বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি? এর সুবিধা এবং অসুবিধা।

অনলাইন ক্লাস কি?

অনলাইন ক্লাস বলতে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই নিজের ঘরে বসে বা যে কোন স্থানে বসে পড়াশোনা করার মাধ্যমকে অনলাইন ক্লাস বলা হয়।

অনলাইন ক্লাস হল এমন একটি ক্লাস যেখানে শিক্ষক ও ছাত্র দুইজন দুই স্থানে থাকবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ইত্যাদি ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। 

অনলাইন ক্লাস কেন করবেন?

অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তার কি?

 ধরুন আপনি এক সপ্তাহ যাবত অসুস্থ অথবা আপনি এমন একটি কলেজে পড়ছেন যেখানে দক্ষ শিক্ষকের অভাব বা আপনাদের যে শিক্ষক ক্লাস নেই ওই শিক্ষকের পড়াটা আপনি বুঝতে পারছেন না। অথবা আপনি গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করছেন তখনই আপনার কোন একটি সমস্যা সৃষ্টি হলো পড়াশোনা নিয়ে সেটা সমাধান করার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না এ সমস্যাগুলোর সমাধান বাস্তব শিক্ষায় সম্ভব না। আর এই সমস্যাগুলো সমাধান একমাত্র অনলাইন  শিক্ষাদানের মাধ্যমেই সম্ভব।

অনলাইন ক্লাসের কোন সফটওয়্যার গুলো ভালো –

যদি ব্যবহার করতে পারেন সঠিক সফটওয়্যার তাহলে অনলাইন ক্লাসে নিতে পারবেন অতিরিক্ত সুবিধা যেমন- জুম,ফেসবুক কিংবা গুগল মিট এবং জেনে নিন কোন সফটওয়্যার-এ কোন কোন সুবিধা।

জুম (Zoom):

জুমে ফ্রি একাউন্টে ৪০ মিনিটের একটা লিমিট থাকে অর্থাৎ ৪০ মিনিট পরপরই শিক্ষার্থীরা নতুন করে যুক্ত হতে হবে।

ফেসবুক (Facebook): 

ফেসবুকে ডকুমেন্ট আপলোড করার সুবিধা আছে।আর ফেসবুক লাইটে শুধুমাত্র বার্তা পাঠাতে পারবেন।

গুগল মিট (Google Meet):

গুগল মিট অথবা জুমে যদি আপনি ফাইল শেয়ার করতে চান তাহলে গুগল ড্রাইভ এর সহায়তা নিতে হবে। জুম অথবা গুগল  মিট-এ আপনি আপনার শিক্ষকের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন ও বার্তা পাঠাতে পারবেন।

এবার আপনি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড সেকশনে গিয়ে আপনার পছন্দের অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলুন। মনে রাখবেন নতুন কিছু শিখতে চাইলে রেগুলার চর্চা করতে হবে।অনুশীলন একটি মানুষকে নিখুঁত করে তোলে তাই রেগুলার চর্চা করলে এই সফটওয়্যার গুলোতে আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন আর এটা নিয়ে আপনার কোন চিন্তা থাকবে না। 

অনলাইন ক্লাসের সুবিধা /অনলাইন ক্লাসের সুফল–

অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি?

বর্তমান যুগে ইন্টারনেট জীবনের সর্বস্তরের অনলাইন ক্লাস একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারনে শিক্ষার্থীরা যেহেতু সরাসরি  শিক্ষকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না তাই এক্ষেত্রে তারা আরো বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে উঠেছে। 

আবার গ্রুপে একসাথে পড়াশোনা করার পরে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে যার ফলে তারা নিজেদের সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নিতে পারছে।অনলাইন ক্লাস শিক্ষক তথা শিক্ষার্থীদের সময় এবং অর্থ দুটিরই সাশ্রয় হচ্ছে। যেহেতু এটা ঘরে বসে শিক্ষা আদান-প্রদানের সুবিধা দিচ্ছে তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত যাওয়ার সময় ও অর্থ দুটোই বেঁচে যাচ্ছে। এর বাইরে ও অনলাইন ক্লাস রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থার ফলে যদি কোন কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাস মিস করে অথবা কোন বিষয়ে পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা  সহজে তা পেয়ে যেতে পারছে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তের শিক্ষক যেকোনো প্রান্তে বসে যেকোনো প্রান্তে শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষা পৌঁছে দিতে পারছে।

যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো থেকে ভালো শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারছে। মহিলা ও নারীদের ক্ষেত্রেও এটি একটি নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করছে।শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে না বেরিয়েও অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আবার বর্তমানে অনেক শিক্ষক আছেন যারা সব বিষয়ে পড়াতে চান না খুব বেশি হলে দুইটা বিষয় পড়ান। এক্ষেত্রে হয় কি এমন অনেক পরিবার আছে যাদের  ছেলে মেয়েদের দুইটা শিক্ষক দেওয়ার মতো আর্থিক সমর্থ্য থাকে না।সেক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে তারা ঘরে বসে নিজের পছন্দমত শিক্ষকের ক্লাস করতে পারেন এতে আর্থিক সমস্যাটাও কমে যায়। অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি? এর একটি উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলো :

ধরুন একটা ক্লাসে ৬০ জন শিক্ষার্থী আছে সময় হচ্ছে ৫০ মিনিট এ ৫০ মিনিটে যদি ৬০ জন শিক্ষার্থী প্রশ্ন করতে যায় তাহলে ওই ৫০ মিনিট সময় বন্টন করা সম্ভব নয়  সে ক্ষেত্রে হয় কি শিক্ষক ঠিকঠাক প্রশ্ন করতে দেয় না,অথবা আমাদের ঐতিহ্যগতভাবে হয়ে গিয়েছে যে ক্লাসে আমরা খুব বেশি প্রশ্ন করি না। প্রশ্ন আসলে সবার মনে জাগে যখন সে পড়াশোনা করে তারপরেও যেহেতু এত অল্প সময়ে এত প্রশ্ন করা যায় না, এই জায়গাতে যদি অনলাইন ক্লাসে যদি কেউ ক্লাস করে মূলত আমাদের যারা দক্ষ শিক্ষক আছে ক্লাস নেন তারা ক্লাস নেওয়ার পূর্বে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি ধরনের প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে সে ধরনের প্রশ্ন উত্তর সাজিয়ে রাখেন।এরপরেও কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সমস্যাগুলোকে তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়।

অনলাইনে কিন্তু এটাই সুবিধা। কারন আপনি রাত দুইটা দিকে পড়ছেন তখন আপনার ক্লাস প্রাইভেট কোন কিছুই থাকছে না। আপনি কোন পড়ায় আটকে গেলেন তখন হয় কি আপনি ওই জায়গাটা মুখস্ত করে ফেলেন নয়তো পড়তে ভালো লাগছে না বলে বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু অনলাইনে আপনি এই সুবিধা গুলো পাবেন।অনলাইন ক্লাসে সবাই যেকোনো বিষয়ে সহজে শিক্ষা লাভ করতে পারে। যদি কোন টপিক বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে সেটা বারবার রিপিট করেও পড়তে পারে । ফলে যতক্ষণ না ওই টপিক পুরোপুরি আয়ত্ত হচ্ছে তা বারবার অনুশীলন করা যায়। সুতরাং এই সুবিধা গুলো দেয়ার জন্য দিনের পর দিন ২৪ ঘন্টা বিভিন্ন সফটওয়্যার এই সেবা গুলো  দেওয়া হয় তাহলে বুঝতেই পারছেন অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি এবং এর সুবিধা। 

অনলাইন ক্লাসের অসুবিধা/ অনলাইন ক্লাসের কুফল –

মন্দ আছে বলেই ভালোর এত কদর মন্দ না থাকলে ভালো জিনিসটার মানেই বোঝা যেতনা। তুলনার মধ্য দিয়ে কোন বস্তুর নিজের স্বরূপ অনুধাবন করা যায়। এখন অনলাইন ক্লাসের যে অসুবিধাগুলো রয়েছে  তা নিচে জেনে নি – 

অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে যেমন- অতিরিক্ত অনলাইন ক্লাস করার ফলে বিভিন্ন রকমের শারীরিক অসুস্থ দেখা যাচ্ছে। তথা শিক্ষার্থীরা মোবাইলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। সবচাইতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলে পড়ুয়াদের কারণ বেশিরভাগ গ্রামে ইন্টারনেট  সংযোগ প্রায় নেই বললেই চলে।এছাড়া আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই দুর্বল। অনেকের দুবেলা খেতে  অবধি পায় না তাদের পক্ষে স্মার্ট ফোন তথা  ইন্টারনেট প্যাক কিনা অসম্ভব ব্যাপার। আবার অনলাইন ক্লাসে শিক্ষকের পক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় যেটা একটা  শ্রেণিকক্ষের করা সম্ভব। আবার স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বাচ্চাদের পড়ার সাথে সাথে নাচ-গান, যোগ-ব্যায়াম, বক্তৃতা, আবৃত্তি  তথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মত জিনিসের অংশগ্রহণ করতে পারে কিন্তু অনলাইন ক্লাসে কেবলমাত্র পড়াশোনার বিষয়ে কোর্স সম্পন্ন করানো হয়।

অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি ?আপনারা সকলেই জানেন করোনা সংক্রমণের জন্য রীতিমতো   বাধ্য হয়ে আমাদের অফলাইন ক্লাসগুলো অনলাইনে সেট করা হয়েছে। এটি আমাদের শিখিয়েছে যে কিভাবে পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।এর কয়েকটি উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলো যেমন:

আমাদের মন মস্তিষ্ক খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ কি–

আমাদের মন মস্তিষ্ক খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ হলো আমাদের স্মার্টফোন। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করার ফলে আমাদের প্রেশার ব্রেন আউট হয়ে যাবে অর্থাৎ চোখের প্রেসার পড়বে আর চোখে প্রেসার পড়লে  মাথা ব্যাথা করবে আর মাথা ব্যথা করলে আমাদের কিছু করতে ভালো লাগবে না। কোন কাজে মন বসবে না মন চঞ্চল হয়ে যাবে। যে যাই বলুক ভালো কথা বললেও আমাদের খারাপ লাগবে।

ইন্টারনেট এবং ডিভাইসের সমস্যা-

এখনো এমন অনেকগুলো গ্রাম আছে যেখানে ইন্টারনেট পৌঁছায়নি আর পৌঁছালেও তা ২ জিবি বা তিন জিবি তার স্প্রীড কিন্তু নেই। এটি কিন্তু অনলাইন ক্লাস বা লাইট ক্লাস করার জন্য উপযুক্ত ইন্টারনেট নয়। আবার ইন্টারনেট পৌঁছালেও এমন অনেক পরিবারের ছেলে মেয়ে আছে যাদের কাছে স্মার্ট ফোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই অনলাইন ক্লাসে  যুক্ত হওয়ার জন্য। এটা একটি বড় সমস্যা হতে পারে।যারা এই করোনা সংক্রমণ এর মধ্য একদম অফলাইন ক্লাসও করতে পারছেন না এবং অনলাইন ক্লাসও করতে পারছেন না তারা একদম পড়ালেখার বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন ক্লাস যেহেতু স্মার্টফোন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইত্যাদি ডিভাইসের উপর নির্ভর সেহেতু এগুলো যার কাছে আছে  কেবলমাত্র তারাই অনলাইন ক্লাস গুলো করতে পারছে অন্যভাবে অন্যরা করতে পারবে না। এটা হচ্ছে সীমাবদ্ধতা অনলাইন ক্লাসের।

পিতা মাতা এবং শিক্ষকের দায়িত্ব বৃদ্ধি-

অনলাইন ক্লাস কিন্তু আমাদের মা-বাবা শিক্ষকদের দায়িত্ব অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।যদি দায়িত্ববান মাতা পিতা না হয় তাহলে অনলাইন ক্লাস কিন্তু ফলপ্রসূ হবে না। কারণ আগে আমাদের মোবাইল হাতে দিত না কিন্তু এখন মাতা পিতারা নিজেরাই মোবাইল হাতে তুলে দিচ্ছেন। এখন মোবাইল হাতে দেওয়ার পরে  শিক্ষার্থীরা এটা অপব্যবহার করবে না সেটা কে বলতে পারে।

ধরুন আপনি অনলাইন ক্লাসের ভিডিও গুলো দেখছেন এখন ক্লাস দেখতে দেখতে অন্য কোন কনটেন্ট চলে এলো অথবা আপনি ফানি ভিডিও দেখতে শুরু করলেন যেটা আমাদের মন বিভ্রান্ত করে।আর এই ধরনের জিনিসগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পিতা মাতাকে সজাগ থাকতে হবে সব সময়। দ্বিতীয়তঃ শিক্ষকদের যে দায়িত্ব গুলো রয়েছে সেগুলো হলো শিক্ষক যখন ক্লাস করাবে  সে ক্লাসের গতি কিন্তু থাকতে হবে। ক্লাসে এসে জিমালে হবে না।যথারীতি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাস করাতে হবে।

ফোকাস করতে যে সুবিধা-

ধরুন কোন শিক্ষক শুধু ট্যাক্স রেখে দিচ্ছে সেটিকে পড়াচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীরা ফোকাস করবে কি করে যদি সেখানে কোন এনিমেশন না থাকে গ্রাফিক্স না থাকে। মনে করুন আমরা একটি ছবি দেখছি যদি ছবিটি রংবেরঙের হয় তাহলে এই ছবিটি বেশিক্ষণ দেখতে ভালো লাগবে।যেহেতু এ ধরনের উপস্থাপন সহজলভ্য নয় সেহেতু কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফোকাস করার জন্য জটিল হয়ে পড়ে। 

এছাড়াও ক্লাস টাইম যদি অনেক লেন্ডিং হয় দুই ঘন্টা তিন ঘণ্টা তাহলে কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলে।দু’ঘণ্টা তিন ঘন্টা ক্লাস করা কোন শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব নয়।তো এটাও একটা বড় অসুবিধা অনলাইন ক্লাসের। আবার এমন অনেক কোর্স আছে যেগুলো অনলাইন ক্লাসে সম্পন্ন করা বা অনলাইন ক্লাসে পড়া সম্ভব নয়। যেমন- নার্সিং কোর্স, ডাক্তারি কোর্স, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স, ড্রাইভিং কোর্স ইত্যাদি। 

অবশেষে বলা যায় যে অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি বা অনলাইন শিক্ষার সুবিধা এবং অসুবিধা উভয় রয়েছে কিন্তু এটা একমাত্র ব্যবহারকারী ব্যক্তির উপর নির্ভর করে যে সে অনলাইন ক্লাস থেকে সুবিধা গুলো গ্রহণ করবে নাকি অপব্যবহার করে অসুবিধাগুলো গ্রহণ করবে। 

অনলাইন ক্লাস করার সময় যা যা করা উচিত নয়?

টার্ন অফ ম্যাসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি–

অনলাইন ক্লাস চলাকালীন সময়ে টার্ন অফ মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপ যা কিছু সামাজিক মাধ্যম আছে তা তোমার অনলাইন ক্লাস যেটুকু সময়ের মধ্যে চলে সেইটুকু সময়ের জন্য সকল সামাজিক মাধ্যম গুলো বন্ধ রাখবে।আমাদের মোবাইলে খুব সুন্দর একটা অপশন আছে যে অ্যাপ্লিকেশন সেটিং-এ গিয়ে ওই অ্যাপ্লিকেশন বিজ্ঞপ্তি গুলো বন্ধ করে দেওয়া যায়। যেমন আমাদের অফলাইন ক্লাসের বিরক্তিকর বিষয় হল ক্লাসে অন্যরা কথা বলছে চিৎকার করছে অথবা ক্লাসের বাইরে শব্দ হচ্ছে এগুলো যেমন –অফলাইন ক্লাসের বিরক্তিকর স্বরূপ ঠিক তেমনি অনলাইন ক্লাসের বিরক্তিকর বিষয় হলো সামাজিক মাধ্যম বা গেমিং সাইটগুলো।তাই আমরা অনলাইনে কাজগুলো করার সময় সামাজিক মাধ্যম এবং গেমিং সাইট গুলোর নোটিফিকেশনগুলো বন্ধ করে রাখবো।

নির্দিষ্ট স্থানে বসে পড়াশোনা করা –

আমাদের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী আছে যারা অনলাইন ক্লাস গুলো করার সময় বিছানায় শুয়ে ক্লাস করছে,খাবার টেবিলে বসে ক্লাস করছে, টিভি ছেড়ে রেখে ক্লাস করছে,অথবা বাইরে বসে ক্লাস করছে, এটি কিন্তু উচিত না যেহেতু এটি একটা পড়াশোনার ব্যাপার রয়েছে একটা ক্লাসের ব্যাপার রয়েছে  এটা একজন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব পড়াশোনাকে গুরুত্ব দেওয়া। যাতে তুমি তোমার পড়ালেখার গুরুত্বটা বজায় রাখতে পারো। যেমন– তুমি তোমার রুমে যাবে রুমে গিয়ে সুন্দর করে মোবাইলটা বসিয়ে রেখে চারপাশ গেট লক করে দিয়ে তুমি তোমার কাজ করবে যদি এইটুকু ব্যবস্থা না থাকে তাহলে একটা ভালো উপায় আছে  হেডফোন, হেডফোন ব্যবহার করে যদি আমরা অনলাইন ক্লাসটা করি তাহলে বাইরের যে শব্দগুলো হয় তা বন্ধ হয়ে যায় আমাদের প্রত্যেকেরই গান শোনার অভ্যাস আছে আশা করি আমাদের হেডফোন ব্যবহার করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। তাই আমরা অনলাইন কাজ করার সময় যাতে হেডফোন ব্যবহার করে অথবা নিজ ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করি। 

আরো পড়ুন: ছাত্র জীবনে টাকায় আয় করার উপায় এবং জমানো সহজ উপায় ২০২৩ 

উপসংহার: সমস্যায় জর্জরিত বর্তমান সম্মুখে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু জিনিসকে থামিয়ে রাখা গেলেও পড়াশোনা কিন্তু থামিয়ে রাখা যাবে না। একে সচল রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে কেবলমাত্র অনলাইন ক্লাস। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটা বড় অংশের শিক্ষা বিমুখ হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকে যাবে। তাই এক্ষেত্রে যেটা সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো অভিভাবক তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সচেতনতা।  যার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন বিরাম রেখে  ক্লাসগুলির বিষয় সময়সূচি ব্যবস্থা করা এবং অভিভাবকের করণীয় হল লক্ষরাখা যাতে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে নেশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে। অথবা কোন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন না হয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে এই অনলাইন পড়াশোনা থেকে কোনভাবে শিক্ষার্থীরা  মানসিক চাপের কারণ না হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা যেন সবসময় মনে আগ্রহ সঞ্চয় করে আনন্দায়ক  হয়ে ওঠে।তাহলে বুঝতেই পারছেন অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি?

FAQ:

১. অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কি? 

অনলাইন ক্লাস করে আমাদের অর্থ এবং সময় দুটোই বাঁচবে।অফলাইন ক্লাস থেকে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা বেশি।

২. অনলাইন ক্লাসে কি কোন নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন হয়?

অনলাইন ক্লাস করার জন্য কোন নির্দিষ্ট টাইমের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে অফলাইন ক্লাসের আমাদের নির্দিষ্ট সময় বরাবর ক্লাসে না পৌঁছালে ক্লাস করা যায় না। অফলাইন ক্লাস থেকে অনলাইন ক্লাসের  সুবিধা বেশি। তাই অফলাইন ক্লাস থেকে অনলাইন ক্লাস অতি উত্তম বলে আমি মনে করি।

৩. অনলাইন ক্লাস করে কি সিলেবাস শেষ করা যাবে?

অবশ্যই যাবে যদি তুমি লেখাপড়াকে গুরুত্ব দাও, যদি তোমর লেখাপড়া নিয়ে কিছু করার চিন্তা ভাবনা থাকে। 

৪.অনলাইন ক্লাসে কি পরীক্ষা দেওয়া যায়?

 ক্লাস রুটিন অনুযায়ী সাপ্তাহিক বা মাসিক পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে।তবে অনলাইন ক্লাসে মক টেস্ট টা বেশি নেওয়া হয়।

৫.অনলাইন ক্লাসের শিক্ষকের সম্মানি কেমন হয়?

অনলাইন ক্লাসে অতি সুলব মূল্যে ক্লাস করানো হয়। অতটা বাধ্য বাধকতা থাকে না টাকা নিয়ে।

একজন বাংলাদেশী কনটেন্ট ক্রিয়াটার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কয়েক বছর থেকে কাজ করে আসছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙ্গামাটিতে। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি ২০২৩ এ বাংলায় Info এর সাথে যুক্ত হয়ে বাংলা ভাষা নিয়ে কনটেন্ট বানানো শুরু করেন।

Related Posts

itel P55+ 5G

itel P55+ 5GLaunch Date in India – 10,000 টাকার কম দামে শীগ্রই লঞ্চ হবে  !

Itel হলো একটি স্মার্টফোন উৎপাদনকারী সংস্থা যা খুব শীগ্রই  চালু করতে চলেছে তাদের চমকপ্রদ  নতুন বাজেট এর 5G স্মার্টফোন।  ইতিমধ্যেই কোম্পানি টি তার নিউ itel P55+ 5G…

Infinix Smart 8 HD Price in India

Infinix Smart 8 HD Price in India-Infinix নিয়ে এল অসাধারণ Smart 8HD, মাত্র ৬ হাজারে!

আপনি Infinix এর সর্বশেষ স্মার্টফোনযদি কিনতে চান তাহলে  Infinix Smart 8 HD এর মডেল টি খুব কম দামে কিনতে পারবেন। Infinix Smart 8 HD Price in India –…

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা কি

এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা কি? ও এর কাজ কি?

আপনি কি জানেন? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি? জাপানি সহ পৃথিবী উন্নত দেশগুলোতে এখন কৃএিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। বড় বড়…

AC চালালেও  ইলেকট্রিক বিল কম আসবে জেনে নিন কি কি টিপস!

AC চালালেও  ইলেকট্রিক বিল কম আসবে জেনে নিন কি কি টিপস!

আমরা যারা মধ্যবিত্ত লোক গরমকালে আমাদের AC চালাতে সবার এক প্রকার ভয় ই করে। আবহাওয়া র আদ্রতা গরমকালে এখন দিন দিন বেড়েই চলছে তাই বাধ্য হয়ে সবাইকে…

মেটা থ্রেডস অ্যাপ

মেটা থ্রেডস অ্যাপ Sign in বা Login করতে পারবো কিভাবে ?

আজকে আমরা আপনাদের কে এমন একটি app এর বিষয়ে কিছু ইনফো দিবো সেটির নাম হলো মেটা থ্রেডস অ্যাপ, আপনারা অনেকেই নিজেদের ইনস্টাগ্রাম এ এই threads app টির…

চ্যাট জিপিটি কি

চ্যাট জিপিটি কি ও কেন? ২০২৩ এ Chat GPT ব্যাবহার করে আয় করার উপায়।

বর্তমান বিশ্ব এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন বিভিন্ন কিছু আবিষ্কার ও পরিবর্তন হয়ে আসতেছে। তার মধ্যে ২০২৩ সালের বিরাট পাওনা হচ্ছে চ্যাট জিপিটি(Chat GPT)। যাকে গুগল মামা…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *