘটনা। আপনারা নিশ্চয়ই ব্রেন স্টোক ও হার্ট এর্টাকের কথা শুনেছেন এইটা সেই ঘটনা। ব্রেইনে রক্তনালী বন্ধ হলে হয়, স্ট্রোক। তখন ব্রেনের এক অংশ আর রক্ত পায় না। কোষগুলো মরে যাই। একইভাবে হার্টের রক্তনালি বন্ধ হলে হয়, হার্ট অ্যাটাক। এছাড়াও হাই ব্লাড প্রেসার দীর্ঘদিন থাকলে আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: হার্ট দুর্বল হয়ে যাওয়া, কিডনি ক্রমে অকেজো হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়া ইত্যাদি। অনেকগুলো গুরুতর অসুখের কথা উল্লেখ করলাম। তবে হাই ব্লাড প্রেসার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক এগুলো কোনটাই নয়। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে এর নীরবতা। হাই ব্লাড প্রেসার শরীরে যখন দেখা দেয় তখন আপাতত দৃষ্টিতে কোন ব্যাথা ও অসুবিধা সৃষ্টি করে না। তাই আমরা অধিকাংশ মানুষই এটাকে অপ্রাজ্য করি। সেই সুযোগে হাই ব্লাড প্রেশার আস্তে আস্তে শরীরে ক্ষতিগুলো করতে থাকে। হঠাৎ একদিন দেখা দেই মারাত্মক ব্যাধি। আশা করি, বুঝতে পেরেছেন কেন কখনোই হাই ব্লাড প্রেসার কে হালকাভাবে নেয়া যাবে না।

আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার এবং সবকিছু কন্ট্রাল এ না থাকলে এতে শরীরের অনেক রোগ কিংবা এলাৰ্জি র সৃষ্টি হতে পারে তাই সব সময় শরীর কে মেইনটেইন এ রাখার চেষ্টা করুন। এলাৰ্জি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আরো পড়ুন এলার্জি বা চুলকানি থেকে মুক্তির কার্যকর উপায়

হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের কী খাওয়া যাবে না?

১. লবণ

 দিনে কতটুকু লবণ খাচ্ছেন তার ওপর সতর্ক থাকতে হবে। দিনে চা চামচের পরিমাণে পৌনে এক চা চামচের পরিমাণে একটু কম লবণ খাবেন। আমরা দিনে যতটুকু লবণ খাই তার বেশিরভাগই খাবারের ভিতরে লুকিয়ে থাকে। বাসার ভাতের সাথে যেই তরকারি খাই সেগুলি সবই লবণ দিয়ে রান্না করা। ফল খেতে গেলে যেমন: আমড়া, জাম্বুরা, পেয়ারা মাখাতেও আমরা লবণ দেই। কারণ মজা লাগে বেশি। সিঙ্গারা, পুড়ি, ঝাল মুড়ি ইত্যাদি সবগুলোতেই লবণ দেয়া। লবন দেয়া নাই এমন খাবার আমরা কম খাই। তাই কি পরিমাণে লবণ দেয়া খাবার আমাদের শরীরে ঢুকছে সেটা হিসাব আমাদের কাছে থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ মানুষ এই নিজের অজান্তে মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাচ্ছে। হাই ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ক্ষেত্রে আপনার সেটা অনেক বড় ঝুঁকি।

লবণ খাওয়ার কমানোর ৯টি উপায়

১. ভাত খাওয়ার সময় আলাদা করে কাচা লবণ খাবেন না। টেবিল থেকে লবণের কোটা সরিয়ে ফেলবেন। কারণ চোখের সামনে অথবা হাতের কাছে থাকলে লবণ নিতে ইচ্ছা করতে পারে। 

২. অনেকের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে কাঁচা লবণ ব্লাড প্রেসার এর জন্য ক্ষতিকর কিন্তু ভাজা লবণ করে কোন সমস্যা নেই, এই ধারণাটা ভুল। লবণ কাঁচা হোক বা ভাজা হোক তাতে সোডিয়াম থাকে। আর সোডিয়াম ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। তাই তরকারিতে লবণ কম দিতে হবে।

৩. রান্না করার উপাদানগুলোতে কতটুকু লবণ আছে সেটার খেয়াল রাখতে হবে। সয়া সস, বিট লবণ, টেস্টি সল্ট ইত্যাদি এগুলোতে বেশি পরিমাণে লবণ থাকে। রান্নাই তাই এগুলোর বদলে অন্য কিছু ব্যবহার করা চেষ্টা করবেন।

৪. বাসায় রান্না করার কিছু খাবারে এবং কিছু প্রাকৃতিক খাবারেও লবন একটু বেশি পরিমাণে থাকে। সেগুলোর সম্পূর্ণভাবে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবেন। যেমন: চিংড়ি মাছ, পনির, কিছু কিছু ভর্তা ও আচার ইত্যাদি খেতে পারেন। 

৫. বাজার থেকে কেনা খাবার, রাস্তার পাশে টঙের দোকানের খাবার, হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের খাবার এগুলো যতটাই পারেন এড়িয়ে চলবেন। কেন? এইগুলোতে কতটুকু লবণ দেয়া আছে সেটা আপনার জানা নাই। ব্লাড প্রেসার রোগীদের কথা চিন্তা করে কম লবণ দিয়ে অল্প স্বাদের খাবার রান্না করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই এগুলো পরিহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

৬. টমেটো সস, টমেটো কেচাপ এগুলো এড়িয়ে চলবেন। এগুলোতে অনেক লবণের পরিমাণ বেশি থাকে।

৭. নাস্তায় পুড়ি, সিঙ্গারা, চপ, নুডুলস, চিপস ইত্যাদি এইসব খাবার পরিহার করলে নিজের অনেক উপকার হবে। নাস্তার জন্য আপনি ফল খেতে পারেন। তবে ফল আবার লবণ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া যাবে না।

৮. যারা প্রক্রিয়া জাতীয় খাবার কেনেন যেমন: নুডুলস, চিপস, পাস্তা ইত্যাদি তারা পেকেটের গায়ে লিখা লবণের পরিমাণ দেখে কিনবেন। লবণ কম আছে এমন অপশন থাকলে সেটা কিনবেন।

৯. দাওয়াতে গেলে পোলাও বা ফ্রাইড রাইস না খেয়ে সাদা খাবেন। কারণ সাদা ভাত সাধারণত লবণ ছাড়াই রান্না করা হয়। নান রুটি না নিয়ে সাধারণ ছেকা রুটি খাবেন লবণ পরিহার করার জন্য।

২. তেল চর্বি খাবার বা ফ্যাট জাতীয় খাবার। 

সব মিলিয়ে দিনে দুই থেকে তিন চা চামচের বেশি তেল খাওয়া যাবে না। সেটা মাছ, মাংস, সবজির তরকারির সাথে হোক বা নাস্তার ভাজা পোড়ার সাথেই হোক। খাবারের ফ্যাট কমানোর ৬টি উপায় উল্লেখ করছি।

১. রান্নায় তেল ঢালার সময় চা চামচ ব্যবহার করবেন। তাহলে কতটুকু তেল দিচ্ছেন সেই হিসাব রাখতে সুবিধা হবে।

২. মাংস খেতে হলে চর্বি ছাড়া মাংস বেছে নিবেন।

৩. মুরগির চামড়া খেতে মজা লাগলেও অনুগ্রহপূর্বক করে এড়িয়ে চলবেন। কারণ মুরগির চামড়ায় অনেক ফ্যাট থাকে।

৪. ঘি আর মাখন থেকে দূরে থাকবেন। কারণ এগুলোতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি।

৫. দুধের সর, ফুল ক্রিম বা ফুল ফ্যাট দুধ এবং মিষ্টি দই খাবেন না। বরং, ফ্যাট ফ্রী দুধ আর টক দই খাবেন।

৬. ডিম তেল না ভেজে, সিদ্ধ করে বা পোস্ট করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। একটি ডিম ভাজতে অনেকে এক চামচ বা 2 চা চামচ তেল ব্যবহার করেন। ফলে, তেল থেকে দূরে থাকবেন। এতে আপনার উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা পেতে পারবেন

৩.চিনি

সারা সপ্তাহে খাবারে যাতে দুই থেকে পাঁচ টেবিল চামচের থেকে কম চিনি থাকে। এই বিষয়ে দুইটা বোনাস টিপস: 

১. কোক, সেভেন আপ ইত্যাদি soft drince এ প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এগুলোই একদম না খাওয়াই ভালো। আপনি সারা সপ্তাহের সর্বোচ্চ যতটুকু চিনি খেতে পারবেন ৬ শত এমএল এ এক বোতল কোল্ড ড্রিংকসে তার থেকে বেশি পরিমাণে চিনি থাকে।

২. টমেটো ক্যাচাপ। এইটাতে ভালো পরিমাণে চিনি থাকে। তাই এটা পরিহার করতে হবে।

লবণের মতই তেল এবং চিনি বিভিন্ন রান্নার উপকরণে এবং খাবারের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সতর্কতা সাথে খাবার খাওয়া এবং রান্না করা সম্পূর্ণ করতে হবে। 

হাই ব্লাড প্রেসার এবং উচ্চ রক্তচাপে কী কী খাবার খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী?

কিছু কিছু খাদ্যে পটাশিয়াম থাকে যেটা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কোন খাবারে পটাশিয়াম থাকে আর কিভাবে বেশি পটাশিয়াম খাবেন? তা তিনটা উপায় নিচে দেওয়া হল।

১. দিনে চার থেকে পাঁচটা মাঝারি সাইজের ফল খাবেন। একবারে খাওয়ার সম্ভব না হলে অল্প অল্প করে খান। ধরেন, আপনি হয়তো দিনে একবার কম ফল খান তাহলে চিন্তা করেন আগামী এক সপ্তাহ প্রতিদিন অন্তত দুইটা করে ফল খাবেন। সেই অনুযায়ী বাজার করে রাখেন। সকালের নাস্তায় একটা ফল খান। অফিসের ব্যাগের সাথে করে ফল নিয়ে যান। যাতে ক্ষুধা লাগে সেটা খেতে পারেন। পরের সপ্তাহে ফলের সংখ্যাটা আরো বাড়ান। 

২. দিনে দুই থেকে আড়াই কাপ কাটা বা রান্না করা সবজি খাবেন। এটাও আগেরটার মতই, অল্প অল্প করে খাওয়া পরিবর্তন করুন। যদি সবজি তেমন খাওয়া না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নেন আপনি আগামী সপ্তাহে প্রতিদিন অন্তত বেলা এক কাপ সবজি খাবেন। ফল আর শাকসবজিতে প্রাকৃতিকভাবে পটাশিয়াম মজুদ আছে। এগুলো আপনার হাই ব্লাড প্রেসার এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। পটাশিয়াম বাড়ানোর জন্য ভুলেও আবার নিজে নিজে পটাশিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করবেন না।

৩. খাদ্যের পটাশিয়াম বাড়ানোর আরেকটি উপায় হলো দুধ এবং দই। ফুল ক্রিম ও মিষ্টি দই খাওয়া যাবেনা। কারণ সেগুলোতে ফ্যাটের সংখ্যা বেশি। খেতে হবে ফ্যাট ফ্রি দুধ কিংবা টক দই। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ ফ্যাট ফ্রি দুধ কিংবা টক দই খাওয়ার চেষ্টা করেন। এক কাপের পরিমাণ হবে আড়াই শত মিলির মতো। এতক্ষণ যে খাবারগুলো কথা উল্লেখ করলাম তার উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী খাবার কমিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবারগুলো বেশি খাবেন। ধরেন, আপনি নাস্তায় তিনটার সিঙ্গারা খেতেন, এখন তিনটা বদলে একটা সিঙ্গারা আর সাথে একটা কলা খেলে। আগে বেশি ভাত খেতেন, এখন ভাত কমিয়ে সবজি বেশি খাবেন। কিন্তু যদি এমন হয়, আগে আপনি দুই প্লেট ভাত খেতেন এখনো দুই প্লেট ভাতই খান, সেটা কমান নাই কিন্তু সাথে যোগ করেছেন ৫০০ মিলি দুধ তাহলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাবে। ফলে এতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বছরের পর বছর গবেষণা মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞান যা জানতে পেরেছেন সেটা হলো ড্যাশ ডায়েট। গবেষণায় দেখা গেছে এই ড্যাশ ডায়েট অনুসরণ করতে পারলে ১১ পয়েন্ট পর্যন্ত রক্তচাপ কমতে পারে। ব্লাড প্রেশারের ক্ষেত্রে অনেক বড় সংখ্যা এটা। এটি সঠিকভাবে অনুসরণ করার জন্য শুধুমাত্র রোগী না বরং পরিবারের সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যে বাজার করছে, যে রান্না করছে, যে খাবার টেবিলে আছে সবারই এই বিষয়গুলো জানতে হবে।

একটি নরমাল ডায়েট চার্ট এর ব্যাপারে জানতে হলে আরো পড়ুন ২০২৩ এ ডায়েট কন্ট্রোল করার জনপ্রিয় ৭টি সহজ উপায় ও ডায়েট চার্ট

খাবার ছাড়া কি কি উপায়ে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে? 

১. ওষুধ

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার অবস্থা অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে ওষুধ দিবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাবেন। মনে রাখবেন, আপনি নিজে নিজেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করবেন না। একদিন আপনি প্রেশার মেপে দেখলেন যে প্রেসার নরমাল হয়ে গেছে তাই সিদ্ধান্ত নিলেন আর ওষুধ খাবেন না। কিন্তু এটা মারাত্মক একটি ভুল। হাই ব্লাড প্রেসার আপনাকে কিচ্ছু জানান দিবে না। নিরবে শরীরে ক্ষতি করতে থাকবে। তাতে একদিন দেখা দিবে হার্ট অ্যাটাক বা স্টোক।

২. অতিরিক্ত ওজন কমানো।

প্রতি এক কেজি অতিরিক্ত ওজন কমালে রক্তচাপ সাধারণত এক পয়েন্ট পর্যন্ত কমে। তাই যাদের ওজন বেশি তা কমাতে চেষ্টা করবেন।

৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করা।

সপ্তাহে আড়াই ঘন্টা পরে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে রক্তচাপ ৫ পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে পারে। চেষ্টা করেন সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটতে।

শেষ কথা:

আশা করি, উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনি প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করলে তাহলে আপনার শরীরে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে। এই পোস্টের উল্লেখিত কথাগুলো অনুসরণ করলে আপনার শরীরে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ দেখা যাবে না। আমাদের পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশে থাকবেন।

পোস্ট ট্যাগ: হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাঁচটি উপায়, হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি, হাই প্রেসার কমানোর খাবার, হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করনীয়, তাৎক্ষণিক প্রেসার কমানোর উপায়, হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না, হাই প্রেসার কমানোর ওষুধের নাম, কি কি ফল খেলে প্রেসার কমে, হাই প্রেসার কমানোর সহজ ৫ উপায়।

Leave a Comment