বাংলায় ইনফো: বাংলা ভাষায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট

আশা এনজিও লোন পদ্ধতি। আশা এনজিও লোন ফরম ২০২৪

বেসরকারি এনজিও গুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য আশা এনজিও অন্যতম। এই এনজিও গ্রাম অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের থেকে শুরু করে কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী সব ধরনের শ্রেণীর মানুষদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। তাই আজকে পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের আশা এনজিও লোন ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। যাতে আপনি এ আর্টিকেলটি পড়ে আশা এনজিও লোন ফরম খুব সহজেই আশা এনজিও সত্য ও সুবিধাগুলো জানতে পারবেন এবং খুব সহজে লোন নিতে পারবেন।

এছাড়াও আশায় এনজিও শুধু গ্রাম অঞ্চলেই নয় শহর অঞ্চলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এবং আপনি যদি একটি বাড়ি বা খামার তৈরি করতে চান তাতেও আশা এনজিও তাহলেও আপনি আশা এনজিও থেকে লোন নিতে পারবেন। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আশা এনজিও আমাদের কতটুকু সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক আশা এনজিও লোন ফরম এবং আশা এনজিও সুবিধা।

আশা এনজিও লোন ফরম

আশা এনজিও লোনের ফরমটি আপনি চাইলে অনলাইনে সহজ ভাবে পূরণ করতে পারেন। নিজের দেওয়া ধাপ গুলো অনুসরণ করে আপনি আশা এনজিওর লোন ফরম পূরণ করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট ভিজিট করুন :

১. প্রথমে আসা এনজিও ওয়েবসাইটে যান। আশা এনজিও ইনফর্মেশন ও লোন সমৃদ্ধ।

২. আবেদন সেকশনে যান। ওয়েবসাইটে আপনার ড্যাশবোর্ডে আবেদন সেকশনে যান বা “লোন আবেদন” সেকশনে ক্লিক করুন।

৩. প্রস্তাবিত ফরম পূরণ করুন। আপনার সঠিক তথ্য প্রদান করুন ফরমটিতে যেমন: আপনার নাম, যোগাযোগ ঠিকানা, অস্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জন্ম তারিখ, নাগরিকত্বের সনদ বা পাসপোর্ট নম্বর, আয়ের প্রমাণ এবং লোনের পরিমাণ ও উদ্দেশ্য।

৪. আবেদন সাবমিট করুন। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদন সাবমিট করতে “সাবমিট বোতামে” ক্লিক করুন।

৫. স্যানিটেশন প্রক্রিয়া। আপনারা আবেদনটি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করলে আশা এনজিও আপনার আবেদনটি প্রক্রিয়া করবে এবং আপনার লোন প্রাপ্তি সম্পর্কে জানাবেন।

এই আবেদন ফরমটি আপনি সরাসরি পূরণ করতে চাইলে, আপনি আপনার নিকটস্থ আশা এনজিও কাউন্টার বা কার্যালয়ে যেতে পারেন। এবং সেখানে তাদের কর্মকর্তা আপনাকে সাহায্য করবে এর ফরমটি পূরণের জন্য।

সুদের হার

আশা এনজিওর ক্ষেত্রে প্রাইমারি ও স্পেশাল লোনে সুদের হার ২৪%। MSME এর ক্ষেত্রে সুদের হার ২২%। এর পাশাপাশি প্রতি লোনের সার্ভিস চার্জসহ আরো কিছু চার্জ যুক্ত হবে। আপনি লোন নেওয়ার আগে এই সমস্ত তথ্য বিস্তারিত জেনে নিবেন।

আশা ব্যাংকের কিস্তি

ব্যাংকের লোন কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। প্রতি সপ্তাহে লোনের ধরনের উপর নির্ভর করে কিস্তি দিতে হয়। আশা ব্যাংকের কিস্তি মোট ৪৫/৪৬ টি কিস্তি হয়ে থাকে। আশা ব্যাংকের সুদের হাত সাধারণ ব্যাংকের তুলনায় একটু বেশি হয়ে থাকে।

আশা এনজিও লোন সুবিধা :

অন্যান্য এনজিও সংস্থা গুলোর মত আশা এনজিও ও ব্যাপক ক্ষারের সুবিধা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ লোন নেওয়ার জন্য যে সুবিধা গুলো প্রয়োজন সেই সুবিধা গুলো আসে এনজিওতে রয়েছে। আশা এনজিও সুবিধা গুলো নিজে উল্লেখ করা হলো। প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় আত্মনির্ভরশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রধানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) থেকেও ঋণ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ সুদের হার ১৪ শতাংশ।

তবে কোন গ্রাহক ৫০ লাখ টাকার বেশি লোন পাবেন না। এমএফআই গুলোও এনজিও হিসেবে পরিচিত। তবে সব এনজিও এই লোন দিতে পারবে না। শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফআরএ) থেকে নিবন্ধন পাওয়া এনজিও গুলোই এই লোন দিতে পারবে। বর্তমানে এখন ৭০০ টি এমআরএ নিবন্ধন পাওয়া এনজিও রয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের আত্মিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গুলো কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছেন। নীতিমালারটির নাম হচ্ছে “নোবেল করোনাভাইরাসের”( কোভিড ১৯)প্রভাব মোকাবেলায় (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের খুবই দ্রুত লোন বা ঋণ দেওয়া সহায়ক একটি নীতিমালা। “সিএমএসএমই” বলতে বোঝানো হয়েছে ক্ষুদ্র কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের। এমন উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণ করার মূল উদ্দেশ্য এই সংস্থাটির।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ০.৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা প্রদান করবে। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই সুদে দিবে এমএফআই বা সংশ্লিষ্ট এনজিও গুলোকে। যেগুলো পড়ে সে টাকা ৯ শতাংশ সুদে গ্রাহকদের প্রদান করবে। তবে ১৪ শতাংশ সুদ পাবে এনজিওগুলো। আর সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ভর্তি কি হিসেবে গ্রাহকদের ৯ শতাংশ সুদের বাইরে আরও ৫ শতাংশ সুদ প্রদান করবে এনজিও গুলোকে।

এখনো পর্যন্ত সরকার করোনাই ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ২১ টি খাতের জন্য ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সিএমএসএমই খাতে সেই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় চলতি মূলধন দেওয়ার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের পরামর্শে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এখন বর্তমানে ৫৬ টি ব্যাংক ও ২০টি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্টান সিএমএসএমই হাতে বাস্তবায়নের সাথে জড়িত রয়েছে। খসড়া নীতিমালা অর্থ মন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এনজিও গুলো যে ঋণ নিবে তার বিপরীতে ঋণ পরিশোধের ঘোষণাপত্র ও ঋণস্তিতি জামানত হিসেবে রাখতে হবে। এবং তারা ঋণ পাবে দুই বছরের জন্য।

সর্বোচ্চ তিনটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন একটি এনজিও। আপনি নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে একক বা গ্রুপ যেমনি হোক না কেন, এই প্যাকেজের আওতায় কোন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ পাবে না। এর মধ্য সর্বোচ্চ কুটির শিল্প পাবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। এবং অতি ক্ষুদ্র শিল্পরা পাবে ৩০ লাখ টাকা এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে ঋণের টাকায় কোন গ্রাহক তার আগে নেওয়া কোন ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয় করতে পারবেন না। প্যাকেজের গ্রাহক পর্যায়ের ৪০ শতাংশ ট্রেন্ডিং খাতে এবং ৬০ শতাংশ সেবা ও উৎপাদন খাতে বিতরণ করতে হবে। আর এতে প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তারা ভর্তুকি সুবিধা পাবেন ১ বছরের জন্য।

এই পোস্টের শেষ মন্তব্য :

পরিশেষে বলা যায় যে আশা এনজিও লোন ফরম ও আশা এনজিও সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উল্লেখিত সমস্ত আশা এনজিও লোন ফরম তথ্য অনুসরণ করে আপনি আশা এনজিও থেকে খুব সহজে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে দয়া করে পোস্টটি শেয়ার করুন। এমন আরও ব্যাংক লোন বা এনজিও লোন সম্পর্কিত তথ্য পেতে বাংলায় ইনফোর ভিজিটের আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ

আশা এনজিও লোন ফরম ও সুবিধা সংক্রান্ত আরো কিছু জানতে চাইলে ভিডিওটি দেখতে পারেন।

আশা এনজিও লোন ফরম ও সুবিধা সংক্রান্ত সাধারণ কিছু প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।

FAQ:

১. আশা এর পূর্ণরূপ কি?

বিশ্বের সর্ববৃহৎ আত্মনির্ভরশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রধানকারী প্রতিষ্ঠান।

২. প্রাথমিক লোন সর্বনিম্ন কত?

প্রাথমিক লোন সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা থেকে ১০০০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।

৩. আশা ব্যাংকের পরিচয় কি?

আশা ব্যাংক হল ক্ষুদ্র ঋণ প্রধানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। যা জনগণকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে সহায়তা করে থাকে।

একজন বাংলাদেশী কনটেন্ট ক্রিয়াটার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কয়েক বছর থেকে কাজ করে আসছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙ্গামাটিতে। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি ২০২৩ এ বাংলায় Info এর সাথে যুক্ত হয়ে বাংলা ভাষা নিয়ে কনটেন্ট বানানো শুরু করেন।

Related Posts

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়

2024 – এ কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় ও সেরা কিছু টিপস বাংলাতে

কন্টেন্ট রাইটিং কি? কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় জানার আগে কন্টেন্ট রাইটিং কি তা আগে জানতে হবে কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে যখন আমরা কোন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে কোন কিছু…

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? 2024- এ কিভাবে শুরু করবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? 2024- এ কিভাবে শুরু করবেন?

গ্রফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন এই ডিজিটাল দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় এক নাম অনলাইন অথবা অফলাইন বর্তমানে প্রায় সব সেক্টরে গ্রাফিক্সের ব্যবহার হয়। তাই যত দিন যাচ্ছে এর…

ফ্রিল্যান্সিং -এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন [2023]

ফ্রিল্যান্সিং কি? ২০২৪ এর সম্পূর্ণ গাইড লাইন ।

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থই হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কারো কাজ না করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সিং কি? মূলত যারা এ ধরনের কাজ…

অনলাইন থেকে আয়ের সেরা পাঁচটি ওয়েবসাইট

অনলাইন থেকে আয়ের সেরা ৫টি ওয়েবসাইট

অনলাইন থেকে আয় করার জন্য বিভিন্ন সাইড ও প্লাটফর্ম রয়েছে সেখান থেকে আপনি বিভিন্ন সাইড এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইন হচ্ছে ঘরে বসে আয় করার…

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবো

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবো-শিখবো? সফল ফ্রিল্যান্সার কত টাকা আয় করে

গত মাসে আমি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ও লোকাল ক্লায়েন্টের কাজ করে বেশ ভালো অংকের টাকা ও রেমিটেন্স নিয়ে আসতে পারছি শুধু মাত্র আমার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রীল্যান্সিং এর…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *